শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

গোটা বিশ্ব তাকিয়ে আছে ১০ ডিসেম্বরের দিকে: মির্জা ফখরুল

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৫ ডিসেম্বর, ২০২২, ৬:১৭ পিএম | আপডেট : ৭:৩৬ পিএম, ৫ ডিসেম্বর, ২০২২

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আজকে আমাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। সামনে অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিপন্ন। এ অবস্থায় আগামী ১০ ডিসেম্বরের দিকে শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা বিশ্বের মানুষ তাকিয়ে আছে। সমাবেশ যে কোনো মূল্যে আমাদের সফল করতে হবে। মামলা-হামলা গ্রেপ্তার উপেক্ষা করে আমাদেরকে প্রস্তুতি নিতে হবে।

সোমবার (০৫ ডিসেম্বর) বিকেলে গুলশানে এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ সফলের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের (বিএসপিপি) সঙ্গে এ মতবিনিময় করে বিএনপি

দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।

বিএসপিপির আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব কাদের গনি চৌধুরীর পরিচালনায় সভায় পেশাজীবী নেতাদের মধ্যে বক্তব্য দেন অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, প্রকৌশলী আখতার হোসেন, অধ্যাপক ড. সদরুল আমিন, অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজু, ড. মামুন আহমেদ, অধ্যক্ষ সেলিম ভুঁইয়া, ডা. মো. রফিকুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. মো. মোর্শেদ হাসান খান, প্রকৌশলী আশরাফ উদ্দিন বকুল, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, আব্দুস সালাম, অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ প্রমুখ।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এখন দেয়ালে আমাদের পিঠ ঠেকে গেছে। অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিপন্ন। আওয়ামী লীগ দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কাঠামো ধ্বংস করে দেশে লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করেছে। আসলে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলেই এটা করে। এটা তাদের গুণ। তারা ভয় পায় এবং লুট করে। তারা ভয় দেখিয়ে শাসন করে। তারা জনগণের সঙ্গে থাকে না বরং প্রতারণা করে। ভুল বুঝিয়ে ভোট নেয়। এখন তাদের আসল চেহারা বের হয়ে গেছে।

তিনি বলেন, সারা দেশে মানুষ জেগে উঠেছে। বিগত ৯টি বিভাগীয় গণসমাবেশে লাখ লাখ মানুষ অংশগ্রহণ করেছে। নদী সাঁতরিয়ে, হেঁটে, সাইকেলে চড়ে, চিড়া-মুড়ি গুড় নিয়ে সমাবেশে অংশ নিয়েছে। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব পুনরুদ্ধার, খালেদা জিয়াকে মুক্ত এবং তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার আন্দোলনে শরিক হয়েছিলেন। তারা সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার আন্দোলনে যুক্ত হয়েছিলেন। তারা কিছুই চাননি। শুধু মুক্তি চান।

মির্জা ফখরুল বলেন, ১০ ডিসেম্বরের দিকে শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা বিশ্বের মানুষ তাকিয়ে আছে। যে কোনো মূল্যে আমাদের সমাবেশ সফল করতে হবে। মামলা-হামলা গ্রেপ্তার উপেক্ষা করে আমাদেরকে প্রস্তুতি নিতে হবে। পেশাজীবীদের এগিয়ে আসতে হবে। সবার অংশগ্রহণের মাধ্যমে আমাদের আন্দোলন বেগবান করতে হবে। অতীতেও পেশাজীবী ও বুদ্ধিজীবীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।

তিনি বলেন, এখন শুধু তারেক রহমান বা বিএনপির অস্তিত্বের প্রশ্ন নয়, আজকে গোটা জাতির জন্য অস্তিত্বের লড়াই। যদি গণতন্ত্র ও দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ফিরে পেতে চাই তাহলে যে কোনো মূল্যে ১০ ডিসেম্বরের গণসমাবেশ সফল করতে হবে।

অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার বলেন, ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশে ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস, ফ্রি চিকিৎসা, হাসপাতালে পাঠানো ও মেডিকেল টিম, হটলাইন নাম্বারসহ বিভিন্ন সেবার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, দেশের গ্রামীণ মানুষ আজ অতীষ্ঠ। বিএনপির সমাবেশ ঘিরে একটি গোষ্ঠী হামলা মামলা চালাচ্ছে। ইনশাআল্লাহ আমাদের ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ মহাসমাবেশে রূপ লাভ করবে। ইতিমধ্যে অনেক লোক ঢাকা আসা শুরু করেছে। পল্টন এলাকায় গেলেই দেখা যাবে লোকে লোকারণ্য। আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমেই সরকারের পতন হবে। অতীতেও তাই হয়েছে।

আব্দুস সালাম বলেন, নয়াপল্টনে সমাবেশের অনুমতি না দিলে গোটা ঢাকায় সমাবেশ হবে। তা না হলে সেটা কিন্তু ঠেকানো যাবে না।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন