নানা অনিয়মের অভিযোগ এনে বিএনপি সমর্থিত সর্বদলীয় আইনজীবী ঐক্য পরিষদের ভোট বর্জনের মধ্য দিয়ে খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির বার্ষিক নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। আজ রোববার সকাল ৮ টা থেকে শুরু হয়ে বিরতিহীনভাবে বিকেল ৩ টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলে। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না থাকায় আদালত পাড়ায় উৎসাহ উদ্দীপনা বা কোনো আয়োজন দেখা যায়নি। দুপুরের পর থেকে আইনজীবী সমিতির সামনে তেমন ভিড়ও পরিলক্ষিত হয়নি।
নির্বাচনে ১ হাজার ৩৮৭ জন ভোটারের মধ্যে ১ হাজার ১৮৪ জন ভোটার তাদের ভোট প্রয়োগ করেছেন বলে কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। একাধিক প্যানেল না থাকায় আওয়ামীলীগ সমর্থিত সাইফুল-তারা পরিষদের সদস্যরা বিজয়ী হয়েছেন। সকাল ৮ টার দিকে ভোটাররা ভোট প্রদানের জন্য খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির সামনে আসেন। তাদের বরণ করে নেন আ’লীগ সমর্থিত সাইফুল-তারা পরিষদের সদস্যরা।
খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান মোল্লা লিয়াকত আলী বলেন, এবারের নির্বাচনে আইনজীবী সমিতির সদস্যরা স্বতস্ফুর্তভাবে ভোট দিয়েছেন। ভোট বর্জনের ঘোষণা দিলেও সকালের দিকে সর্বদলীয় আইনজীবী ঐক্য পরিষদের কিছু সদস্য ভোট প্রদান করেন। এমনকি তাদের এজেন্ট এড. জিল্লুর রহমান ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত ছিলেন। আইনজীবী সমিতির মোট ভোটার ১ হাজার ৩৮৭ জন। সেখানে ১ হাজার ১৮৪ জন ভোটার তাদের ভোট প্রদান করেছেন। প্রতিপক্ষ পরিষদের সদস্যরা তাদের ভোট বর্জন করে নির্বাচন থেকে সরে গেছেন। রাতে তারা সমর্থিত প্রত্যেক সদস্যকে সকালে ভোট কেন্দ্রে ভোট প্রদান বিরত থাকার জন্য আহ্বান জানান। কিন্তু কেউ তাদের কথা মানেননি। সকালে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়।
তবে সর্বদলীয় আইনজীবী ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী এম কে শহিদুল আলম বলেন, সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ ভোটার নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। সকাল থেকে নির্বাচন কেন্দ্র ছিল ফাঁকা। দুপুরের পর থেকে আরও ফাঁকা হয়ে যায়। এ পরিষদের অনেক সদস্য ভোট দিতে কেন্দ্রে আসেনি। প্রতিপক্ষ পরিষদের সদস্যরা আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনের সাথে আতাঁত করে ভোট কিনে ব্যালট বাক্স ভর্তি করেছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন