মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

নাব্য সঙ্কটে নদীতে আটকে আছে কার্গো জাহাজ

গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১২ ডিসেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

পদ্মা ও যমুনা নদীতে নাব্যতা সঙ্কট প্রকট আকার ধারণ করেছে। এতে দৌলতদিয়া ৭ নম্বর ফেরি ঘাটের অদূরে পদ্মা নদীতে আটকে আছে উত্তর অঞ্চলগামী কয়েকটি জরুরী পণ্য বোঝাই কার্গো জাহাজ।
সরেজমিনে সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, উত্তর অঞ্চলের পণ্য পরিবহনের গুরুত্বপূর্ণ নৌপথ দৌলতদিয়া নগরবাড়ী বাঘাবাড়ী এই নৌপথ দিয়ে প্রতিদিন বিভিন্ন পণ্যবাহী শত শত কার্গো জাহাজ চলাচল করে থাকে। কিন্তু চলতি শুস্ক মৌসুমে নদীতে পানি অস্বাভাবিকভাবে পানি কমে গিয়ে নৌপথের বিভিন্ন পয়েন্টে অসংখ্য ডুবোচরের সৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি চ্যানেলের পানি গভীরতা কমে যাওয়ায় পণ্যবাহী জাহাজ চলাচলে ব্যাহত হচ্ছে। এক একটি জাহাজ গন্তবে পৌঁছাতে ৫ থেকে ৭ দিন পর্যন্ত সময় লাগছে। এ অবস্থায় চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর থেকে ছেড়ে আসা পাবনা নগরবাড়ী ও সিরাজগঞ্জ বাঘাবাড়ী বন্দরগামী বিভিন্ন মালামাল ডিএসপি সার, পিএসপি সার ভুট্টা, গম, কয়লা বোঝাই কোস্টার জাহাজগুলো গত কয়েক দিন ধরে গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ৭ নম্বর ফেরি ঘাটের এক কিলোমিটার ভাটিতে পদ্মা নদীতে আটকে থাকা কার্গো জাহাজগুলো হতে ট্রলারও বাল্ক হেডের মাধ্যমে পণ্যদ্রব্য নামিয়ে গন্তব্য স্থানে নেয়া হচ্ছে। এভাবে কয়েকদিন পণ্য খালাস করার পর কার্গো জাহাজগুলো ঘাট থেকে ছেড়ে যাচ্ছে। এই প্রক্রিয়ায় ব্যবসায়ীদের বাড়তি অর্থ ব্যয় হচ্ছে। পণ্যসামগ্রী যথা সময়ে গন্তব্যে স্থানে পৌঁছাতে বিলম্ব হচ্ছে। দৌলতদিয়া পদ্মা নদীতে নোঙর করে আছে ১৫টিরও বেশি কোস্টার জাহাজ। অনেক শ্রমিক ওই জাহাজগুলো থেকে মালামাল নামাতে কাজ করছে। শ্রমিকের মজুরি প্রতি বস্তায় দুই টাকা ৫০ পয়সা করে দেয়া হচ্ছে। যে যত বস্তা কার্গো থেকে নামাতে পারবে সে হিসাবে তাদের মজুরি দেয়া হচ্ছে।
জাহাজ নুররাজ ১০ এর মাস্টার আ. লতিফ বলেন, চিটাগাং থেকে জাহাজ নিয়ে আসতে নৌপথে নদীর মাঝে বড় বড় ডুবোচর জেগেছে সেসব ডুবোচরে জাহাজ আটকে যায়। ডুবোচরের কারণে নদী পথে ঘুরে আসতে জ্বালানি খরচ ও সময় বেশি লাগছে। তারপর আবার ঘাটে এসে নদীর পারে জাহাজ চাপাতে পারছি না। মাঝ নদীতে জাহাজ আটকে যাওয়ার কারণে সেখানেই রেখেই ট্রলার ও বাল্কডে করে মালামাল অনলোড করতে হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, নদীতে নাব্যতা সঙ্কটের কারণে বেশিরভাগ জাহাজগুলো দাশকান্দি ঘাটে চলে যাচ্ছে।

আরেক জাহাজ মাস্টার আমিন সরদার বলেন, চিটাগাং থেকে জাহাজে করে ভুট্টা নিয়ে দৌলতদিয়ার উদ্দেশে রওয়ানা হয়েছি। নদীতে পানি থাকলে সময় লাগতো মাত্র দুই থেকে তিন দিন। নদীতে পানি কমে গিয়ে নাব্যতা দেখা দেওয়ায় এখন সময় লাগছে ৬ থেকে ৭ দিন। আবার ঘাটে এসে মালামাল খালাসের জন্য থাকতে হয় দুই থেকে তিন দিন। জাহাজ থেকে মালামাল খালাস করে তার পর ছেড়ে যাব বাঘাবাড়ী বন্দরে।

বিআইডব্লিটিসি দৌলতদিয়ার ঘাট শাখার সহকারি ম্যানেজার খোরশেদ আলম ইনকিলাবকে বলেন, নদীতে নাব্যতা সঙ্কট দেখা দেয়ার কারণে ফেরিগুলো নদীর ভাটি দিয়ে ঘুরে আসছে ঘাটে তাতে আগের চেয়ে অনেক সময় বেশি লাগছে। নদীর চ্যানেল ঠিক করতে দৌলতদিয়া ও পাটুরিয়া ঘাটে ড্রেজিংয়ের কাজ চলমান রয়েছে। নদীতে এসব পণ্যবাহী জাহাজ চলাচলের জন্য ১২ থেকে ১৭ ফিট পানির গভীরতার প্রয়োজন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন