৯৫ ভাগ মুসলমানের এই দেশে মুসলিম জাতিসত্তা আজ সঙ্কটাপন্ন। দেশে কোরআন-সুন্নাহ ও আধুনিক চাহিদার সাথে সম্পর্ক রেখে যুগোপযোগী শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক তৈরি হবে এটা ছিল সবার প্রত্যাশা। অথচ স্কুল কলেজ, বিশ্ববিদ্যায় ও মাদরাসা থেকে ইসলাম শিক্ষা আজ বিলীন হওয়ার পথে। বিজাতীয় হিন্দুত্ববাদী শিক্ষা-সংস্কৃতি আজ স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও বিশ্ববিদ্যালয়ে বাস্তবায়নের শেষ পর্যায়ে। ইসলাম শিক্ষা বিষয়ে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক সকল ষড়যন্ত্র আজ রাষ্ট্রীয়ভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে। অবিলম্বে মাদরাসা মাদরাসায় স্বতন্ত্র
শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন করতে হবে। সিলেবাস থেকে বিবর্তনবাদ প্রত্যাহার করতে হবে। স্কুলের বই মাদরাসায় পড়ানো চলবে না। এসএসসি বোর্ড পরীক্ষায় ইসলাম শিক্ষা পুনর্বহাল ও বাধ্য মূলক করতে হবে। বাংলাদেশ জমিয়তে তালাবায়ে আরাবিয়ার ৯৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আজ শুক্রবার বিকেলে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগরী আয়োজিত আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।
ঢাকা মহানগর সভাপতি মুহাম্মদ জুবায়ের এর সভাপতিত্বে এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের সাবেক কেন্দ্রীয় প্রধান সম্পাদক মাওলানা ফারুক আহমাদ, সাবেক কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ রুহুল আমীন, মাওলানা এ এম এম কামাল উদ্দীন, সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা ইসমাঈল ফারুক, মাওলানা মুহাম্মাদ মুহিব্বুল্লাহ ভ‚ঁইয়া, মাওলানা আবু বকর সিদ্দিক, সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মাদ জহিরুল ইসলাম, মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুর রহমান। নেতৃবৃন্দ বলেন, বাংলা, ইংরেজি, ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান, গণিত, শিল্প সংস্কৃতি, স্বাস্থ্যা সুরক্ষা, জীবন জীবিকা, ডিজিটাল প্রযুক্তি, বিজ্ঞান; এই বইগুলো ২০২৩ সাল থেকে ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক হিসেবে স্কুল ও মাদরাসায় বাধ্যতামূলকভাবে পড়াতে হবে মর্মে এনসিটিবি ঘোষণা দিয়েছে। এই প্রণীত শিক্ষাব্যবস্থায় ডারউইনের বিতর্কিত বিবর্তনবাদ, মূর্তি পূজা, দুর্গাপূজা, রথযাত্রা, মঙ্গলযাত্রাসহ হিন্দুয়ানী কিচ্ছা কাহিনী অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। অথচ এসব পাঠ্যপুস্তকে সন্নিবেশিত কিছু ছবি, চরিত্র, চিত্র, শব্দ, বাক্য, তথ্য ও উপাত্ত ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মর্মাহত এবং শঙ্কিত করে তুলবে। সরকার দেশের সকল শিক্ষাব্যবস্থা থেকে ইসলামী শিক্ষা বাদ দিয়ে রাম-বামদের প্রণীত নাস্তিক্যবাদী শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করার দ্বার প্রান্তে। নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, মাদরাসা ও ইসলামী শিক্ষাকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্রের যে ভ‚ত সরকারের ঘাড়ে চেপে বসেছে তার বিষদাঁত ভেঙ্গে দেয়ার জন্য প্রয়োজনে তৌহিদী জনতা, আলেম-ওলামা, পীর-মাশায়েখ সর্বস্তরের জনতা ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলবে। তৌহিদী জনতার উচিত, ঐক্যবদ্ধভাবে ইসলাম ও মাদরাসা শিক্ষা রক্ষায় যেকোনো ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন