বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার মায়ানমার সীমান্তে ফের ল্যান্ড মাইন বিস্ফোরণে পায়ে গুরুত্বর আঘাত পেয়ে আহত হয়েছে বাংলাদেশী এক যুবক। আহত যুবকের নাম মুহাম্মদ বেলাল (৩০)। সে রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের পূর্বহাজীরপাড়ার আবুল হাশেমের পুত্র।
আজ বুধবার (১৬ নভেম্বর) ভোর ৫টায় উপজেলার সদর ইউনিয়নের ফুলতলী এলাকার সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়া ঘেষে ঘটনাটি ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুল আবছার ইমন।
তিনি জানান, বুধবার ভোরে কক্সবাজারের রামু উপজেলার কচ্ছপিয়ার ইউনিয়নের পূর্ব হাজির পাড়ার বেলাল নামে এক যুবক নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের ফুলতলী সীমান্ত এলাকায় কাঁটাতারের বেড়ার কাছে গেলে হঠাৎ ২টি মাইন বিস্ফোরণের প্রকট আওয়াজ শুনতে পায় সীমান্তবাসীরা। পরে তাকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, আঘাতপ্রাপ্ত বেলাল এর আগে ইয়াবা নিয়ে বিজিবির হাতে আটক হয়েছিল। সে একজন মাদক কারবারি। ইয়াবা পাচারের কাজে সে সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়ার কাছে গিয়েছিল। সেখানে বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটেছে। সে জেল থেকে বের হয়ে ফের ইয়াবা কারবারে জড়িত হয়েছে বলে ধারনা করছে স্থানীয়রা।
আরো জানা গেছে, গত কয়েক মাস ধরে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের চাকঢালা, আশারতলী, ফুলতলী, কম্বনিয়া, জামছড়ির কয়েকটা পয়েন্টে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে মিয়ানমারের চোরাই পথে গরু আর ইয়াবা নিয়ে আসছে কয়েকটি সিন্ডিকেটের সদস্য।
উল্লেখ্য , গত ১৬ সেপ্টেম্বর জেলার নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তের ওপারে মিয়ানমার ভূখন্ডে ল্যান্ড মাইন বিস্ফোরণে অথোয়াইং তংচঙ্গ্যা (২২) নামে এক বাংলাদেশী যুবকের পা উড়ে যায়।
এ ছাড়া গত ২ দিন আগে বান্দরবানের তুমব্রু সীমান্তে নোম্যান্সল্যান্ডে মাদক চোরাকারবারির বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে গিয়ে গুলিতে সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআইয়ের কর্মকর্তা স্কোয়াড্রন লিডার মো. রেজওয়ান (৩৪) ও রোহিঙ্গা শিবিরের নারী সাজেদা বেগম (২০) নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন র্যাবের ১ সদস্য সহ আরও তিন রোহিঙ্গা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন