শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

চীনকে রুখতে জাপান-যুক্তরাষ্ট্রের বৃহৎ পরিসরে যৌথ সামরিক মহড়া শুরু

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৩ নভেম্বর, ২০২২, ১:১৯ পিএম

জাপানের দক্ষিণ-পশ্চিম দ্বীপপুঞ্জ ও এর আশপাশ এলাকায় দেশটির সেলফ ডিফেন্স ফোর্স (এসডিএফ) এবং যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর সদস্যরা বৃহৎ পরিসরে যৌথ মহড়া শুরু করেছে। গত বৃহস্পতিবার এই অঞ্চলে চীনের সামরিক তৎপরতা বৃদ্ধির বিষয়টি মাথায় রেখে নিজেদের সামরিক কর্মকাণ্ডের সক্ষমতা বাড়ানোর লক্ষ্যে এ মহড়া শুরু করে দেশ দুটি।

জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, এই মহড়াকে ‘কিন সোর্ড’ (প্রখর তলোয়ার) নামে ডাকা হচ্ছে। আগামী ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে এ মহড়া। এই মহড়ায় জাপানের এসডিএফের স্থল, নৌ এবং বিমান বাহিনীর ২৬ হাজার সেনা এবং যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ বাহিনীর সদস্যসহ ১০ হাজার সেনা অংশ নেবে। খবর দ্য জাপান টাইমসের।

মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জাপানের দূরবর্তী দ্বীপগুলির প্রতিরক্ষার অনুকরণের এই মহড়াতে কাগোশিমা প্রিফেকচারের টোকুনোশিমা দ্বীপে মনোনিবেশ করা হবে এবং সেখানে জাপানি ও মার্কিন অস্প্রে টিলট্রোটর যুদ্ধ বিমান মোতায়েন করা হবে।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা এবং যুক্তরাজ্য থেকে মোট চারটি যুদ্ধজাহাজ এবং দুটি বিমানও এই মহড়ায় অংশ নেবে যা মূলত প্রতি দুই বছর পরপর অনুষ্ঠিত হয়। আর জাপান থেকে প্রায় ২০টি জাহাজ ও ২৫০টি বিমান এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রায় ১০টি জাহাজ ও ১২০টি বিমান মহড়ায় অংশ নেবে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, আকস্মিক যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় জাপানের এসডিএফ এবং যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর প্রতিরোধ ও পাল্টা আঘাতের সক্ষমতা বৃদ্ধিই এই মহড়ার লক্ষ্য। কারণ দেশ দুটি শক্তি প্রয়োগে স্থিতাবস্থা পরিবর্তনের যে কোনো একতরফা প্রচেষ্টার বিরোধিতা করে। মহড়ায় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের জবাব দেওয়ার পাশাপাশি মহাকাশ এবং সাইবারস্পেসের মতো নতুন প্রতিরক্ষা কর্মকাণ্ডের দিকগুলোও অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
সেনকাকু দ্বীপপুঞ্জের কাছে জাপানি জলসীমায় চীনা জাহাজের বারবার অনুপ্রবেশসহ ইন্দো-প্যাসেফিক অঞ্চলে বেইজিংয়ের নৌ তৎপরতার ব্যাপারে টোকিও ও ওয়াশিংটনের উদ্বেগ ক্রমাগত বাড়ছে। পূর্ব চীন সাগরে জাপান-নিয়ন্ত্রিত জনবসতিহীন দ্বীপগুলো নিজেদের দাবি করে চীন এবং সেগুলোকে দিয়াওযু নামে ডাকে দেশটি।
এ ছাড়া স্বশাসিত গণতান্ত্রিক দ্বীপ তাইওয়ানের কাছেও সামরিক তৎপরতা জোরদার করেছে চীন। দ্বীপটিকে কমিউনিস্ট শাসিত চীন নিজেদের একটি বিচ্ছিন্ন প্রদেশ বিবেচনা করে এবং প্রয়োজনে বলপ্রয়োগ করে হলেও মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে একীভূত করা হবে বলে ইঙ্গিত করেছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন