জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়াসুকাজু হামাদা সাংবাদিকদের বলেছেন, শুক্রবার উৎক্ষেপণ করা উত্তর কোরিয়ার আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রায় ১৫ হাজার কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করে তার স্বাভাবিক গতিপথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছে যেতে পারত।
‘ফ্লাইট ট্র্যাজেক্টোরির উপর ভিত্তি করে গণনা দেখায় যে, (মিসাইলের) রেঞ্জ ১৫ হাজার কিমি অতিক্রম করতে পারে, এটি ওয়ারহেডের ওজন এবং অন্যান্য কারণের উপর নির্ভর করে। এইভাবে, যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ড উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্রের নাগালের মধ্যে রয়েছে,’ তিনি বলেছিলেন। হামাদা বলেছিলেন যে, প্রাথমিক তথ্য অনুসারে, ক্ষেপণাস্ত্রটি সর্বোচ্চ ৬ হাজার কিলোমিটার উচ্চতায় প্রায় ১ হাজার কিলোমিটার উড়েছিল, অর্থাৎ এটি একটি খাড়া পথ অনুসরণ করেছিল। এটি প্রায় ৬৯ মিনিট ধরে বাতাসে ভেসে ছিল এবং হোক্কাইডোর উত্তর প্রিফেকচারের অন্তর্গত ওশিমা-ওশিমা দ্বীপের ২০০ কিলোমিটার পশ্চিমে জাপানের একচেটিয়া অর্থনৈতিক অঞ্চলের মধ্যে মোটামুটিভাবে অবতরণ করেছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার কম্বোডিয়াতে কোরিয়া প্রজাতন্ত্র, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং জাপানের নেতারা ত্রিপক্ষীয় শীর্ষ সম্মেলনের সময় একমত হয়েছিল তারা প্রতিরক্ষা জোরদার করবে। তার একদিন পর এই ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ হল। উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী চো সন-হুই বলেছেন যে, পিয়ংইয়ং মার্কিন প্রতিরক্ষা জোরদার করার প্রত্যক্ষ অনুপাতে প্রতিক্রিয়া জানাবে। সূত্র : এপি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন