বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

ইসলামী ব্যাংকে ‘ভয়ংকর নভেম্বর’ : রিট করতে বললেন হাইকোর্ট

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩০ নভেম্বর, ২০২২, ১১:৫৫ এএম

ভুয়া ঠিকানা ও কাগুজে কোম্পানি খুলে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড (আইবিবিএল) থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা তুলে নেওয়া ও এস আলম গ্রুপের ৩০ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার ঘটনায় রিট করার পরামর্শ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এ বিষয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে আনলে বুধবার (৩০ নভেম্বর) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ পরামর্শ দেন।

আদালতে বিষয়টি নজরে আনেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। তিনি এ সময় আদালতের কাছে আদেশ প্রার্থনা করেন। তখন হাইকোর্ট বলেন, প্রতিবেদনগুলো সংযুক্ত করে রিট আবেদন আকারে কোর্টে আসুন। এসময় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক ও দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান উপস্থিত ছিলেন। পরে আইনজীবী শিশির মনির বলেন, আমরা আজই আদালতে রিট করবো।

গত ২৪ নভেম্বর একটি দৈনিকে ইসলামী ব্যাংকে ‘ভয়ংকর নভেম্বর’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনের প্রথমাংশে বলা হয়, ব্যাংকের নথিপত্রে নাবিল গ্রেইন ক্রপস লিমিটেডের অফিসের ঠিকানা বনানীর বি ব্লকের ২৩ নম্বর সড়কের ৯ নম্বর বাড়ি। সেখানে গিয়ে দেখা গেল, এটি একটি পূর্ণাঙ্গ আবাসিক ভবন। ঋণ পাওয়া মার্টস বিজনেস লিমিটেডের ঠিকানা বনানীর ডি ব্লকের ১৭ নম্বর সড়কের ১৩ নম্বর বাড়ি। সেখানে গিয়ে মিলল রাজশাহীর নাবিল গ্রুপের অফিস। তবে মার্টস বিজনেস লাইন নামে তাদের কোনো প্রতিষ্ঠান নেই। এভাবেই ভুয়া ঠিকানা ও কাগুজে দুই কোম্পানি খুলে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড (আইবিবিএল) থেকে দুই হাজার কোটি টাকা তুলে নিয়েছে একটি অসাধু চক্র।

সব মিলিয়ে বিভিন্ন উপায়ে ইসলামী ব্যাংক থেকে প্রায় সাত হাজার কোটি টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। আটটি প্রতিষ্ঠানের নামে চলতি বছরেই এ অর্থ নেওয়া হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থ তুলে নেওয়া হয় চলতি মাসের ১ থেকে ১৭ নভেম্বর সময়ে। যার পরিমাণ ২ হাজার ৪৬০ কোটি টাকা। এ জন্যই ব্যাংকটির কর্মকর্তারা চলতি মাসকে ‘ভয়ংকর নভেম্বর’ বলে অভিহিত করছেন।

একইভাবে বেসরকারি খাতের সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক (এসআইবিএল) ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক থেকেও ২ হাজার ৩২০ কোটি টাকা তুলে নিয়েছে কোম্পানিগুলো। ফলে এ তিন ব্যাংকের কাছে প্রতিষ্ঠানগুলোর সুদসহ দেনা বেড়ে হয়েছে সাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকা। এমন সময়ে এসব অর্থ তুলে নেওয়া হয়, যখন ব্যাংক খাতে ডলার-সংকটের পর টাকার সংকট বড় আলোচনার বিষয়।

এদিকে মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) আরও একপি পত্রিকায় প্রকাশিত হয় এস আলম গ্রুপ একাই ইসলামী ব্যাংক থেকে ৩০ হাজার কোটি ঋণ নিয়েছে- এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এই প্রতিবেদনটিও আদালতের নজরে আনা হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (7)
মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন ৩০ নভেম্বর, ২০২২, ১:০১ পিএম says : 0
ইসলামী ব্যাংকের টাকা আছে তাই দিচ্ছে! এই যে হাজার হাজার কোটি টাকা দিল, প্রশ্ন হলো এগুলো কি ব্যাংক থেকে লোন হিসেবে নিয়েছে নাকি ঐ অসাধু কোম্পানিগুলোর একাউন্টে রক্ষিত টাকা। আর ইসলামী ব্যাংকের মতো এত বড় এবং নামিদামি ব্যাংক পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে মনিটরিং না করে এত টাক দিবেইবা কেন? হায়রে ইসলমী ব্যাংক অথচ আমাদের মতো যারা রয়েছে তারা কিন্তু কোনো ব্যবসার নামে প্রতিষ্ঠানের কাগজপত্র দেখালেও 2-3 লাখ টাকা লোন পাওয়া যায় না। এটাই হচ্ছে বাংলাদেশ-------------------যত দোষ নন্দ ঘোষ!
Total Reply(0)
Abdul Halim ৩০ নভেম্বর, ২০২২, ৫:৩৫ পিএম says : 0
কিছুদিন আগে সরকার ১ জন প্রশাসক বসাইছে ইসলামী ব্যাংক সেটা জানেন না? এই প্রশাসক এর কাজ ই নাকি ছিল ইসলামী ব্যাংক এর transaction গুলো monitoring করা। যাতে করে অবৈধ কোথাও যেন transaction না হয়। এবং এটাই তার ফল। এই মাল এ বসার আগে কখনো এমন ঘটল না। আর সে যাইতে না যাইতেই অস্তিত্ববিহিন company হাজার হাজার কোটি তাকা loan নিয়ে নেয়। এটাই সরকারের লিলা খেলা।
Total Reply(0)
এমএ ইউসুফ ৩০ নভেম্বর, ২০২২, ৬:০১ পিএম says : 0
ইসলামি ব্যাংক স্বাধীনতার সপক্ষের শক্তির হাতে। তাই তারা এখন দেশের টাকা মেরে খাচ্ছে। যখন জামায়াতের হাতে ছিল তখন বিশ্বের ১০০০ ভালো ব্যাংকের মধ্যে একটি ছিল। তারা শুধু মানুষের সাথে ধোঁকাবাজি করে স্বাধীনতার সপক্ষের কথা বলে
Total Reply(0)
আলমগীর ১ ডিসেম্বর, ২০২২, ৭:১৮ পিএম says : 0
ব‍্যাংক কাগজপত্র যাচাই না করে কিভাবে লোন দিল? তারা কি Spot verification করেননি? এভাবেই দেশটা লুট হয়ে যাচ্ছে।
Total Reply(0)
Md. Jahangir hossain ১ ডিসেম্বর, ২০২২, ৮:৩১ পিএম says : 0
আমরা জানি বাংলাদেশ ব্যাংক একটি নিয়ন্ত্রক সংস্থা এবং কার্যত সকল ব্যাংক সমূহের ব্যাংক। সরকার ও রাষ্ট্রের পক্ষে এটি দেশের সকল ব্যাংক এবং ব্যাংক ছাড়াও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে,তাহলে আমার প্রশ্ন হচ্ছে ভয়ঙ্কর এই ব্যাংক কেলেঙ্কারির ঘটনার দায় কি রাষ্ট্র ও তাঁর নিয়ন্ত্রক সংস্থা (বাংলাদেশ ব্যাংক নামক অথর্ব প্রতিষ্ঠান) এড়াতে পারেন?
Total Reply(0)
Abdur Rahman ৩০ নভেম্বর, ২০২২, ১০:০২ পিএম says : 0
জামায়াত নিয়ন্ত্রিত ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে ডলার সংকট এর এই সময়ে কাজটি করেছে দেশ তথা সরকারের বারোটা বাজানোর জন্য। Credit going to Jamaat/BNP intellectuals. Bravooo
Total Reply(0)
Md. Jahangir hossain ১ ডিসেম্বর, ২০২২, ৮:৩৩ পিএম says : 0
আমরা জানি বাংলাদেশ ব্যাংক একটি নিয়ন্ত্রক সংস্থা এবং কার্যত সকল ব্যাংক সমূহের ব্যাংক। সরকার ও রাষ্ট্রের পক্ষে এটি দেশের সকল ব্যাংক এবং ব্যাংক ছাড়াও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে,তাহলে আমার প্রশ্ন হচ্ছে ভয়ঙ্কর এই ব্যাংক কেলেঙ্কারির ঘটনার দায় কি রাষ্ট্র ও তাঁর নিয়ন্ত্রক সংস্থা (বাংলাদেশ ব্যাংক নামক অথর্ব প্রতিষ্ঠান) এড়াতে পারেন?
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন