কুমিল্লায় বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে তিন জেলায় পরিবহন ধর্মঘট না থাকায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন শ্রেণি পেশার সাধারণ মানুষ ও পরিবহন সংশ্লিষ্ট মালিক-শ্রমিকরা। কুমিল্লার সমাবেশে পরিবহন ধর্মঘট না থাকার বিষয়টিকে ইতিবাচক দেখছেন রাজনৈতিক নেতারাও।
গত কয়েকদিন ধরে কুমিল্লাসহ পাশর্^বর্তী চাঁদপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পরিবহন ধর্মঘট থাকবে কী থাকবে না এমন দোলাচলে ছিলেন সাধারণ মানুষ। সবার ধারণা ছিল বিএনপির অন্যান্য সমাবেশগুলোর মতো কুমিল্লার সমাবেশ ঘিরেও ভোগান্তির পরিবহন ধর্মঘট থাকবে। কিন্তু কুমিল্লার পরিবহন নেতারা সবাইকে অবাক করে ধর্মঘট না দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেন।
কুমিল্লায় পরিবহন ধর্মঘট না থাকায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন স্থানীয় ব্যবসায়িরা। নগরীর খন্দকার টাওয়ারের ব্যবসায়ি সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর জানান, পরিবহন ধর্মঘট থাকলে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানচলাচল বন্ধ থাকতো। এতে ব্যবসায়িরা চরম ক্ষতির মুখে পড়তো। কিন্তু এটা না থাকায় ব্যবসায়িদের ক্ষতির মখে পড়তে হয়নি। এজন্য পরিবহন সংশ্লিষ্ট সকলকে আমরা সাধুবাদ জানাই।
কুমিল্লা পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ কবির আহাম্মদ বলেন, আমাদের সংগঠন একটি স্বাধীন সংগঠন। আমাদের দাবি দাওয়া আছে, তবে এটা এখানকার রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের এই সময়ে সামনে আনতে চাই না। আমরা চাই না সাধারণ মানুষ পরিবহন সমস্যায় পড়–ক।
চাঁদপুর থেকে কুমিল্লা মেডিকেলে চিকিৎসা নিতে আসা আবু সোলেয়মান জানান, আজকে পরিবহন ধর্মঘট না থাকায় তার স্ত্রীর ফলোআপ চিকিৎসার জন্য সহজেই কুমিল্লায় আসতে পেরেছেন। তিনি বলেন, রাজনীতির কারণে আমাদের মতো সাধারণ মানুষ যাতে কষ্ট না পায় সেটা নেতাদের অবশ্যই খেয়াল রাখা উচিত। কুমিল্লায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির যে শান্তিপূর্ণ অবস্থান বিরাজ করছে সারাদেশে এমন পরিস্থিতি থাকলে দেশে শান্তি বিরাজ করবে। আমরা সাধারণ মানুষ এটাই চাই।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন