ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে রোবটিক অস্ত্র মোতায়েন করেছে ইসরাইল। স¤প্রতি ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে প্রবল উত্তেজনার মধ্যেই এমন পদক্ষেপ নিয়েছে দেশটি। এই রোবটিক অস্ত্র গুলি ছোড়ার পাশাপাশি টিয়ার গ্যাস এবং স্টান গ্রেনেডও ছুড়তে পারে। ইসরাইলিরা চাইলে এখন দূরে বসেই ফিলিস্তিনিদের টার্গেট করে হামলা চালাতে পারবে এই অস্ত্র দিয়ে। খবরে জানানো হয়েছে, হেবরন শহর এবং আল-আরব শরণার্থী শিবিরের সামনে এই অস্ত্র মোতায়েন করেছে ইসরাইল। এই রোবটিক অস্ত্র ইসরাইলি নজরদারি টাওয়ারগুলোর উপরে মোতায়েন করা হয়েছে। এই টাওয়ারে যে শক্তিশালী নজরদারী ক্যামেরা আছে তার সঙ্গে যুক্ত এই রোবটিক অস্ত্র। এর নিজস্ব ক্যামেরা ও সেন্সরও রয়েছে। ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ দূরে বসেই নির্দিষ্টি টার্গেটে হামলা চালাতে পারবে। এছাড়া এই অস্ত্রগুলো নিজে থেকেই টার্গেট বাছাই করে গুলি ছুড়তে পারে। স¤প্রতি ফিলিস্তিনের অভ্যন্তরে একাধিক অভিযান পরিচালনা করে ইসরাইল। এতে বহু ফিলিস্তিনি হতাহত হয়। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা অব্যাহত আছে। যেই দুই এলাকায় সবথেকে বেশি সংঘাত দেখা গেছে, মূলত সেখানেই নতুন এই অস্ত্র মোতায়েন করেছে ইসরাইল। ফলে কোনো ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী বা সংগঠন যদি ইসরাইলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে নামে, এই টারেট থেকে অনবরত টিয়ার গ্যাস এবং রাবার বুলেট বেরুতে থাকবে। কারও পক্ষে রাস্তায় দাড়ানোরই সুযোগ হবে না। এতে মানুষের মৃত্যু হতে পারে বলেও ফিলিস্তিনিদের সাবধান করে দিয়েছে ইসরাইল। হেবরনে থাকা এক ফিলিস্তিনি অধিকারকর্মী ইসা আমরো এপি-কে বলেন, আমরা ইসরাইলি কোম্পানিগুলোর জন্য প্রশিক্ষণ বা সিমুলেশন না। এ ধরণের আচরণ ইসরাইলকে অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। স্থানীয় দোকানদার হুসেইন আল-মুজিন বলেন, এলাকাটি এখন প্রায়ই টিয়ার শেলে ছেয়ে থাকে। তাই আমরা জানালা খুলি না, দরজা খুলি না। আমরা এখন নিজেদের লুকিয়ে রাখতে অভ্যস্ত হয়ে গেছি। এপি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন