বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনে প্রধান আমীরে শরীয়ত আল্লামা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী বলেছেন, ৯২ ভাগ মুসলমানদের বাংলাদেশে ইসলাম বিরোধী কোনো শিক্ষা নীতিমালা জনগণ মেনে নেবে না। জাতীয় শিক্ষাক্রম পাঠ্যপুস্তক বোর্ড প্রণিত পাঠ্যসূচী এদেশের সংখ্যা গরিষ্ঠ নাগরিকদের ধর্মীয় চেতনার সাথে সাংঘর্ষিক। বিতর্কিত পাঠ্যসূচীর মাধ্যমে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ধর্মহীন বানানোর গভীর ষড়যন্ত্র চলছে । বোর্ডপরীক্ষায় ইসলাম শিক্ষার প্রশ্নপত্র রাখাসহ শিক্ষার সর্বস্তরে ইসলামী শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করতে হবে।
শিক্ষা মন্ত্রনালয় বাংলাদেশে ভারতের এজেন্ডা বাস্তবায়নের অপচেষ্টা চলিয়ে যাচ্ছে মন্তব্য করে আল্লামা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী আরো বলেন, আমাদের আগামী প্রজন্মকে নাস্তিক ও পৌত্তলিক বানানোর ষড়যন্ত্র এদেশের তৌহিদী জনতা বরদাশত করবে না। তিনি শিক্ষানীতি সম্পর্কিত জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের যৌক্তিক দাবি সমূহ মেনে নেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি আরো বলেন, এদেশের সংখ্যাগরিষ্ট নাগরিকদের চিন্তা-চেতনার বিরুদ্ধে গিয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকা সম্ভব নয়। প্রয়োজনে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সব ইসলামি দল ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে ঈমানী দাবি আদায়ে সরকারকে বাধ্য করা হবে।
সোমবার সকালে রাজধানীর কামরাংগিরচরস্থ জামিয়া নূরিয়া ইসলামিয়া মাদরাসায় অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের কেন্দ্রীয় মজলিস আমেলার জরুরি বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বৈঠকে আগামী ২৯ নভেম্বর বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের ৪১ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও কেন্দ্রীয় কাউন্সিল বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, দলের মহাসচিব মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজি, নায়েবে আমীর মাওলানা শেখ আজিমউদ্দিন, দলের নায়েবে আমীর ও ঢাকা মহানগর আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা সানাউল্লাহ হাফেজ্জী, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা সুলতান মহিউদ্দিন,যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক ও নারায়ণগঞ্জ জেলা আমির আলহাজ্ব আতিকুর রহমান নান্নু মুন্সী,প্রচার সম্পাদক মাওলানা সাইফুল ইসলাম সুনামগঞ্জী,মাওলানা ফিরোজ মোল্লা আশরাফী, মাওলানা সাজেদুর রহমান ফয়েজী,মাওলানা খন্দকার মোশতাক আহমদ,মাওলানা তৌহীদুজ্জামান,মাওলানা আ ফ ম আকরাম হোসাইন , মাওলানা ইলিয়াস মাদারীপুরী, মাওলানা সাইফুল ইসলাম জামালী, মাওলানা কামরুল ইসলাম,মাওলানা রুহুল আমীন,মাওলানা আল আমীন ও মাওলানা আখতারুজ্জামান আশরাফী।
বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি ঃ এদিকে, নিরানব্বই ভাগ মুসলিম অধ্যূষিত, দ্বিতীয় বৃহত্তম ইসলামি রাষ্ট্রের ধর্মীয় শিক্ষা সংস্কৃতি বিনষ্ট করে নাস্তিক্যবাদ ও হিন্দুত্ববাদের চক্রান্ত রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির আমীর আল্লামা ছরওয়ার কামাল আজিজি ও মহাসচিব মাওলানা মুসা বিন ইযহার । এক যুক্ত বিবৃতিতে পার্টির নেতৃদ্বয় বলেন, চার্লস ডারউইনের বিবর্তন তত্ত্বে মুসলিম জনগোষ্ঠীর ঘোরতর আপত্তি, তা কি করে মাদরাসার পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করা হলো? রথযাত্রা, পুজো এবং হিন্দুদের ধর্মীয় নানা আপত্তিকর বিষয় পরিকল্পিত ভাবে
সিলেবাসে যুক্ত করা হয়েছে এটা একটা হিন্দুত্ববাদের এজেন্ডা বাস্তবায়নের চক্রান্ত ছাড়া আর কিছুই নয়। কোমলমতি শিশু কিশোরদের বইয়ের পাতায় পাতায় নানা অশ্লীল আপত্তিকর ছবি বা চিত্র দিয়ে একটা ভয়াবহ অশ্লীলতা ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে যা দেশপ্রেমিক মুসলিম জনগোষ্ঠীর তাহজিব তমদ্দুনের সম্পূর্ণ পরিপন্থী। নেতৃদ্বয় বলেন, হাজার বছরের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এটা একটা পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। যা কোনো ভাবেই হাল্কা করে দেখার সুযোগ নেই এর বিরুদ্ধে দলমত নির্বিশেষে প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ অপরিহার্য।
নেতৃদ্বয় এমন চক্রান্তকারী ব্যাক্তিগণকে চিহ্নিত করে অনতিবিলম্বে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানান এবং মাদরাসা শিক্ষায় স্বতন্ত্র সিলেবাস প্রণয়ন করার আহ্বান জানান। সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করে নেতৃদ্বয় বলেন, ধর্মীয় শিক্ষা বাদ দেয়ার এই চক্রান্ত প্রতিহত না করলে চরম খেসারত দিতে হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন