মোংলা বন্দরের পশুর চ্যানেলের হারবাড়িয়া এলাকায় ৬০০ মেট্রিক টন পাথর নিয়ে ডুবে গেছে ‘এমভি মাস্টার দিদার’ নামে একটি লাইটার জাহাজ। গতকাল দিবাগত রাত ১২টার দিকে ডুবে যাওয়া এই লাইটার জাহাজটির ১০ জন নাবিক ও ক্রু সাঁতরে অন্য একটি লাইটার জাহাজে উঠতে পারায় কোনো প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। লাইটার জাহাজটি বন্দরের মূল চ্যানেলের বাইরে ডুবে যাওয়ায় মোংলা বন্দরের জাহাজ চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার বিভাগ জানিয়েছেন, তলা ফেটে ডুবে যাওয়া এমভি মাস্টার দিদার নামের এই লাইটার জাহাজটির সার্ভে সনদ ছিল মেয়াদোত্তীর্ণ ও ফিটনেসবিহীন। তবে, লাইটার জাহাজ ডুবির পর হাঁকডাক দিয়ে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলা হলেও এখনো বন্ধ হয়নি মোংলা বন্দরের পশুর চ্যানেল দিয়ে ফিটনেসবিহীন মেয়াদোত্তীর্ণ নৌযান চলাচল।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, গত বুধবার দিবাগত রাতে মোংলা বন্দরের বহিঃনোঙরের ৬ নন্বর মুরিং বয়ায় অবস্থানরত একটি বিদেশি জাহাজ থেকে পাথর বোঝাই করে এমভি মাস্টার দিদার নামের লাইটার জাহাজটি যশোরের নওয়াপাড়ার উদ্দেশ্য ছেড়ে আসে। পথিমধ্যে রাত সোয়া ১২টার দিকে মোংলা বন্দরের পশুর চ্যানেলের হারবাড়িয়া এলাকায় পৌঁছালে বেপরোয়া গতিতে নোঙর করে থাকা অন্য একটি লাইটারেজ জাহাজের উপর আছড়ে পড়ে। এ সময় তলা ফেটে দ্রুত ডুবে যায় মাস্টার দিদার লাইটার জাহাজটি।
তবে এ সময় ওই জাহাজে থাকা ১০ জন নাবিক ও ক্রু নদীতে লাফ দিয়ে সাঁতরে অন্য একটি লাইটার জাহাজে উঠতে পারায় প্রাণে বেঁচে যায় তারা। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ শাহীন মজিদ জানান, মোংলা বন্দরের পশুর চ্যনেলের হারবাড়িয়া এলাকায় তলা ফেটে ডুবে যাওয়া ৬০০ মেট্রিক টন পাথর বোঝাই এমভি মাস্টার দিদার নামের এই লাইটার জাহাজটির সার্ভে সনদ ছিল মেয়াদোত্তীর্ণ ও ফিটনেসবিহীন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন