ফরিদপুরে হঠাৎ বেড়েছে ডেঙ্গুর প্রকোপ। জেলায় গত ২১ দিনে আক্রান্ত হয়েছেন ৭৩০ জন।
তবে, এদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৫৮০ জন। হঠাৎ আশঙ্কাজনকভাবে ডেঙ্গু বৃদ্ধিতে আতঙ্ক বিরাজ করছে মানুষের মধ্যে।
ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতালটিতে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ভর্তি আছেন ৪০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও তিনজন ভর্তি হয়েছেন।
এর মধ্যে একজনকে ছুটি দেওয়া হয়েছে। তবে, এখন পর্যন্ত কোনো মৃত্যু নেই।
এদিকে, হঠাৎ ডেঙ্গু বৃদ্ধি পেলেও তৎপরতা নেই ফরিদপুর পৌরসভায়। এডিস মশার লার্ভা নিধনে চোখে পড়ার মতো তেমন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ।
গেলো এক মাসে জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন ১৪৪ জন। তারাও ফরিদপুর পৌরসভার অব্যবস্থাপনাকেই দুষছেন।
পৌরসভা কাউন্সিলরা বলছেন, তাদের নামমাত্র ওষুধ দেওয়া হয়েছে। তবে, তারা চেষ্টা করছেন। জনবল কম থাকায় সেগুলো অনেক সময় ছিটানো সম্ভব হচ্ছে না।
এ ব্যাপারে ফরিদপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র মো. মনিরুল ইসলাম মনির গণমাধ্যম কে বলেন, পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডের যেখানে নর্দমা, ড্রেনে পানি জমা রয়েছে সেখানেই ওষুধ ছিটানো হচ্ছে। এছাড়া ফরিদপুর পৌরসভার প্রতিটা ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতা বাড়াতে মাইকিং করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে তাদের কোনো অবহেলা নেই বলে দাবি তার।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. দীপক কুমার বিশ্বাস গণমাধ্যম কে বলেন, হঠাৎ করেই ফরিদপুরে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। করোনার চেয়ে ভয়াবহ ডেঙ্গু। করোনায় শিশু কিশোর, বৃদ্ধ,আবাল বনিতা ও জটিল রোগে আক্রান্তদের বেশি ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু, ডেঙ্গুতে শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ পর্যন্ত সবাই আক্রান্ত হচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, আমাদের একটু সচেতনতাই পারে ডেঙ্গু অনেকাংশে কমাতে। এডিস মশার বংশবিস্তার ধ্বংস করতে বাড়ির আশপাশ যতটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করা ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করা।
এছাড়া কেউ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার অনুরোধ জানান হাসপাতালটির এ উপ-পরিচালক।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন