আজ শুরুতেই বলে রাখছি যে, আজকের এই কলামে আমি নিজে খুব কম বলবো। অর্থাৎ আজকের বিষয়বস্তু নিয়ে আমার নিজস্ব মন্তব্য খুব কম থাকবে। বরং আমি একাধিক পত্রপত্রিকার রিপোর্টের উদ্ধৃতি দেবো। গত ১১ নভেম্বর ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যুবলীগের ৫০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে একটি জনসমাবেশ হয়ে গেল। এই সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। পরদিন অর্থাৎ ১২ নভেম্বর ফরিদপুরে আব্দুল আজিজ ইনস্টিটিউশন মাঠে বিএনপির জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। কোন জনসভা কেমন হয়েছে অথবা কোন জনসভায় যোগদানের জন্য কী কী সুবিধা ছিল, আর কী কী অসুবিধা ছিল সেগুলো আপনারা সবই দেখেছেন এবং পত্রিকায় পড়েছেন। তবুও আমি ঐসব বিষয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পত্রপত্রিকার রিপোর্ট থেকে উদ্ধৃতি দেবো। তখন আপনারাই বিচার করতে পারবেন, কোন জনসভা কেমন হয়েছে এবং কার জনসভায় কোন কোন সুবিধা দেওয়া হয়েছে এবং অসুবিধা সৃষ্টি করা হয়েছে। বেশি কথা না বলে চলুন, ঐসব উদ্ধৃতিতে যাওয়া যাক।
প্রথমে ১১ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যুবলীগের ৫০তম প্রতিষ্ঠা বাষির্কীতে। এ সম্পর্কে গত ১২ নভেম্বর শনিবার দৈনিক ইনকিলাবের প্রথম পৃষ্ঠায় ডাবল কলামে প্রকাশিত সংবাদের শিরোনাম, ‘জনসমাবেশে লোক জমায়েতে বিপরীতমুখী চিত্র / যুবলীগের মহাসমাবেশে নির্বিঘ্নে আসে লাখো মানুষ/ আজ বিএনপির ফরিদপুর বিভাগীয় গণসমাবেশ।’ দুটি রিপোর্টই ইনকিলাবের নিজস্ব সংবাদদাতা পরিবেশিত। সংবাদের এক স্থানে বলা হয়েছে, ‘যুবলীগের সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে এই যুব মহাসমাবেশে যোগ দিতে রাজধানীর বেশিরভাগ বাস, ছোট পিকআপ ভাড়া করা হয়েছে। তাই সাধারণ যাত্রীরা তাদের নিজস্ব গন্তব্যে যেতে বিপাকে পড়েন। রাজধানীর প্রায় সব রুটের বাস যুবলীগের নেতাকর্মী সমর্থকদের আনা নেওয়ার কাজে ব্যবহৃত হয়। শুধু রাজধানী নয়, ঢাকার চারপাশের জেলাগুলোর বেশিরভাগ বাস ভাড়া করে নেতাকর্মীরা সমাবেশে এসেছেন। সমাবেশ স্থলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও আশে পাশের এলাকার সড়কগুলোয় ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। যুবলীগের নেতাকর্মীরা নিজ নিজ ইউনিটের পছন্দ ও মনোনীত রংয়ের টিশার্ট ও ক্যাপ পরে হাজির হন। সমাবেশ সফল করতে আগের দিন রাতে রওনা দিয়ে চট্টগ্রাম থেকে ট্রেনে, বাসে নেতাকর্মীরা ঢাকায় এসেছেন। এছাড়া খুলনা, সিলেট, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগ থেকে নেতাকর্মীরা আগের দিন রাতেই ঢাকায় এসে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় ও আশে পাশের এলাকায় অবস্থান নিয়েছেন। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সব ধরনের সহযোগিতা দিয়েছেন। এই সমাবেশে ১০ লাখ নেতাকর্মীর সমাগমের কথা বলা হলেও মাত্র ৫টি গেট করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আগত নেতাকর্মীরা। বিভিন্ন জেলা থেকে আসা অসংখ্য গাড়ি পার্কিং করায় নয়া পল্টন, কাকরাইলসহ বেশ কয়েকটি স্থানে দেখা দিয়েছে তীব্র যানজট।’
এই ছিল দৈনিক ইনকিলাবের রিপোর্ট। এবার দেখুন বিএনপির সিনিয়র নেতা সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা। রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী যুবলীগের মহাসমাবেশ ‘সরকারি সুবিধায়’ হচ্ছে অভিযোগ করে তিনি বলেছেন, রাস্তাঘাটের অবস্থা দেখে মনে হলো, বাংলাদেশ একটা একদলীয় শাসনের মধ্যে আছে। মনে হলো, এখানে রাষ্ট্রীয় কোনো অনুষ্ঠান হচ্ছে। আমীর খসরু আরো বলেন, আজকে এখানে (সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) যুবলীগের সম্মেলন আছে। আমি আসার পথে দেখলাম, অনেক কিছু। আজকে বাংলাদেশে জনসাধারণের জন্য কোনো বাস আছে বলে আমার মনে হলো না। সব পরিবহন আজ ওদের দখলে, ওদের নিয়ন্ত্রণে। সব রাস্তাঘাট বন্ধ। এভাবে সব আয়োজন করা হয়েছে। বুঝতে পারেন, একটা দলের সম্মেলন করতে তাদের এত কিছু জোগাড় করতে হচ্ছে, সরকারি এত কিছুর সুযোগ-সুবিধা নিতে হচ্ছে।
এটা যে দলের অনুষ্ঠান, কেউ বুঝতে পারবে না, যদি তাদের বলা না হয়। কোনো বিদেশি মানুষ যদি এখানে অবস্থান করে ওরা মনে করবে, বোধ হয় বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় কোনো অনুষ্ঠান হচ্ছে। এটা কোনো দলের অনুষ্ঠান, এটা কেউ বিশ্বাস করবে না।
রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থা বিআরটিসির বাস ব্যবহারের প্রসঙ্গ টেনে বিএনপির এই নেতা বলেন, সবচেয়ে ইন্টারেস্টিং মনে হলো বিআরটিসির বাসের মধ্যে ব্যানার লাগিয়ে ওরা সম্মেলনে আসছে। লজ্জা-শরম তো থাকার কথা। না হয় আইন মানলেন না, সংবিধান মানলেন না, গণতন্ত্র মানলেন না, জনগণের সব অধিকার কেড়ে নিলেনÑ তারপরও তো একটা লজ্জা-শরমের ব্যাপার আছে।
বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশের দুই-তিন দিন আগে পরিবহন ধর্মঘট ডাকার বিষয়টি তুলে ধরে আমীর খসরু বলেন, বিএনপির বেলায় সব বন্ধ। কোনো পরিবহন থাকতে পারবে না, বাস থাকতে পারবে না, স্টিমার চলতে পারবে না, লঞ্চ চলতে পারবে না, স্পিডবোট চলতে পারবে না। শুধু তাই নয়, রিকশা চলতে পারবে না, নছিমন চলতে পারবে না, টেম্পো চলতে পারবে না। কিছুই থাকতে পারবে না। এতে আমাদের একটা লাভ হয়েছে। আন্দোলনে একটা জিনিস আমরা শিখেছি যে, পরিবহন ছাড়াও আন্দোলন করা যায়। আন্দোলন এমন মাত্রা পেয়েছে যে, মানুষ দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে কোনো পরিবহন ছাড়া সমাবেশগুলোতে উপস্থিত হয়ে দেশনেত্রী খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের প্রতি তাদের যে, অবিরাম ভালোবাসা, সেটা প্রমাণ করেছে। এটা আন্দোলন নয়, এটা বিপ্লবে পরিণত হয়েছে।
প্রিয় পাঠক, বিএনপির সমমনা তিনটি রাজনৈতিক দলের তিন জন শীর্ষ নেতা কথা প্রসঙ্গে আমাকে বলেন যে, যুবলীগের এই সমাবেশ উপলক্ষে ৬ হাজার বাস ভাড়া করা হয়েছিল। আমি জানি না, ভাড়া করা বাসের সঠিক সংখ্যা কত। তবে বাসের সারি দেখে মনে হলো, ভাড়া করা বাসের সংখ্যা গুনতে হবে শতকে নয়, হাজারে। ওপরে যে রিপোর্টটি তুলে দিলাম সেটি প্রকাশিত হয়েছে সদ্য প্রকাশিত একটি বাংলা দৈনিকে, যার সম্পাদক হলেন ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সদস্য এবং কট্টর আওয়ামী পন্থী।
॥দুই॥
এবার ফরিদপুরে বিএনপির মহাসমাবেশের কয়েকটি চালচিত্র। আপনারা সকলেই জানেন যে, ফরিদপুরসহ ৫টি বিভাগীয় সমাবেশেই ইজিবাইকসহ থ্রি-হুইলার বা ত্রি-চক্রযান রাস্তা থেকে উঠিয়ে নেওয়ার দাবিতে নাকি বাস ট্রাক ধর্মঘট ডাকা হয়েছিল। অথচ, ১১ নভেম্বর দৈনিক প্রথম আলোর অনলাইনের একটি রিপোর্ট দেখুন। রিপোর্টটির শিরোনাম, ‘ইজিবাইক বন্ধের দাবিতে বাস ধর্মঘটের মাইকিং চলছে ইজিবাইকেই।’ রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘মহাসড়কে সব ধরনের ত্রি-হুইলার (নছিমন, করিমন, ভটভটি, মাহিন্দ্র, ব্যাটারিচালিত রিকশা, ইজিবাইক) ও ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেলের বন্ধের দাবিতে মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ এই ধর্মঘট ডেকেছে। অথচ, সংগঠনটির পক্ষ থেকেই মহাসড়কে ইজিবাইকে মাইক লাগিয়ে ধর্মঘটের ঘোষণা দেওয়া হচ্ছে।’
ডেইলি স্টারের বাংলা অনলাইন সংস্করণের ১২ নভেম্বর সংখ্যার একটি রিপোর্টের শিরোনাম, ‘ফরিদপুরে থ্রিজি-ফোরজি সেবা বন্ধের নির্দেশ বিআরটিসির।’ রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘ফরিদপুরে আজ শনিবার দুপুর ২টায় আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপির গণসমাবেশ শুরু হবে। এর মধ্যেই ফরিদপুরে আজ সকাল ৯টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত থ্রিজি ও ফোরজি সেবা বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। টেলিকম অপারেটরদের সূত্র দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। ফরিদপুরের মোবাইল ব্যবহারকারীরা জানান, আজ সকাল সাড়ে ৯টা থেকেই তারা মোবাইলের ইন্টারনেটে গতি ঠিকমতো পাচ্ছেন না।’
একই দিন অর্থাৎ ১২ নভেম্বর শনিবার (এই শনিবারেই ফরিদপুরে বিএনপির জনসভা হয়েছে) দৈনিক সমকালের ইন্টারনেট সংস্করণের একটি রিপোর্টের শিরোনাম, ‘ফরিদপুরে মোবাইল ইন্টারনেট পাওয়া যাচ্ছে না।’ রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘ফরিদপুরে আজ শনিবার সকাল ১১টার পর থেকে সেখানে মোবাইল ইন্টারনেট পাওয়া যাচ্ছে না। এদিকে ফরিদপুরে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ চলছে। ফরিদপুরের স্থানীয়রাসহ আশপাশের অনেক জেলা থেকে সমাবেশে আসা লোকজন এতে সমস্যায় পড়েছেন। সমাবেশের সংবাদ প্রচার নিয়েও অসুবিধার সম্মুখীন হয়েছেন সাংবাদিকেরা। ফরিদপুরের শহরের রাজবাড়ী রাস্তার মোড়ে মামা ও ভাগিনা টেলিকমের মালিক ইউসুফ মন্ডল সমকালকে বলেন, ‘শনিবার সকাল ১১টার পর থেকেই সব মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ রয়েছে।’
প্রিয় পাঠক, আমার অনেক বয়স হয়েছে। এই দীর্ঘ জীবনে রাজনীতির অনেক উত্থান পতন এবং অনেক প্রবল গণআন্দোলন দেখেছি। কিন্তু কোনো দিন শুনিনি যে একটি জনসভা বাধাগ্রস্থ করতে অথবা সেই জনসভার খবর প্রচারে বিঘ্ন সৃষ্টি করতে মোবাইল বা ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করা হয়েছে। হ্যাঁ, একটি দেশের একটি অঞ্চলে এই কাজটি করা হয়েছিল। সেটাও বছর দুয়েক আগে।
॥তিন॥
১১ নভেম্বর দৈনিক প্রথম আলোর ইন্টারনেট সংস্করণের একটি রিপোর্টের হেডিং, ‘রাজবাড়ীতে বিএনপির নেতাকর্মীদের খুঁজতে রাতে বাড়িতে পুলিশ।’ রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘ফরিদপুর জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল রাতে কালুখালী ও বালিয়াকান্দি উপজেলার বিভিন্ন নেতা-কর্মীর বাড়িতে পুলিশ তল্লাশি চালিয়েছে। তবে তাঁরা আগেই সমাবেশস্থলে চলে যাওয়ায় তাঁদের পায়নি পুলিশ। তিনি বলেন, রাজবাড়ী থেকে ছাড়া সব বাস বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সে জন্য বিকল্প যানবাহনে সমাবেশস্থলে যাচ্ছেন তাঁরা। আগেই অনেক নেতা-কর্মী রওনা দেন। কিন্তু পথে পথে চেকপোস্ট বসিয়ে তাঁদের হয়রানি করা হচ্ছে। মোটরসাইকেলে বিভিন্ন অজুহাতে মামলা দিচ্ছে। ইজিবাইক-নছিমন আটকে দেওয়া হচ্ছে।’
একই পত্রিকার একই দিনের অপর একটি খবরের শিরোনাম, ‘চুয়াডাঙ্গা থেকে ফরিদপুর হয়ে চলাচলকারী আট রুটের বাস বন্ধ।’ খবরে বলা হয়েছে, ‘চুয়াডাঙ্গা থেকে ফরিদপুর হয়ে চলাচলকারী বাসগুলো অলস পড়ে আছে। চুয়াডাঙ্গা থেকে রাজধানী ঢাকাসহ আটটি রুটের বাস চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতের পর এই জেলা থেকে এসব রুটে যাত্রীবাহী কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। পরিবহন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, আগামীকাল শনিবার রাতের আগে বাস ছাড়ার তেমন সম্ভাবনা নেই। রুটগুলো হচ্ছে-চুয়াডাঙ্গা থেকে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহ, রাজবাড়ী, গোপালগঞ্জ, বরিশাল ও পটুয়াখালী। এসব রুটে প্রতিদিন দিবাগত রাত সাড়ে ৩টা থেকে পরের দিন রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ১০টি পরিবহনের শতাধিক বাস ফরিদপুর জেলার ওপর দিয়ে চলাচল করে।’
আগের দিন অর্থাৎ ১০ নভেম্বরের একটি খবরের শিরোনাম, ‘বাস-মিনিবাসের পর ফরিদপুরে বিআরটিসির বাসও বন্ধ ঘোষণা।’ বলা হয়েছে, ‘কাল ও পরশু (১১ ও ১২ নভেম্বর) দুই দিন ফরিদপুরে বেসরকারি পরিবহনের পাশাপাশি বিআরটিসির বাস চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ফরিদপুরে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশকে সামনে রেখে যাত্রীবাহী বাস ও মিনিবাসের পর বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের (বিআরটিসি) বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ফরিদপুর নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকার বিআরটিসির বাস কাউন্টার থেকে এ তথ্য জানা গেছে।’
এত কিছুর পরেও ১২ তারিখে বিএনপির সভায় লক্ষাধিক লোক হাজির হয়েছিল। অথচ, এতদিন প্রচার করা হতো যে শুধুমাত্র ফরিদপুর নয়, তার প্রতিবেশী জেলাসমূহ যথা গোপালগঞ্জ, শরিয়তপুর, মাদারীপুর, রাজবাড়ী প্রভৃতি জেলা নাকি আওয়ামী লীগের শক্ত ঘাঁটি। অথচ, সেই সব জেলা থেকেও পায়ে হেঁটে হোক বা বিকল্প কেনো পন্থায় হোক, হাজার হাজার মানুষ বিএনপির সভায় যোগ দিয়েছিল। তারা ধর্মঘটের ১ দিন আগে অর্থাৎ ১০ নভেম্বরের মধ্যেই ফরিদপুর পৌঁছে যায়। তারা ফরিদপুরে ২ দিন ২ রাত্রি অতিবাহিত করে। মাঠে রাত কাটিয়ে শুক্রবার তারা আব্দুল আজিজ ইনস্টিটিউশন মাঠেই জুম্মার নামাজ আদায় করে। এই কলামের ভেতরে যে ছবিটি দেওয়া হয়েছে সেটি ফরিদপুরের আব্দুল আজিজ ইনস্টিটিউশন মাঠে গত শুক্রবার জুম্মার নামাজ আদায়ের চিত্র।
প্রিয় পাঠক পাঠিকা ভাই বোনেরা, ইংরেজিতে অনেক সময় বলে, You draw your own conclusion, অর্থাৎ আপনারা নিজেরাই নিজেদের সিদ্ধান্ত নিন। এখানে আমি আমার বা ইনকিলাবের নিজস্ব কোনো মন্তব্য দেইনি। আপনারা নিজেরাই এ ব্যাপারে নিজেদের মতামত গঠন করুন। আপনারা নিজেরাই Judgemental হোন।
journalist15@gmail.com
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন