বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

আওয়ামী লীগই আগুন সন্ত্রাসের হোতা

সংবাদ সম্মেলনে রিজভী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১২ নভেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, গত রোববার জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বিএনপি ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে অগ্নিসন্ত্রাস করে পেট্রোল বোমা দিয়ে অথবা অগ্নিসংযোগ করে সাধারণ মানুষকে হত্যা করেছে আন্দোলনের নামে। এ সাধারণ মানুষের গায়ে কেউ হাত দিলে তাদের রেহাই নেই, তাদের রক্ষা নেই।’ কিন্তু দেশবাসী জানে আগুন সন্ত্রাসের হোতা কারা। আওয়ামী লীগই আগুন সন্ত্রাসের হোতা। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, জনগণের দল বিএনপি নিয়মতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বিশ্বাসী। বহু প্রমাণ রয়েছে- আগুন সন্ত্রাস করেছে আওয়ামী লীগের লোক, আওয়ামী লীগের এমপি ও গোয়েন্দা সংস্থার লোকেরা। বিএনপির শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে ভিন্নখাতে নিতে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে সরকার নিজেদের লোক ও গোয়েন্দা সংস্থাকে দিয়ে বাসে আগুন লাগিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মেরে বিএনপির ওপর দোষ চাপিয়েছে। এসব ঘটনা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত ও প্রচারিত হয়েছে। বর্তমানে আবার আগ বাড়িয়ে শেখ হাসিনা অগ্নিসন্ত্রাসের কথা বলছেন। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য রহস্যজনক। বিরোধীদলের আন্দোলন করার সময় আওয়ামী লীগ যে কাজটি করবে সেটাই তারা এখন বলছে। এ কাজ আওয়ামী লীগ বহুবার করেছে। এখন আবার করবে তা আগেই বলে দিচ্ছে। তিনি বলেন, দেশবাসীর মনে থাকার কথা ২০১৩ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের সময় আন্দোলন নস্যাৎ করতে ও বিএনপিকে ধ্বংস করার জন্য একদিকে প্রশাসন যন্ত্র অন্যদিকে হাইপার প্রপাগান্ডা চালানো হয় নিখুঁতভাবে। সরকার রাষ্ট্রযন্ত্রকে কব্জা করে যে প্রপাগান্ডা মেশিন বানিয়েছে তার দ্বারাই তারা অসত্য ও মনগড়া কথা বলে যাচ্ছে। ওরা যে নির্দয়-নিপীড়ক তার প্রমাণ- বিএনপির ৩৭ লাখ নেতাকর্মীর নামে এক লাখ সাত হাজার বানোয়াট মামলা দিয়ে তাদের ঘরছাড়া করা হয়।
রিজভী বলেন, যারা একটি রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে এহেন নির্মমতা করতে পারে তাদের দ্বারাই বাসে আগুন, পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে মামলা দিয়ে আসামি করা যে সহজ সেটি বাংলাদেশসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও জানে। তিনি বলেন, ২০১৫ সালে বাস-মিনিবাসে বোমাবাজি কিম্বা আগুন লাগানোর ব্যাপারে অনেক পুলিশ কর্মকর্তার বক্তব্য ইউটিউবে পাওয়া যাবে। শেখ হাসিনার উপদেষ্টা মরহুম এইচ টি ইমাম কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ইউনিক বাসে পেট্রোল বোমা ছুঁড়ে মারার বিষয়টি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেছিলেন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ব্যক্তি ছাড়া এমন ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করা সম্ভব নয়। ##

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন