মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

সীমান্তে চীন-রাশিয়ার যুদ্ধবিমান পাল্টা প্রস্তুতি দক্ষিণ কোরিয়ারও

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২ ডিসেম্বর, ২০২২, ১২:১৪ এএম

দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, দুটি চীনা ও ছয়টি রুশ যুদ্ধবিমান তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা অঞ্চলে ঢুকে পড়ার পর তারা তাদের জঙ্গিবিমানগুলোকে উড্ডয়নের জন্য প্রস্তুত রেখেছে। বুধবার চীন ও রাশিয়ার ছয়টি বিমান দক্ষিণ কোরিয়ার আকাশ প্রতিরক্ষা অঞ্চলে প্রবেশ করে বলে সিউলের বরাত দিয়ে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। দক্ষিণের জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ (জেসিএস) জানায়, ভোরের আগে স্থানীয় সময় আনুমানিক ৫টা ৫০ মিনিটের দিকে চীনের দুটি এইচ-৬ বোমারু বিমান দক্ষিণ এবং দক্ষিণপূর্ব উপকূলের কাছে কোরিয়া আকাশ প্রতিরক্ষা শনাক্তকরণ অঞ্চলে (কাদিজ) একাধিকবার প্রবেশ ও পরে বের হয়ে যায়। কয়েকঘণ্টা পর বিমানদুটি আরও ৬টি রুশ যুদ্ধবিমানকে সঙ্গে নিয়ে জাপান সাগর থেকে ফের কাদিজে ঢুকে পড়ে এবং ১৮ মিনিট পর ওই এলাকা ছাড়ে। রুশ বিমানগুলোর মধ্যে টিইউ-৯৫ বোমারু বিমান ও এসইউ-৩৫ জঙ্গিবিমান ছিল বলে জানিয়েছে জেসিএস। জাপান সাগর দক্ষিণ কোরীয়দের কাছে পূর্ব সাগর হিসেবে পরিচিত। “কাদিজে রুশ ও চীনা উড়োজাহাজের প্রবেশের আগেই সম্ভাব্য আকস্মিক কোনো ঘটনার প্রস্তুতিতে কৌশলগত ব্যবস্থা কার্যকরে বিমান বাহিনীর যুদ্ধবিমানকে প্রস্তুত থাকতে বলে আমাদের সামরিক বাহিনী,” বিবৃতিতে বলেছে জেসিএস। তবে আকাশ প্রতিরক্ষা অঞ্চলে রুশ ও চীনা যুদ্ধবিমান ঢুকলেও কোনো বিমানই দক্ষিণ কোরিয়ার আকাশসীমা লংঘন করেনি। কোনো দেশের আকাশ প্রতিরক্ষা অঞ্চল হচ্ছে সেই এলাকা যেখানে দেশটি বিদেশি উড়োজাহাজকে নিজেদের পরিচয় নিশ্চিতে বিশেষ পদক্ষেপ নিতে বলতে পারে। আর দেশটির ভূখণ্ড ও পানিসীমার উপরটুকু তার আকাশসীমা। আকাশ প্রতিরক্ষা অঞ্চল কীভাবে নিয়ন্ত্রিত হবে, সে ব্যাপারে আন্তর্জাতিক কোনো বিধিবিধান নেই। মস্কো দক্ষিণ কোরিয়ার আকাশ প্রতিরক্ষা অঞ্চলকে স্বীকৃতি দেয়নি। বেইজিংয়ের মতে, ওই অঞ্চল নির্দিষ্ট কোনো দেশের আকাশসীমায় পড়েনি, সুতরাং সব দেশই সেখানে অবাধে বিমান চালাতে পারে। জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ও পরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, চীনা বোমারু বিমানগুলো পূর্ব চীন সাগর থেকে উড়ে এসে জাপান সাগরে দুটি রুশ ড্রোনের সঙ্গে একত্রিত হওয়ার পর তারাও তাদের যুদ্ধবিমান উড্ডয়নের জন্য প্রস্তুত রেখেছিল। ওই অঞ্চলে মস্কো-বেইজিংয়ের যুদ্ধবিমানগুলো নিয়মিত যৌথ মহড়া চালাবে বলে চীন ও রাশিয়া আগেই জানিয়ে রেখেছিল। অগাস্টেও জেসিএস কাদিজে রুশ যুদ্ধবিমান প্রবেশের খবর দিয়েছিল; তার তিন মাস আগে মে-তেও রুশ ও চীনা বিমান দক্ষিণের সীমান্তে হানা দিয়েছিল। ইয়ুন সুক-ইয়ল প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর সেটিই ছিল দক্ষিণ কোরিয়ার আকাশ প্রতিরক্ষা অঞ্চলে চীনা-রুশ বিমান ‘অনুপ্রবেশের’ প্রথম ঘটনা। ২০১৯ সালে চীনের সঙ্গে এক যৌথ মহড়ার সময় কাদিজে ঢুকে পড়া একাধিক রুশ সামরিক উড়োজাহাজকে লক্ষ্য করে দক্ষিণ কোরিয়ার যুদ্ধবিমানগুলো শতাধিক সতর্কতামূলক গুলিও ছুড়েছিল। রয়টার্স।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন