সিরাজগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা : সিরাজগঞ্জে তিন দিন ব্যাপি জেলা ভিত্তিক আঞ্চলিক বিশ্বইস্তেমার প্রস্তুতি শেষ। এই ইস্তেমায় জেলার প্রায় ৫-৬ লাখ মুসল্লি অংশগ্রহণ করবে। দীর্ঘ এক মাস যাবত ইস্তেমার প্যান্ডেলের নির্মান কাজে স্বতঃফুর্ত ভাবে সেচ্ছা শ্রমে অভাবনীয় সাড়া পাওয়া গেছে। প্রতি দিন প্রায় ৫-৬ শত শ্রমিক অবিরাম ভাবে কাজ করে সকল প্রস্তুতি শেষ করেছে। শুধু স্বেচ্ছা শ্রমই নয়, যে সব মুসল্লিরা কাজ করছে তাদের খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে বিভিন্ন মসজিদ মাদ্রাসা থেকে। তিন জামাত, চিল্লার সাথি, মসজিদঅর জামাতসহ সর্বস্তরের মানুষের সার্বক সহযোগিতায় এত অল্পসময়ে প্রথম বারের মত এই ইস্তেমার কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হয়েছে বলে যানা গেছে।
যমুনা বিধৌত ঐতিহ্যবাহি সিরাজগঞ্জ জেলার এই ইস্তেমা যমুনা নদীর মালসা পাড়াস্থ ১নং চায়না ব্রিজের সন্নিকটে প্রায় ৫০ বিঘা জমির উপর বিসাল আকারের প্যান্ডেল নির্মাণ করা হয়েছে। জেলার বেলকুচি উপজেলার মসজিদঅর জামাত প্রায় ৫০ লাখ টাকা মূল্যমানের ১৩ লক্ষ বর্গফুটের সমস্ত ছামিয়ানা প্রদান করেছে। অনেকে আবার ইস্তেমায় আগত মেহমানদের জন্য টিউবওয়েল ও পায়খান, প্রস্রাবখানার সমস্ত ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। কেউবা ইস্তেমায় প্রবেশের জন্য চরের গোড়ালির পানির মধ্যে দু’টি রাস্তা নির্মাণ করেছে। এ ছাড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও দাতা ব্যক্তিরা নিঃস্বার্থ ভাবে নানাবিধ কাজে সহযোগিতা করে ইস্তেমার ব্যপক প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন।
গতকাল (বৃহষ্পতিবার) সরজমিনে পরিদর্শনে গেলে ইস্তেমার কর্মরত সমস্ত সেচ্ছা শ্রমের শ্রমিকদের জিম্মাদার আলহাজ রফিকুল ইসলাম জানান, আগামি ১৭, ১৮ ও ১৯ ডিসেম্বর এই ইস্তেমায় প্রায় ৫-৬ লক্ষ মেহমান উপস্থিত থাকবে। তিনদিন ব্যাপি জেলা ইস্তেমার ব্যপারে সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশাসক কামরুন্নাহার সিদিকা বলেন প্রথম বারের মত জেলার আঞ্চলিক ইস্তেমা অনুষ্ঠিত হতে যচ্ছে বিধায় জেলার মুসলিম উম্মা আনন্দে মুখরিত। আমরা জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর নিছিদ্র নিরাপত্তাসহ র্যাব, পুলিশ মোতায়ন রেখে সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করার সার্বিক ব্যবস্থাগ্রহণ করেছি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন