দুই জেলায় পৃথক ঘটনায় ৪ নিহত হয়েছেন। ঠাকুরগাঁও বাস-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে বাবা-মা-মেয়ে, সুনামগঞ্জের ছাতকে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পিলারের সাথে ধাক্কায় এক শিক্ষক নিহত হয়েছেন। আমাদের সংবাদদাতাদের পাঠানো তথ্যে’র প্রতিবেদনে-
ঠাকুরগাঁও জেলা সংবাদদাতা জানান, ঠাকুরগাঁও বালিয়াডাঙ্গী মহাসড়কে বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী একই পরিবারের তিনজন নিহত হয়েছে। গতকাল রোববার সকালে উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর বিলডাঙ্গী এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন রহিমানপুর ইউনিয়নের মুথরাপুর গ্রামের মাসুদুর রহমান, তার স্ত্রী রহিমা বেগম ও তাদের মেয়ে মেহের নেগার সিমি। মেয়ে স্থানীয় একটি মাদরাসার অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন। ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি মো. কামাল হোসেন এ তথ্য জানান।
এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, মাদরাসার বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হওয়ায় মেয়ে সিমি ও স্ত্রী হামিদা বেগমকে নিয়ে মাসুদুর রহমান মথুরাপুর থেকে মোটরসাইকেলযোগে হরিহরপুরের মাদরাসাতুল হুদা আল ইসলামিয়া আল সালাফিয়্যাহ মাদরাসার উদ্দেশে রওনা হন। এ সময় বালিয়াডাঙ্গী থেকে ছেড়ে আসা দ্রুতগামী হানিফ পরিবহনের একটি বাস মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই হামিদা বেগমের মৃত্যু হয়। পরে বাবা-মেয়েকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
ছাতক (সুনামগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, সুনামগঞ্জের ছাতকে পিলারের সঙ্গে ধাক্কায় আব্দুস সালাম নামের এক কলেজ শিক্ষক নিহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে উপজেলার বোকারভাঙ্গা নামক স্থানে ঘটনাটি ঘটে। আব্দুস সালাম উপজেলার বড়কাপন গ্রামের আলা উদ্দিনের ছেলে এবং ছাতকের জাউয়াবাজার ডিগ্রি কলেজের অর্থনীতি বিভাগের খণ্ডকালীন প্রভাষক। স্থানীয় সূত্র জানায়, নিজ বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলযোগে গোবিন্দগঞ্জ যাচ্ছিলেন আব্দুস সালাম। পথে মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পিলারের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে গুরুতর আহত হন তিনি। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন