শীতে দেশের শিল্প-কারখানাগুলোতে গ্যাসের সমস্যা থাকবে না বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি বলেন, শিল্প-কারখানায় প্রাধান্য দিয়ে গ্যাস সরবরাহের ফলে আবাসিকে হয়তো গ্যাসের কিছুটা প্রেসার কম থাকতে পারে। তবে সেখানে আমরা বিকল্প হিসেবে এলপিজি রেখেছি।
বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এক সেমিনারে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখন বিদ্যুতের যে অবস্থা বিরাজ করছে, তাতে সংকট কেটেছে। আমরা আশা করছি সামনে আর সমস্যা হবে না। বিশ্বে জ্বালানির ক্ষেত্রে যদি ব্যাপক পরিবর্তন না হয়, এখন যে অবস্থাটা আছে স্টিল নাউ আমরা ভালোর দিকে যাচ্ছি।
গ্রাহক পর্যায়ের বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর বিষয়টি নিয়ে প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ বলেন, 'এরই মধ্যে কিছু বিতরণ কম্পানি দাম বাড়ানোর জন্য আবেদন করেছে। বিদ্যুতের দাম বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনই (বিইআরসি) নির্ধারণ করবে। তারা তাদের নিজ ভূমিকায় কাজ করবে। বিশেষ ক্ষেত্রে যেন কালক্ষেপণ না হয় সে ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয় দাম নির্ধারণ করতে পারে। ’
এর আগে ‘জিও ইনফরমেশন ফর আরবান প্ল্যানিং অ্যান্ড এডাপটেশন টু ক্লাইমেট চেঞ্জ (জিওইউপিএসি)’ প্রকল্পের ভূমিকা তুলে ধরে নসরুল হামিদ বলেন, 'জিও ইনফরমেশন বিভিন্ন কাজে অনেক ভূমিকা রেখেছে। আমরা যখন মাতারবাড়ি পোর্ট উন্নয়নের জন্য কাজ করি, তখন আমাদের প্রায় পৌনে দুই শ মিলিয়ন ডলার অতিরিক্ত খরচ হয়েছিল ল্যান্ড ডেভেলপের জন্য। জিও ইনফরমেশনের পর আমরা জানতে পারলাম এই জায়গাটা কত কঠিন। '
প্রতিমন্ত্রী জিও ইনফরমেশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে বলেন, আমরা এসব তথ্য ব্যবহার করব কি না- সেটি বড় বিষয়। আমি মনে করি, এগুলো ধরে পরিকল্পনা করতে হবে। নসরুল হামিদ বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় আবিষ্কার জিএসবি করেছে, এখন যমুনার বালি নিয়ে কাজ করছে। সেখানে অনেক মূল্যবান খনিজ রয়েছে। আমাদের উন্নয়নপ্রক্রিয়ায় জিএসবিকে ভূমিকা রাখা উচিত।
সেমিনারে বিদ্যুৎ জ্বালানি বিভাগের সিনিয়র সচিব মাহবুব হোসাইনসহ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তরের প্রকল্প সংশ্লিষ্ট শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন