সম্প্রতি ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের বিহারের ভাগলপুরে। দিনের প্রকাশ্যে বাজারের মধ্যে তরুণীকে ধারালো অস্ত্রের কোপে তরুণীর স্তন কেটে নেয় এক পাষণ্ড যুবক। কাটা হয় তার হাত, পা এবং কানও। পরবর্তীতে হাসপাতালে ওই তরুণীর করুণ মৃত্যু ঘটে।
স্থানীয় পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ওই তরুণী বিবাহিত। তিনি বাজারে নিয়মিত যেতেন। গত শনিবার নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে বাজারে যান ওই তরুণী। সেই সময় একটি পাত্রের মধ্যে অস্ত্র লুকিয়ে বাজারে হাজির মোহাম্মদ শাকিল নামে অভিযুক্ত যুবক।
বিহারের পুলিশ বলছে, ভরা বাজারে সকলের সামনেই তরুণীর ওপর হামলে পড়েন শাকিল। ধারালো অস্ত্র দিয়ে তরুণীকে কোপ মারতে থাকেন। কুপিয়ে কেটে নেন তার স্তন। এর পর তার দুই হাত, দুই পা এবং কান দু’টিও কেটে নেওয়া হয়। শরীরের একাধিক অংশে ধারালো অস্ত্রের কোপ মারেন যুবক।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, তরুণীকে আক্রমণ করার পর ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান শাকিল। রক্তাক্ত অবস্থায় তরুণীকে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় এবং প্রত্যক্ষদর্শীরা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করেন।
তরুণীকে গুরুতর আহত অবস্থায় ভর্তি করা হয় মায়াগঞ্জের জওহরলাল নেহরু মেডিকেল কলেজে। চিকিৎসা চলাকালীন তার মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মৃত্যুর কারণ অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ। তবে মৃত্যুর আগে তরুণী তার ঘাতকের নাম পুলিশকে জানান বলে দাবি করা হয়েছে। তার বয়ান অনুযায়ী অভিযুক্ত শাকিলের খোঁজ চলছে।
এদিকে, তরুণীর স্বামী জানিয়েছেন, অভিযুক্তের সঙ্গে তার বা তার পরিবারের কোনো শত্রুতা ছিল না। কেন এই নৃশংস হামলা, তা তিনি জানেন না। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে এখনও পর্যন্ত ৫ জনকে আটক করেছে দেশটির পুলিশ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন