মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৫ চৈত্র ১৪৩০, ০৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

রেমিট্যান্স বাড়াতে নতুন কৌশল

হুন্ডি রোধে ট্যাক্সফোর্স

মো. জাহিদুল ইসলাম | প্রকাশের সময় : ২১ নভেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

বর্তমানে দেশে ডলার সঙ্কটের মধ্যে নতুন করে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে হুন্ডি বাণিজ্য বেড়ে যাওয়া। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন বিশ্লেষণে দেখা যায়, প্রবাসীদের রেমিট্যান্স পাঠানো প্রতিমাসেই কমছে। এজন্য হুন্ডি বাণিজ্য রোধে অর্থ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে একটি ট্যাক্সফোর্স গঠন প্রক্রিয়া নিয়ে তোড়জোড় শুরু হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে এ ট্যাক্সফোর্স গঠন করা হবে। এতে পরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় ছাড়াও বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), সিআইডি, দুনীতি দমন কমিশনসহ বিভিন্ন সংস্থা সংযুক্ত থাকবেন। এছাড়া এ ট্যাক্সফোর্স দুনীতি, অনিয়ম, অর্থ পাচার নিয়েও কাজ করবে। এরই মধ্যে প্রায় ১৭টি দেশে বাংলাদেশি বসবাসকারী প্রবাসীদের আস্থা অর্জনের জন্য বেশ কয়েকটি দূতাবাসে সাথে আলোচনাও করেছে সরকার। অর্থমন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

অর্থমন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বাংলাদেশে দুই সপ্তাহ সফর শেষে ওয়াশিংটনভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেগ্রিটির (জিএফআই) একটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে অর্থমন্ত্রণালয়। সে প্রতিবেদন বলা হয়েছে, ২০০৯ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত বৈদেশিক বাণিজ্যের আড়ালে বাংলাদেশ থেকে ৭ হাজার ৩৬৫ কোটি ডলার পাচার হয়েছে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৭ লাখ ৩৬ হাজার ৫শ কোটি টাকার মতো। এসব অনিয়ম ও অর্থপাচার ঠেকাতে সব ধরনের লেনদেনের ওপর নিবিড় তদারকি জোরদার করার কথা জানিয়েছে। অর্থপাচার রোধে কাজ করা বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) সক্ষমতা বাড়ানো, সংস্থাটিকেও ওপরের চাপ আর নির্দেশের অপেক্ষায় হাত গুটিয়ে বসে না থেকে দেশের উপকারে আসে, এমন পদক্ষেপ নিতে হবে। কারণ, অর্থ পাচার ঠেকানোর মূল দায়িত্ব তাদের। এছাড়া বর্তমান ডলার-সঙ্কটের পরিস্থিতিতে নির্দিষ্ট আয়ের সব খাতের মানুষ চাপে পড়েছে। তাই সক্রিয় হতে হবে দুর্নীতি প্রতিরোধে কাজ করা সংস্থাগুলোকে। দৃশ্যমান ব্যবস্থা নিতে হবে পাচারকারীদের বিরুদ্ধে। তাহলেই হুন্ডি কার্যক্রম ও অর্থ পাচার প্রতিরোধ করা সম্ভব।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১৮ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ১৬ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার ও ২০১৭-১৮ অর্থবছরে এসেছে ১৪ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার। ২০২১-২২ অর্থবছরের এপ্রিল পর্যন্ত ১০ মাসের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, রেমিট্যান্স সবচেয়ে বেশি কমেছে সউদী আরব থেকে, যেখানে রয়েছে ২২ লাখ বাংলাদেশি।

এদিকে চলতি নভেম্বর মাসের প্রথম ১৮ দিনে ১০৫ কোটি ৯৯ লাখ (১ দশমিক শূন্য ৫ বিলিয়ন) মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। দেশীয় মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১০৮ টাকা ধরে) যার পরিমাণ প্রায় সাড়ে ১১ হাজার কোটি টাকা। চলমান ধারা অব্যাহত থাকলে মাস শেষে প্রবাসী আয়ের পরিমাণ ১৭৬ কোটি ডলার ছাড়াবে। গতকাল রোববার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিসংখ্যান বিভাগের এক প্রতিবেদনে এ চিত্র পাওয়া গেছে। খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বৈধপথে প্রবাসী আয় ধারাবাহিক কমছে। অর্থনীতির অন্যতম এ সূচকটির নেতিবাচক গতি দুশ্চিন্তায় ফেলেছে। এমন পরিস্থিতিতে বৈধপথে রেমিট্যান্স আনতে বিভিন্ন শর্ত শিথিল, চার্জ ফি মওকুফসহ বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কিন্তু তারপরও ইতিবাচক সাড়া মিলছে না।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার সউদী আরব থেকে ২০২১-২২ অর্থবছরের ১০ মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ৩ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার। অথচ এর আগের অর্থবছরের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার।
রেমিট্যান্স কম আসার তালিকায় দ্বিতীয়তে রয়েছে মালয়েশিয়া। ২০২১-২২ অর্থবছরের ১০ মাসে দেশটি থেকে আসা রেমিট্যান্সের পরিমাণ ৮৪৯ দশমিক ৮৬ মিলিয়ন ডলার। এর আগের অর্থবছরের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ১ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার।

এদিকে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) সম্প্রতি বলেছে, বিকাশ-নগদ ও রকেটের মতো মোবাইলে আর্থিক সেবাদাতা (এমএফএস) প্রতিষ্ঠানগুলোর অন্তত পাঁচ হাজার এজেন্ট অবৈধ উপায়ে বিদেশ থেকে অর্থ আনা ও বিদেশে অর্থ পাঠানোয় জড়িত। তাদের মাধ্যমে চার মাসে প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকার প্রবাসী আয় (রেমিট্যান্স) বিতরণ হয়েছে। এভাবে দেশ বছরে প্রায় ৭৮০ কোটি মার্কিন ডলার বা ৭৫ হাজার কোটি টাকার রেমিট্যান্স থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

অর্থপাচার রোধে কাজ করা সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সিলেট ছিল প্রবাসী আয়ের বড় উৎস। ফলে অর্থ পাচারকারীদের বড় অংশ হলেন ওই অঞ্চলের নাগরিকেরা। কারণ, ওখানকার নতুন প্রজন্মও বিদেশে আবাস গড়ছে। তারা দেশের সম্পদ বিক্রি করে বাইরে নিয়ে যাচ্ছে। আবার ধানমন্ডি ও গুলশানের মতো এলাকার অনেক বাসিন্দাও বাড়ি ও সম্পদ বিক্রি করে স্থায়ীভাবে বিদেশে চলে যাচ্ছেন। বিদেশে বৈধভাবে টাকা নেওয়ার সুযোগ না থাকায় অবৈধভাবেই তা বাইরে নেওয়া হচ্ছে।

এদিকে গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুল রউফ তালুকদার বলেছেন, হুন্ডি প্রতিরোধে করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কঠোর নজরদারি করছে। তিনি বলেন, আন্ডার ইনভয়েসিংয়ের (কম মূল্য দেখানো) মাধ্যমে অর্থ পাচার ঠেকাতে আমরা সতর্ক অবস্থান নিয়েছি। এতে সঙ্কট পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। আগামী জানুয়ারি মাস থেকে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার সঙ্কট আর থাকবে না।

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের বিশেষ ফেলো প্রফেসর মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, এই উদ্যোগ প্রবাসীকর্মীদের বৈধ চ্যানেল থেকে অবৈধ চ্যানেলে স্থানাস্তরিত হওয়ার প্রবণতাকে হ্রাস করবে। যারা দেশে রেমিট্যান্স পাঠায়, তাদেরকে বৈধ চ্যানেল ব্যবহারে উৎসাহিত করতে বিনিময় হার ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে, অবৈধ চ্যানেলের মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠানোর ঝুঁকি তুলে ধরে এক্ষেত্রে নজরদারি বাড়ানো ও জোরালো প্রচারের প্রয়োজন রয়েছে। নতুন অভিবাসীদের লক্ষ্য করে একটি শক্তিশালী প্রচার কার্যক্রমের মাধ্যমে আগামী অর্থবছরে অভ্যন্তরীণ রেমিট্যান্স ২০২০-২০২১ সালে প্রাপ্ত ২৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারও স্পর্শ করতে পারে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সাহেল উদ্দিন আহমেদ বলেন, রেমিট্যান্স বাড়াতে হলে শিল্পখাতের উন্নয়ন ছাড়া বিকল্প কোন পথ নেই। সেই সঙ্গে প্রবাসীদের রেমিট্যান্স দেশে বৈধ পথে বেশি বিশে আশে সরকারকে আগে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। তার আগে বতর্মানে সরকারকে প্রবাসীদের আস্থা অর্জন করতে হবে। যে আস্থা সরকার ব্যাংকিং সেক্টরের কারনে হারিয়ে ফেলেছে।

ট্যাক্সফোর্স গঠনের বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোন কমিটি গঠন করার উদ্যোগ সঠিক হলে ভালো। তবে গঠন প্রক্রিয়ায় যদি কোন ত্রুটি থাকলে সেই উদ্যোগ ব্যহত হয়। প্রবাসীদের টাকা উত্তোলনে ব্যাংকগুলো হয়রানি করে। সরকার ব্যাংক ডলারের বিনিময় হারের ক্ষেত্রে বৈধ ও অবৈধ চ্যানেলের মধ্যে ৬-৭ টাকার মতো পার্থক্য রয়েছে। এছাড়াও, ডলারের বিপরীতে টাকার দর বাড়াও এর অন্যতম একটি কারণ। বিশ্বব্যাপী করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় টাকা পাঠানোর অবৈধ চ্যানেল হুন্ডি কার্যক্রম আবারও স্বাভাবিক হওয়ায় প্রবাসীকর্মীরা এর মাধ্যমেই টাকা পাঠাচ্ছেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (35)
Abdul Mannan Bin Yeakub ২১ নভেম্বর, ২০২২, ৮:১২ এএম says : 0
প্রবাসীদের প্রমোদনা 5%করা হোক এবং এককালিন ভাতার ব‍্যবস্থা করা হোক
Total Reply(0)
Abdul Mannan Bin Yeakub ২১ নভেম্বর, ২০২২, ৮:১২ এএম says : 0
প্রবাসীদের প্রমোদনা 5%করা হোক এবং এককালিন ভাতার ব‍্যবস্থা করা হোক
Total Reply(0)
Abdul Mannan Bin Yeakub ২১ নভেম্বর, ২০২২, ৮:১২ এএম says : 0
প্রবাসীদের প্রমোদনা 5%করা হোক এবং এককালিন ভাতার ব‍্যবস্থা করা হোক
Total Reply(0)
Lipon Goila Barishal ২১ নভেম্বর, ২০২২, ৮:১০ এএম says : 0
অথচ এই প্রবাসীদের সাথে এখনও নির্মম রশিকতাই করে যাচ্ছে সরকার, কারণ প্রায় তিন সপ্তাহ হতে চল্য রেমিট্যান্স পাঠাতে নাকি কোন ফি লাগবেনা? কিন্তু বাস্তবতা হলো টাকার প্রকারভেধে ফি'র পরিমাণও কিন্তু বেড়ে গেছে, আমি ব্যাংক আল-রাঝির কথা বলছি।
Total Reply(0)
Ismail Sagar ২১ নভেম্বর, ২০২২, ৮:১১ এএম says : 0
প্রবাসীদের হয়রানি বন্ধ, সুযোগ-সুবিধা বাড়ালে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়ে যায়।এত ফোর্স করার দরকার কি?
Total Reply(0)
Shahed Parvez ২১ নভেম্বর, ২০২২, ৮:১২ এএম says : 0
সচিব থেকে মন্ত্রী পুলিশ নেতা সবাই যে টাকা পাচার করে এর কোন খবর নেই ‌‌। বিকাশ এবং হুন্ডি তার পিছনে কিন্তু এরা ।
Total Reply(0)
Mohammad Abdul Sattar ২১ নভেম্বর, ২০২২, ৮:১৩ এএম says : 0
প্রবাসীদেরকে যত চাপাচাপি করবেন তারা ততো মনে জেদ নিয়ে হুন্ডিতে পাঠাবে প্রবাসীদের মন অনেক সরল। প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা বাড়াইয়া দেন সহনশীল আচরণ করেন দেখবেন সবাই ঠিক বাবে দেশের স্বার্থে রেমিট্যান্স পাঠাবে।
Total Reply(0)
Golam Kibria ২১ নভেম্বর, ২০২২, ৮:১৩ এএম says : 0
প্রবাসীরা টাকা না পাঠালে দেশ অচল হয়ে পরবে এবং সরকারের দেউলিয়া রুপ প্রকাশ হয়ে যাবে৷ তাই সরকারি চোরেরা প্রবাসীদের উপর নিজেদের অনৈতিক জোরাজোরি চাপিয়ে দিচ্ছে৷ আগে এই সমস্ত চোরেরা ভাল হয়ে যদি প্রবাসীদের এই কথা বলে তাহলে অবশ্যই প্রবাসীরা দেশের স্বার্থ আগে দেখবে
Total Reply(0)
Aminul ২১ নভেম্বর, ২০২২, ৮:৪০ এএম says : 0
প্রবাসীদের প্রমোদনা 5% করা হোক
Total Reply(0)
Aminul ২১ নভেম্বর, ২০২২, ৮:৪০ এএম says : 0
প্রবাসীদের প্রমোদনা 5% করা হোক
Total Reply(0)
Shl ২১ নভেম্বর, ২০২২, ৮:৪৬ এএম says : 0
রেমিটেন্স এর রেট না বাড়াইলে কোন প্যায়তারাই কাজ হবে না। হুন্ডিই ঠিক আছে।
Total Reply(0)
Sk Mamun ২১ নভেম্বর, ২০২২, ১১:৩০ এএম says : 0
আমি সৌদি প্রবাসী,,, নজরানে কর্মস্থল, ,,আমার আশপাশে অনেক বাংলাদেশী ভাইরা বসবাস করেন,,তারা অনেকেই ব্যাংক এর ঝামেলা এড়াতে ,সময় বাচাঁতে এবং বেশি লাভের আশায় হুন্ডিতে টাকা পাঠান।।।এখানে অনেক হুন্ডি ব্যবসায়ী রয়েছে । তাড়া বিভিন্ন অফার বা টাকার রেট বেশি দিয়ে বাংলাদেশিদের টাকা হুন্ডিতে পাঠাতে উৎসাহিত করে,,,আমার মত রেমিট্যান্স বাড়াতে হলে সরকারি প্রণোদনা ৫% করা দরকার, ,তাহলেই প্রবাসীরা ব্যাংক খরচ বা ব্যাংক ঝামেলার মধ্যেও বৈধভাবে দেশে টাকা পাঠাবেন
Total Reply(0)
Abul Kalam Azad ২১ নভেম্বর, ২০২২, ৯:০৮ এএম says : 0
প্রবাসীদের পাঠানো বৈদেশিক মুদ্রার বিপরীতে প্রণোদনা বাড়ানো ছাড়া বৈধ পথে রেমিট্যান্স আসা কমতে থাকবে এ ব‍্যাপারে আমি একমত। এ ব‍্যাপারে জরুরি ভিত্তিতে ব‍্যবস্হা গ্রহন করা প্রয়োজন একই সাথে বিদেশী দুতাবাস গুলিকে প্রবাসীদের যৌক্তিক সেবা প্রদানে আন্তরিকতার সাথে এগিয়ে আসার ব‍্যবস্হা সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষকে করতে হবে।
Total Reply(0)
Abul Kalam Azad ২১ নভেম্বর, ২০২২, ৯:০৯ এএম says : 0
প্রবাসীদের পাঠানো বৈদেশিক মুদ্রার বিপরীতে প্রণোদনা বাড়ানো ছাড়া বৈধ পথে রেমিট্যান্স আসা কমতে থাকবে এ ব‍্যাপারে আমি একমত। এ ব‍্যাপারে জরুরি ভিত্তিতে ব‍্যবস্হা গ্রহন করা প্রয়োজন একই সাথে বিদেশী দুতাবাস গুলিকে প্রবাসীদের যৌক্তিক সেবা প্রদানে আন্তরিকতার সাথে এগিয়ে আসার ব‍্যবস্হা সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষকে করতে হবে।
Total Reply(0)
Md Tariqul Islam ২১ নভেম্বর, ২০২২, ৯:৩৬ এএম says : 0
আমি একজন প্রবাসি এজন্য বলছি,কম খরচে শ্রমিক পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে। সবাই অনেক টাকা ঋণ করে আসে, সে জন্য বেশি টাকার জন্য হুন্ডিতে টাকা পাঠাই। যেন দ্রুত ঋণ পরিশোধ করতে পারে।
Total Reply(0)
Md Tariqul Islam ২১ নভেম্বর, ২০২২, ৯:৩৬ এএম says : 0
আমি একজন প্রবাসি এজন্য বলছি,কম খরচে শ্রমিক পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে। সবাই অনেক টাকা ঋণ করে আসে, সে জন্য বেশি টাকার জন্য হুন্ডিতে টাকা পাঠাই। যেন দ্রুত ঋণ পরিশোধ করতে পারে।
Total Reply(0)
আনোয়ার হোসেন ২১ নভেম্বর, ২০২২, ৯:৪৮ এএম says : 0
আমি যতটুকু জানি এখনো চার্জ মওকুফ কিংবা কমানো হয়নি। আমি তো প্রবাশে ছিলাম। চার্জ অতিরিক্ত যেমন পাঁচ হাজার রিয়াল পাঠালে ২৬ রিয়াল এমন কি কিছু ব্যাংক আছে ৪৫ রিয়াল ও চার্জ নেয়।বিশেষ করে পাঁচ হাজার রিয়ালের উপর হলেও চার্জ টা মনে বেশি হচ্ছে। এটা সাউদী আরবে
Total Reply(0)
Sk Mamun ২১ নভেম্বর, ২০২২, ১১:৩২ এএম says : 0
আমি সৌদি প্রবাসী,,, নজরানে কর্মস্থল, ,,আমার আশপাশে অনেক বাংলাদেশী ভাইরা বসবাস করেন,,তারা অনেকেই ব্যাংক এর ঝামেলা এড়াতে ,সময় বাচাঁতে এবং বেশি লাভের আশায় হুন্ডিতে টাকা পাঠান।।।এখানে অনেক হুন্ডি ব্যবসায়ী রয়েছে । তাড়া বিভিন্ন অফার বা টাকার রেট বেশি দিয়ে বাংলাদেশিদের টাকা হুন্ডিতে পাঠাতে উৎসাহিত করে,,,আমার মত রেমিট্যান্স বাড়াতে হলে সরকারি প্রণোদনা ৫% করা দরকার, ,তাহলেই প্রবাসীরা ব্যাংক খরচ বা ব্যাংক ঝামেলার মধ্যেও বৈধভাবে দেশে টাকা পাঠাবেন
Total Reply(0)
ফিরোজ ২১ নভেম্বর, ২০২২, ১০:২১ এএম says : 0
এককালীন ভাতার বেবস্থা করা হউক।
Total Reply(0)
MizanurRazo ২২ নভেম্বর, ২০২২, ৯:০৩ এএম says : 0
প্রত্যেকটা দেশে দূতাবাস কর্তৃক সিআইডি লাগানো হোক যাতে সার্ভার ব্যবহারের মাধ্যমে বিকাশ এবং ব্যাংক ক্যাশ হুন্ডি বন্ধ হয়৷ কারন হুন্ডি ব্যবসায়ীরা এখন বাংলাদেশ থেকে ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেন করে৷ এবং এই প্রত্যেক দেশ থেকে এই ঘোষনা দেওয়া হোক যে যদি কেও হুন্ডি ও বিকাশে টাকা পাঠানো লোক ধরে দিতে পারে তাকে বড় অঙ্কের অর্থ পুরস্কার দেওয়া হবে৷ তাহলে এতে গোল্ড ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে হুন্ডি কার্যক্রম বন্ধ হবে।
Total Reply(0)
MizanurRazo ২২ নভেম্বর, ২০২২, ৯:০৩ এএম says : 0
প্রত্যেকটা দেশে দূতাবাস কর্তৃক সিআইডি লাগানো হোক যাতে সার্ভার ব্যবহারের মাধ্যমে বিকাশ এবং ব্যাংক ক্যাশ হুন্ডি বন্ধ হয়৷ কারন হুন্ডি ব্যবসায়ীরা এখন বাংলাদেশ থেকে ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেন করে৷ এবং এই প্রত্যেক দেশ থেকে এই ঘোষনা দেওয়া হোক যে যদি কেও হুন্ডি ও বিকাশে টাকা পাঠানো লোক ধরে দিতে পারে তাকে বড় অঙ্কের অর্থ পুরস্কার দেওয়া হবে৷ তাহলে এতে গোল্ড ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে হুন্ডি কার্যক্রম বন্ধ হবে।
Total Reply(0)
Mohammed saleh Babu ২২ নভেম্বর, ২০২২, ৯:২৭ এএম says : 0
সরকার যতই কৌশল অবলম্বন করুক না কেন, প্রবাসীদের যৌক্তিক দাবি-দাওয়া পূরণ না হওয়া পর্যন্ত রেমিনেন্স প্রবাহ বাড়বে না। প্রণোদনা ৩% করতে হবে এবং আমরা যে টাকা পাঠাই টাকা পাঠানোর যে কমিশন সেটা সম্পূর্ণরূপে বাতিল করতে হবে। প্রবাসীদের জন্য পেনশন স্কিম চালু করতে হবে। বিভিন্ন দেশের দূতাবাস এবং ঢাকা এয়ারপোর্টে প্রবাসীদের হয়রানি সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করতে হবে। প্রবাসীদের ছেলেমেয়েরা যেন সকল স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়তে ভর্তি হতে পারে সেই ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে, প্রবাসীরা দেশের ছুটিতে আসলে ওদের পরিবারের এবং প্রবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চয়তা বিধান করতে হবে। কোন প্রবাসী প্রবাসে মারা গেলে বিনা খরচে ওনার লাশ দেশে পৌঁছাতে হবে, প্রবাসীদের nid card এর ব্যবস্থা করতে হবে, যেন প্রবাসীরা প্রবাস থেকে উনাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে। এবং জায়গা জমি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ক্রয় বিক্রয় করতে পারে। সরকার মহোদয় এই দাবিগুলোর প্রতি গুরুত্ব আরোপ করলে অটোমেটিকলি রেমিড্যান্স প্রবাহ দ্বিগুণ হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।
Total Reply(0)
Kamal ২২ নভেম্বর, ২০২২, ১২:০১ এএম says : 0
প্রবাসীদের এয়ারপোর্টে হয়রানি বন্ধ করতে হবে, পাসপোর্ট করতে পুলিশ কিংবা দালালদের হয়রানি বন্ধ করতে হবে,
Total Reply(0)
Kamal ২২ নভেম্বর, ২০২২, ১২:০২ এএম says : 0
প্রবাসীদের এয়ারপোর্টে হয়রানি বন্ধ করতে হবে, পাসপোর্ট করতে পুলিশ কিংবা দালালদের হয়রানি বন্ধ করতে হবে,
Total Reply(0)
Hossain Mohammed Farhad ২২ নভেম্বর, ২০২২, ১০:২৫ এএম says : 0
সিংগাপুর প্রবাসী ১. ৫ ডলার ব্যাংক চার্জ, যাহা অতিরিক্ত। ২.ব্যাংক কর্মকর্তাদের আচরণ খুব নিচু মানের। ৩. জনবল সংকটে দীর্ঘক্ষন লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা। ৫.বাংলাদেশ হাইকমিশনে সেবার মান ৩০% নিচে। ৬।প্রবাসে আসার সময় সরকারি কোন ব্যাংক সহজ শর্তে ঋন না দেওয়া।প্রবাসীরা ২-৩ লাখ ঋন চাইলে ১০০ ডকুমেন্টস লাগে অথচ বড় বড় চোর গুলো হাজার কোটি ঋন নিয়ে দেয়না।তাদের কেউ কিছু করতে পারেনা। ৭.বিমানবন্দরে সেবার মান তলানিতে। ৮.পাসপোর্ট তৈরিতে পদে পদে ভোগান্তি।
Total Reply(0)
Mohammed Abdul Latif ২২ নভেম্বর, ২০২২, ১:১৫ পিএম says : 0
প্রবাসীদের জন্য প্রনোদনা ৫% কম পক্ষে করা হউক। একই সাথে সকল প্রবাসীদের জন্য দেশে ফেরৎ আসার পর পেনশন জাতীয় ভাতার পব্যবস্থা একান্ত জরুরী ।
Total Reply(0)
Hossain Mohammed Farhad ২২ নভেম্বর, ২০২২, ১০:২৫ এএম says : 0
সিংগাপুর প্রবাসী ১. ৫ ডলার ব্যাংক চার্জ, যাহা অতিরিক্ত। ২.ব্যাংক কর্মকর্তাদের আচরণ খুব নিচু মানের। ৩. জনবল সংকটে দীর্ঘক্ষন লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা। ৫.বাংলাদেশ হাইকমিশনে সেবার মান ৩০% নিচে। ৬।প্রবাসে আসার সময় সরকারি কোন ব্যাংক সহজ শর্তে ঋন না দেওয়া।প্রবাসীরা ২-৩ লাখ ঋন চাইলে ১০০ ডকুমেন্টস লাগে অথচ বড় বড় চোর গুলো হাজার কোটি ঋন নিয়ে দেয়না।তাদের কেউ কিছু করতে পারেনা। ৭.বিমানবন্দরে সেবার মান তলানিতে। ৮.পাসপোর্ট তৈরিতে পদে পদে ভোগান্তি।
Total Reply(0)
আলিউর রহমান ২২ নভেম্বর, ২০২২, ৩:১২ এএম says : 0
প্রবাসীরা দেশে রেমিট্যান্স দেশে পাঠাবে আর দেশের চোরেরা কানাডায়া বাড়ি বানাবে সেটা আর হবেনা। দেশের চোরদের আগে আইনের আওতায় আনা হউক।
Total Reply(0)
আলিউর রহমান ২২ নভেম্বর, ২০২২, ৩:১২ এএম says : 0
প্রবাসীরা দেশে রেমিট্যান্স দেশে পাঠাবে আর দেশের চোরেরা কানাডায়া বাড়ি বানাবে সেটা আর হবেনা। দেশের চোরদের আগে আইনের আওতায় আনা হউক।
Total Reply(0)
rana md shohel ২৩ নভেম্বর, ২০২২, ২:৩৪ পিএম says : 0
যোগ্যতা অবসরে যে যে দেশে যেতে চাই তাকে সরকার নিজ দায়িত্বে/খরচে পাঠানো উচিত তাহলে এক টাকাও অবৈধ পথে যাবে না গ্যারান্টি
Total Reply(0)
rana md shohel ২৩ নভেম্বর, ২০২২, ২:৩৫ পিএম says : 0
যোগ্যতা অবসরে যে যে দেশে যেতে চাই তাকে সরকার নিজ দায়িত্বে/খরচে পাঠানো উচিত তাহলে এক টাকাও অবৈধ পথে যাবে না গ্যারান্টি
Total Reply(0)
Shariful ২২ নভেম্বর, ২০২২, ৭:১৯ এএম says : 0
Need to focus on them .who doing hundy business. Need to arrest them . dismiss there iligale business. Hundy like a terrorist for country
Total Reply(0)
Abul bashar ২৬ নভেম্বর, ২০২২, ৯:৩৯ পিএম says : 0
সর্ব প্রথম সরকারের পাচার ও দুর্নীতি বন্ধ করা হোক যারা দুর্নীতির সাথে সম্পৃক্ত তাদের আইনের আওতায় আনা হোক হুন্ডিতে যে টাকা দেওয়া হয় তা ব্যাংকে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক এবং প্রবাসীদের ভিআইপি মর্যাদা দেওয়া হোক
Total Reply(0)
Abul bashar ২৬ নভেম্বর, ২০২২, ৯:৪০ পিএম says : 0
সর্ব প্রথম সরকারের পাচার ও দুর্নীতি বন্ধ করা হোক যারা দুর্নীতির সাথে সম্পৃক্ত তাদের আইনের আওতায় আনা হোক হুন্ডিতে যে টাকা দেওয়া হয় তা ব্যাংকে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক এবং প্রবাসীদের ভিআইপি মর্যাদা দেওয়া হোক
Total Reply(0)
আরাফাত সালমান ২৮ নভেম্বর, ২০২২, ৪:২৪ পিএম says : 0
অভিবাসন ব্যয় ও বিমানবন্দরে হয়রানি রোধে ট্রাস্কফোর্স গঠন করুন, তাতেই কাজ হবে , না হয় কোন ফোর্স ই কাজে দিবে না৷
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন