নিখোঁজের একদিন পর প্রবাস ফেরত জালাল উদ্দিনের (৫৫) ক্ষতবিক্ষত মরদেহ নওগাঁর সদরের গাবতলী এলাকার আলুর খেত থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার সকালে বেলা ১১টায় নওগাঁ সদর মডেল থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করেছে। এ ঘটনায় নওগাঁ সদর থানায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে পুলিশ নিশ্চিত করেছে। তবে জালাল উদ্দিনের নিহত হওয়ার সঠিক কারণ জানাতে পারেননি আদমদিঘী ও নওগাঁর পুলিশ। নিহত জালাল উদ্দিন বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার দমদমা গ্রামের মৃত মফিজ উদ্দিন প্রামানিকের ছেলে। তিনি গরু কেনা-বেচা করছিলেন বলে জানা গেছে।
নিহত জালাল উদ্দিনের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, জালাল উদ্দিন প্রায় ১৫ বছর মালোশিয়া থেকে গত পাঁচ বছর আগে দেশে ফিরে গরু কেনা-বেচার ব্যবসা করে আসছিলেন। গত মঙ্গলবার ১৩ ডিসেম্বর বিকেলে গ্রামের বাড়ি থেকে বাইসাইকেলযোগে পাশেই সান্তাহার রাধাকান্ত হাটে বাজার করার জন্য বের হয়ে আসেন। এরপর তিনি বাড়ি আর ফিরেননি। পরিবারের লোকজন বিভিন্ন স্থানে খোঁজ নিয়ে ও মোবাইল বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করতে পারেননি। পরের দিন বুধবার ১৪ ডিসেম্বর সকালে নওগাঁ সদরের গাবতলী নামক স্থানে এলাকার একটি আলু ক্ষেতে জালাল উদ্দিনের রক্তমাখা মরদেহ পড়ে থাকতে দেখতে পান স্থানীয়রা। এরপর নওগাঁ সদর থানা পুলিশে সংবাদ দিলে জালাল উদ্দিনের মরদেহ উদ্ধার করে।
নওগাঁ সদর থানার ওসি ফয়সাল বিন আহসান বলেন, জালাল উদ্দিনের মরদেহের পাশেই তার হাটের সবজি ভরা ব্যাগ, মোবাইল ফোন ও বাইসাইকেল পড়ে ছিল। মরদেহের মাথাসহ শরীরের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ওসি আরো জানান, স্থানীয় কিছু ব্যক্তির সাথে বিবাদ ছিলো বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। হয়ত: এই বিবাদ থেকে তাকে অস্ত্রের আঘাতে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। তবে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়া গেলে বিস্তারিত জানা যাবে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন