পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্ণেল (অবঃ) জাহিদ ফারুক শামিম বলেছেন,একজন মন্ত্রী হিসেবে আমি ৫ বার এই রামগতি-কমলনগরে এসেছি। একজন মন্ত্রী এক জায়গায় এতো বার গেছে কিনা তা আমার সন্দেহ হয়! এখন আবার আমি এসেছি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে। আপনাদের দুঃখ দুর্দশা আমি বুঝি। মেঘনা নদীর তীর রক্ষা বাঁধ বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি সবাইকে আস্থা রাখতে হবে। প্রধানমন্ত্রী আমাকে রামগতি-কমলনগরের নদী ভাঙন এলাকা দেখার জন্য পাঠিয়েছেন। তিনি নদী ভাঙন কবলিত বিপদগ্রস্ত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে নির্দেশনা দিয়েছেন। তার আমলেই দেশে সর্বোচ্চ উন্নয়ন হয়েছে। রামগতি-কমলনগরে নদী ভাঙন রোধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৩১শ কোটি টাকা প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছেন।বিএনপি-জামায়াত সরকারের আমলে দেশে কোনো উন্নয়ন হয়নি। তারা শুধু লুটপাট করে দেশকে অনেক পিছিয়ে রেখেছে। প্রকল্পটি অনুমোদনের পর বালু সংকটের কারনে মুলত এসমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। দ্রুত বালু সমস্যা সমাধানে সংশ্লিষ্ট ভূমি মন্ত্রী ও চাঁদপুরের ডিসির সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন মন্ত্রী।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার আলেকজান্ডার ইউনিয়নের বালুরচর,চরআলগী ও বয়ারচরে ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শনকালে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এসব কথা বলেন পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী। এর আগে মন্ত্রী কমলনগরের চরফলকন এলাকায় নদীর তীর পরিদর্শন শেষে ভাঙন কবলিত জনতার উদ্দেশ্য বক্তব্য রাখেন।
মন্ত্রী আরো বলেন,করোনা ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বে অর্থনৈতিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। এতে সকল পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। পুরনো দরপত্রে ঠিকাদাররা ভর্তুকির ভয়ে কাজ করতে চাচ্ছে না। এখন পুনরায় দরপত্র আহবানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। খুব শিগগিরই নদী বাঁধ নির্মাণ কাজ শুরু হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি ও কমলনগর) আসনের সংসদ সদস্য মেজর (অবঃ) আবদুল মান্নান, লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক আনোয়ার হোছাইন আকন্দ, জেলা পুলিশ সুপার মাহফুজ্জামান আশরাফ, জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ফারুক আহম্মদ,
রামগতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এসএম শান্তনু চৌধুরী, রামগতি উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল ওয়াহিদ মুরাদ,সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুল ওয়াহেদ,রামগতি পৌরসভার মেয়র এম মেজবাহ উদ্দিন মেজু ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক উপকমিটির সদস্য আবদুজ্জাহের সাজু।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন