শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

ঢাকায় মানবজট

ঘনীভূত নাগরিক সঙ্কট

সাঈদ আহমেদ | প্রকাশের সময় : ২৫ নভেম্বর, ২০২২, ১২:০২ এএম

ঢাকার জনসংখ্যা কত? সর্বশেষ জনশুমারি বলছে, ঢাকা উত্তর সিটির জনসংখ্যা ৫৯ লাখ ৭৯ হাজার ৫৩৭ জন। দক্ষিণ সিটিতে ৪২ লাখ ৯৯ হাজার ৩৪৫ জন। এ হিসাব ধরলে ঢাকা সিটির জনসংখ্যা ১ কোটি ২ লাখের বেশি। বিভাগ হিসাবে ঢাকার জনসংখ্যা ৪ কোটি ৪২ লাখ ১৫ হাজার ১০৭ জন। জাতিসংঘের প্রতিবেদন বলছে, বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল নগরীর তালিকায় ঢাকার স্থান ১১তম। গ্লোবাল সিটিজ ইনস্টিটিউশনের সমীক্ষা মতে, ২০৫০ সালে ঢাকার জনসংখ্যা দাঁড়াবে ৩ কোটি ৫২ লাখ। আঁতকে ওঠার মতোই তথ্য বটে। ক্রমঃবর্ধিষ্ণু এ জনসংখ্যা অন্নসংস্থান, বাসস্থানসহ সবকিছুতেই বাড়তি চাপ সৃষ্টি করছে। সৃষ্ট বহুমাত্রিক সঙ্কটের মধ্যে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভয়াবহরূপ ধারণ করেছে রাজধানীর ‘মানবজট’।

ক্রমঃবর্ধিষ্ণু মানবজট : নগর-পরিকল্পনাবিদদের সংগঠন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স (বিআইপি) চলতি বছর জানুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর একটি চিঠি লেখে। তাতে রাজধানীর জনসংখ্যা ঘনত্বের চিত্র তুলে ধরে বলা হয়, ঢাকার চারটি এলাকার জনঘনত্ব বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। এলাকাগুলো হচ্ছে, পুরান ঢাকার লালবাগ, বংশাল ও গেন্ডারিয়া এবং খিলগাঁওয়ের সবুজবাগ। এসব এলাকায় প্রতি একর আয়তনে ৭০০ থেকে ৮০০ মানুষ বসবাস করেন। সংস্থাটি আরও জানায়, মহানগর বা মেগাসিটির ক্ষেত্রে জনঘনত্বের মানদণ্ড ধরা হয় একরপ্রতি সর্বোচ্চ ১২০ জন। অথচ ঢাকার ৬৩ শতাংশ এলাকায় প্রতি একরে ৩০০ জনের বেশি মানুষ বাস করছে। একরপ্রতি জনঘনত্ব ৪০০ জনের বেশি ঢাকার ৪০ শতাংশ এলাকায়। সবচেয়ে বশি জনঘনত্বের চার এলাকার অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও নাগরিক সুবিধার সব মানদণ্ডে পিছিয়ে আছে। সংস্থাটি উল্লেখ করে, ঢাকাকে বসবাস-অযোগ্যতার হাত থেকে বাঁচাতে হলে জনসংখ্যা ও জনঘনত্ব নিয়ন্ত্রণের কোনো বিকল্প নেই। ঢাকামুখী মানুষের স্রোত বন্ধ করতে হবে। ঢাকার বাইরে কর্মসংস্থান ও অন্যান্য নাগরিক সুবিধা বাড়ানো জরুরি।

বিআইপি’র এ তথ্যে ঢাকার অনিয়ন্ত্রিত জনসংখ্যার বিষয়টি স্পষ্ট। জনস্রোত রাজধানীমুখী হওয়ার যৌক্তিক কারণও বিদ্যমান। যেমন, রাজধানীর ভেতর ও চারপাশে গড়ে ওঠা অপরিকল্পিত শিল্প-কারখানা ্স্থাপন, সরকারি-বেসরকারি প্রশাসন ঢাকায় কেন্দ্রীভূত রাখা, গ্রামে কর্মসংস্থানের অভাব, কৃষিজমি হ্রাস, উপজেলা এবং মফস্বল পর্যায়ে মানসম্মত স্বাস্থ্য ও শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে না ওঠা। জনস্রোতের মাঝেই রয়েছে ঢাকায় অপরিকল্পিত অবকাঠামো নির্মাণ, যানজট, অকার্যকর ট্রাফিক সিস্টেম, বেদখল ফুটপাথ। এছাড়া রাস্তার জায়গা দখল করে ফুটওভার, ফ্লাইওভার এবং মেট্রোরেলের পিলার স্থাপন জনদুর্ভোগের সাম্প্রতিক সংযোজন। এসবের অনিবার্য পরিণতিই হচ্ছে ঢাকার মানব-জট।

মানসিক ও আর্থিক প্রভাব : পথের প্রথম দাবিদার পথচারী। কিন্তু ঢাকার রাজপথ এবং ফুটপাথ যেন পথচারীর নয়। এখানে ফুটপাথ মানেই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের অলিখিত সম্পত্তি। ফুটপাথের দু’পাশ দখল করে সারি সারি বসানো হয়েছে অস্থায়ী দোকান। ফুটপাথ যত চওড়াই হোক, পথচারী চলাচলের জন্য রাখা হয় এক-দেড় ফিটের সরু গলি। এর মধ্যে গাদাগাদি করে চলতে হয় পথচারীকে। রাজধানীর মিরপুর-১০ নম্বর, ১ নম্বর, ফার্মগেট, নিউমার্কেট, এলিফ্যান্ট রোড, মৌচাক, গুলিস্তান, মতিঝিল, পল্টন, আরামবাগ, ফকিরাপুল, শান্তিনগর, যাত্রাবাড়ি, মানিকনগর, সদরঘাট, নবাবপুর, কাপ্তান বাজার, আলুবাজার, নয়াবাজার, মহাখালি, বিমানবন্দর এলাকা, উত্তরা রাজলক্ষ্মী, জসিমউদ্দিন, হাউজবিল্ডিং এলাকার ফুটপাথে লক্ষ্য করা যায় মানবজট। ঢাকার যানজটকে নিরসন-অযোগ্য নাগরিক সঙ্কট মনে করা হয়। তাই যানজট নিরসনে বিভিন্ন সময় নেয়া হয় একের পর এক প্রকল্প। অথচ মানবজট কতটা ভয়াবহ রূপ পরিগ্রহ করেছে, সে নিয়ে ভাবনার উদ্রেক হয়নি কারও। যানজট নিয়ে বিস্তর গবেষণা হয়েছে, এখনও হচ্ছে। বুয়েটের এক গবেষণায় দেখা যায়, ঢাকায় যানজটের কারণে গড়ে প্রতিদিন ৫০ লাখ কর্মঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে। যার আর্থিক পরিমাণ ৩৭ হাজার কোটি টাকা। জাতীয় বাজেটের ১১ ভাগের এক ভাগ। ঢাকায় যানজটের কারণে পিক-আওয়ারে গণপরিবহনগুলোর গতিবেগ ঘণ্টায় ৫ কিলোমিটারে নেমে এসেছে। ওই গবেষণায় হেঁটে চলার গড় গতিও ঘণ্টায় ৫ কিলোমিটার বলে উল্লেখ করা হয়। গাড়ি এবং হাঁটার গতি সমান। তবে সম্মিলিতভাবে উভয়ের গতি ক্রমেই কমছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা পথে আটকে থাকার কারণে ঢাকাবাসীর মধ্যে মানসিক চাপ সৃষ্টি হচ্ছে। এ চাপ কাজ করছে অন্যান্য রোগের কারণ হিসেবে। যানজট এবং মানব চলাচলের গতি কমে যাওয়ার কারণে ৯ ধরনের মানবিক আচরণকে প্রভাবিত করছে। মানুষের ধৈর্য এবং সহনশীলতা হ্রাস পাচ্ছে। মেজাজ খিটখিটে হচ্ছে। তুচ্ছ বিষয়েও মানুষ উত্তেজিত হয়ে পড়ছে। উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা জাতীয় নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। কর্মক্ষেত্রে পৌঁছানোর আগেই ক্লান্ত হয়ে পড়ছে মানুষ। পথের উদ্বেগের কারণে কর্মক্ষমতা, মনোযোগ, কর্মস্পৃহা হ্রাস পায়। পরিবারেও ব্যক্তিগত সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আইন, রাষ্ট্র ও সরকার ব্যবস্থার প্রতি অশ্রদ্ধার প্রবণতা বেড়েছে। রাস্তাঘাটে কোনো আইন মানুষ প্রতিপালন করতে অনাগ্রহী।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অ্যাকসিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট (এআরআই) এবং রোড সেফটি ফাউন্ডেশন আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে ইন্সটিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, রাজধানীর যানজট যদি ৬০ শতাংশ কমানো যায়, তাহলে ২২ হাজার কোটি টাকা বাঁচানো সম্ভব।

অর্থনীতিবিদ ড. নাজনীন আহমেদ মনে করেন, ঢাকায় যনজটের একটি বড় কারণ প্রাইভেট কার। প্রাইভেট কার ব্যবহারের কারণে কম সংখ্যক মানুষ বেশি সড়ক ব্যবহার করছেন। মাত্র চারজনের জন্য একটি প্রাইভেটকার যে পরিমাণ সড়ক ব্যবহার করে, গণপরিবহণ ওই একই পরিমাণ সড়ক দখল করে ৬০ জন যাত্রী পরিবহন করতে পারে। আমরা যদি গণপরিবহণ ব্যবস্থা উন্নত করতে পারি, তাহলে ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার কমবে, যানজট কমবে। হ্রাস পাবে মানবজটও।

নতুন স্থাপনায় সংকুচিত পথ- ফুটপাথ : যানজট নিয়ে ইত্যকার গবেষণা এবং পর্যবেক্ষণ থাকলেও ঢাকার মানবজট নিয়ে কোনো ‘স্টাডি‘ আছে বলে জানা যায় না। অথচ ঘণীভূত এই নাগরিক সঙ্কট দিনকে দিন ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে। ঢাকার রাস্তা নগরবাসীর স্বাভাবিক হাঁটাচলারও উপযোগিতা হারাচ্ছে। যানজটের কারণে কেউ পায়ে হেঁটে গন্তব্যে যাওয়ার চেষ্টা করলেও সেই উপায় নেই। যান চলাচল নৈরাজ্যের সাথে রয়েছে বেদখল ফুটপাথ। হকারদের দোকান বসানোর পর যদি কিঞ্চিত ফাঁকা থাকলে তবেই চলাচল করতে পারছেন পথচারী। এর ফলে নগরীর ব্যস্ততম এলাকার রাস্তায়, ফুটপাথে সৃষ্টি হচ্ছে মানবজট। গায়ের সঙ্গে গা লাগিয়ে পিঁপড়ার মতো চলতে হচ্ছে মানুষকে। সামনের পথচারীরে গায়ে ধাক্কা লাগছে। পেছন থেকে ধাক্কা দিচ্ছেন আরেকজন। গায়ে গায়ে লাগানো পথচারীর মিছিল শুধু ব্যস্ত নগরীর ধাবমান মানুষকেই শ্লথ করে দিচ্ছে না। গিলে খাচ্ছে মানুষের কর্মঘণ্টাও। সৃষ্টি করছে মানসিক চাপ। সংক্রামক ব্যধির বিস্তার তো ঘটাচ্ছেই।

বিশ্লেষকদের মতে, জনঘনত্বের তুলনায় অপরিসর রাস্তাই যানজট এবং মানব জটের প্রধান কারণ। এর মধ্যে নানা কারণে ফুটপাথ দখল এবং রাস্তার ওপর অপরিকল্পিত স্থাপনা মানবজটকে বাড়িয়ে তুলছে। দুর্ঘটনা এড়াতে রাস্তা পারাপারে তৈরি করা হয়েছে বহু ফুটওভার। ফুটওভারে ওঠা-নামার সিঁড়ি দখল করছে ফুটপাথ। যানজট নিরসনে নির্মাণ করা হয়েছে ফ্লাইওভার, ইউলুপ। ফ্লাইওভার ও ইউলুপের পিলার স্থপিত হয়েছে মূল রাস্তার অনেকখানিজুড়ে। ফ্লাইওভারে মাধ্যমে কিছু যানবাহনকে যানজটের আওতার বাইরে নিয়ে আসার চেষ্টা করা হলেও ফ্লাইওভারে লেগে থাকছে যানজট। ফ্লাইওভারের পিলার স্থাপনের কারণে নিচের রাস্তা সংকুচিত হয়ে গেছে। ফ্লাইওভারের নিচ দিয়ে পথচারী এবং যানচলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। এতে বেড়েছে মানবজট এবং যানজটপ্রবণ এলাকার পরিসর।

জন চলাচল থেকে দ্রুত, সাশ্রয়ী, নিরাপদ ও আরামদায়ক করতে প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়িত হচ্ছে ‘বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট’-বিআরটি। ঢাকার এয়ারপোর্ট থেকে গাজীপুর পর্যন্ত ২০ দশমিক ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ বিআরটি’র একটি অংশ সম্প্রতি খুলে দেয়া হয়েছে। কিন্তু এটি নির্মাণে গত এক দশক ধরে অত্র এলাকার যাত্রী-পথচারীদের পোহাতে হচ্ছে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ। অনেক স্থানে বিআরটি’র পিলার স্থাপন করা হয়েছে রাস্তার মাঝখানে। এতেও রাস্তা সংকুচিত হয়েছে। বহুল আলোচিত ‘মেট্রোরেল’ কতখানি নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করবেÑ এই নিয়ে আগে থেকেই সংশয় প্রকাশ করেছেন বিশ্লেষকরা। ঢাকার যেসব এলাকার ওপর দিয়ে মেট্রোরেল গেছে সেসব এলাকার রাস্তা অনেকটা সংকুচিত করেছে মেট্রোরেলের পিলার। মেট্রোরেলের ল্যান্ডিং স্টেশনগুলো চালু হলে সংশ্লিষ্ট এলাকায় মানবজট আরও বাড়বেÑ সন্দেহ নেই।

ক্রমেই ঘণীভূত মানবজটের অন্যতম কারণ ফুটপাথের অবৈধ দখলদারিত্ব। ফুটপাথের মালিকানা পথচারীকে ফিরিয়ে দেয়া গেলে ঢাকার মানবজট সহনীয় মাত্রায় থাকতে পারে বলে মনে করেন ‘হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পীস ফর বাংলাদেশ’র প্রেসিডেন্ট ও সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। সাম্প্রতিক একটি রিটের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, পথচারীর ফুটপাথ ভাড়া দিয়ে অর্থ উপার্জন করছেন প্রভাবশালীরা। মহামান্য হাইকোর্ট এই দখলদারদের তালিকা চেয়েছেন। তাদের দখলদারিত্ব থেকে ফুটপাথ মুক্ত করতে পারলে মানবজটের কিছুটা হলেও সুরাহা হতে পারে।

তিনি বলেন, অপরিকল্পিত নগরায়ণের ফলে এখন পুরান ঢাকা বসবাস অনুপযোগী হয়ে গেছে। ঢাকার পত্তন দিয়ে রাজউক প্রতিষ্ঠা হয়। কিন্তু দুঃখজনভাবে রাজউক মহাপরিকল্পনা প্রণয়নে ব্যর্থ হয়েছে। আমাদের জায়গা-জমি নির্দিষ্ট। লোকসংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। সবকিছুই ঢাকাকেন্দ্রিক। অবকাঠামো উন্নয়ন যদি মহাপরিকল্পনার আওতায় না হয়, তাহলে ঢাকার বাকি অঞ্চলও বসবাস অনুপযোগী হয়ে যাবে। পথেÑ ঘাটে মানবজটে ঢাকা অচল হয়ে যাবে।

জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের নির্দেশনা চেয়ে রিটকারী ব্যারিস্টার মোকছেদুল ইসলাম মনে করেন, অনিয়ন্ত্রিত জনসংখ্যাই রাজধানীতে মানবজটের প্রধান কারণ। আমাদের নীতি নির্ধারকরা এটিকে কোনো সমস্যাই মনে করেন না। সত্যি বলতে, এরশাদ সরকারের পর জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে আর কেউ কোনো কাজ করেননি। তিনি বলেন, রিটে আমরা জনসংখ্যার জন্য পৃথক মন্ত্রণালয় চেয়েছিলাম। সেটি এখনও হয়নি। অপরিকল্পিত নগরায়ণ, যত্রতত্র অবকাঠামো নির্মাণ, কার্যকর ট্রাফিক সিস্টেম না থাকাসহ বহুমাত্রিক কারণ রয়েছে ঢাকায় সৃষ্ট মানবজটের। লক্ষ্য করুন, যাদের ব্যক্তিগত গাড়ি আছে, তারা সরকারকে ট্যাক্স দিচ্ছেন। অথচ কারপার্কিংয়ের জন্য কোনো জায়গা রাখা হয়নি। সর্বত্র মানুষ গিজগিজ করছে। ভবিষ্যতে মানবজট কতটা ভয়াবহরূপ ধারণ করবেÑ কল্পনাও করা যায় না।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (7)
Atour Rahman ২৪ নভেম্বর, ২০২২, ৮:১৪ এএম says : 0
সুন্দর নগরায়নের জন্য দরকার সৎ যোগ্য সাহসী দৃঢ় প্রত্যয়ী সদিচ্ছা সম্পন্ন নগরপতি।
Total Reply(0)
bongobu... ২৪ নভেম্বর, ২০২২, ১:০৫ এএম says : 1
Why dont people adopt 4 wives one child policy?
Total Reply(0)
Khademul Islam ২৪ নভেম্বর, ২০২২, ৮:১৪ এএম says : 0
জনসংখ্যার অব্যাহত চাপে ঢাকা শহরে গণপরিবহনের অবস্থা এমনিতেই বিপর্যস্ত। তাই সব গণপরিবহনেই অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ থেকে।
Total Reply(0)
m alam ২৪ নভেম্বর, ২০২২, ৮:১৬ এএম says : 0
পদ্মা সেতুর ফলে ঢাকা আরো বেশী জনসংখ্যার চাপে পড়বে। বাস অযোগ্যতা বাড়বে।
Total Reply(0)
Rabbul Islam Khan ২৪ নভেম্বর, ২০২২, ৮:১৬ এএম says : 0
হাইড্রলিক্ হর্ণ আমদানি ও বিক্রয় স্থায়ী ভাবে বন্ধ করলেই হয , আইন শৃংখলা বাহিনী কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারে সহজেই। শব্দ দূষণের হাত থেকে বাচার উপায় একটাই।
Total Reply(0)
Golam Kibria ২৪ নভেম্বর, ২০২২, ৮:১৭ এএম says : 0
ঢাকার বাইরে কোন বিভাগীয় শহরে (রাজশাহী, খুলনা, সিলেট) কি সিটি বাস আছে? সেখানে এখনো মধ্যযুগীয় রিকশা, অটো চলে। আর ঢাকায় গড়ছেন মেট্রো রেলের পাহাড়, সামনে হবে সাবওয়ে । "ঢাকা" বনাম "ঢাকার বাইরে" মাঝে এই বৈষম্য ঠেকাতে না পারলে ঢাকা মুখী জনস্রোত বন্ধ হবেনা ।
Total Reply(0)
Babul Miah ২৪ নভেম্বর, ২০২২, ৮:১৭ এএম says : 0
তথ্য বিভ্রান্ত রয়ছে। সিংগাপুর আর ঢাকার জনঘনত্ব কাছাকাছি। তাহলে সিংগাপুর কেন এত পরিছন্ন? কারন সেখানে আছে জনসচেতনতা, আইনের কঠোর প্রয়োগ আর আইনের শাসন । এই কথাগুলি বলতে ভয় না লজ্জা পাচ্ছেন?
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন