দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর প্রখ্যাত আলেম ও পাকিস্তানের গ্র্যান্ড মুফতি রফি উসমানি শুক্রবার করাচিতে ৮৬ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন।
১৯৩৬ সালে জন্মগ্রহণ করেন মুহাম্মদ রফি উসমানি। তিনি ছিলেন একজন ধর্মীয় পণ্ডিত, আইনবিদ এবং লেখক। দারুল উলুম করাচির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। তিনি দারুল উলূম দেওবন্দ, পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় এবং দারুল উলুম করাচির সাবেক ছাত্র ছিলেন।
মুহাম্মদ রফি উসমানি আহকাম-ই-জাকাত, আল-তালিকাত আল-নাফিয়াহ আলা ফাতহ আল মুলহিম, ইসলাম মে আওরাত কি হুকমরানি এবং নাওয়াদির আল-ফিকহসহ বহু বই লিখেছেন।
মুহাম্মদ রফি উসমানি দারুল উলূম করাচির প্রতিষ্ঠাতা মরহুম মুফতি মুহাম্মাদ শফির ছেলে এবং আরেকজন উল্লেখযোগ্য ইসলামিক পণ্ডিত মুহাম্মদ তাকি উসমানির ভাই ছিলেন।
ফিকাহ, হাদিস এবং তাফসিরে তার জ্ঞানের জন্য স্বীকৃত মুফতি রফি উসমানি উর্দুতে প্রচুর বইয়ের পাশাপাশি আরবি ভাষায়ও উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ রচনা করেছেন।
দেশের গ্র্যান্ড মুফতির মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। তিনি বলেন, 'মুফতি রফি উসমানী ফিকহ, হাদীস ও তাফসির ক্ষেত্রে মূল্যবান সেবা প্রদান করেছেন। তার ধর্মীয় ও একাডেমিক সেবা এবং ধর্মীয় জ্ঞানের প্রচারের জন্য সেবা।'
টুইটবার্তায় পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ বলেছেন, ইসলাম ও পাকিস্তানের জন্য মুফতি রফি উসমানীর সেবা অনুকরণীয়।
পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী মরিয়ম আওরঙ্গজেবও ইসলামিক স্কলারের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, 'মুফতি রফি উসমানীর মৃত্যু এক অপূরণীয় ক্ষতি। মৃত ব্যক্তির ধর্মীয় সেবা সর্বদা স্মরণীয় থাকবে।'
সিন্ধুর গভর্নর কামরান তেসোরিও তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। এক শোকবার্তায় তিনি বলেন, 'এটি শুধু পাকিস্তান নয়, ইসলামিক বিশ্বের জন্য একটি বড় ক্ষতি। ধর্মীয় শিক্ষার প্রচারে মুফতি সাহেবের অবদান অতুলনীয়।'
সিন্ধুর মুখ্যমন্ত্রী সৈয়দ মুরাদ আলি শাহও তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন। সূত্র: জিও টিভি
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন