তিন বছর আগে নওগাঁয় কর্মরত এক বিচারক বিকাশের মাধ্যমে প্রতারণার শিকার হন। ওই ঘটনায় করা মামলায় প্রতারণার অভিযোগে বিকাশের এক কর্মকর্তাসহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) নওগাঁ।
গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন, ফরিদপুর জেলা সদরের শর্ট রোড উত্তর কমলাপুর এলাকার বাসিন্দা জুয়েল খান ও ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার নিশ্চিন্তপুর গ্রামের বাসিন্দা মিল্টন বিশ্বাস। গ্রেফতার জুয়েল খান ও ফরিদপুর বিকাশ ডিস্ট্রিবিউশন অফিসে সুপারভাইজার হিসেবে কর্মরত। গত মঙ্গলবার তাদেরকে ফরিদপুরের কোতয়ালী উপজেলার কমলাপুর এলাকা থেকে তাঁদেরকে গ্রেফতার করে নওগাঁ পিবিআই পুলিশ। পরে তাদেরকে আদালতে নেওয়া হলে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। গতকাল বুধবার দুপুরে পিবিআই নওগাঁ কার্যালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২০১৯ সালে নওগাঁয় কর্মরত একজন বিচারকের ব্যক্তিগত বিকাশ নম্বর থেকে প্রতারণার মাধ্যমে প্রতারক চক্র দুই দফায় ৭৯ হাজার ৯৮৩ টাকা আত্মসাৎ করে নেয়। এ ঘটনায় ওই বিচারকের অফিস সহকারী বাদী হয়ে ২০২০ সালের ৩ মার্চ নওগাঁ সদর মডেল থানায় দণ্ডবিধি ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন। থানা পুলিশ প্রাথমিকভাবে মামলাটি তদন্ত করে মামলা মূল রহস্য উদঘাটন করতে ব্যর্থ হয়। পরবর্তীতে উচ্চ আদালত মামলাটির নথি পর্যালোচনা করে অধিকতর তদন্তের জন্য পিবিআই নওগাঁ জেলাকে নির্দেশ প্রদান করেন। মামলাটি গ্রহণের পর তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় প্রতারক চক্রের মূল হোতা বিকাশ কর্মকর্তা জুয়েল খানসহ দুইজনকে গ্রেফতার করে পিবিআই পুলিশ।
পিবিআই নওগাঁর পুলিশ সুপার নয়মুল হাসান বলেন, তারা পরস্পর যোগসাজশে বিভিন্ন বিকাশ এজেন্ট পয়েন্ট হতে গ্রাহকদের বিকাশ নম্বর সংগ্রহ করে গ্রাহকদের সাথে কথা বলে কৌশলে পিন নম্বর সংগ্রহ করে নিতেন। পিন নম্বর পাওয়ার পর তারা ওই সব গ্রাহকের বিকাশ অ্যাকাউন্টে থাকা টাকা ক্যাশ আউট করে টাকা আত্মসাৎ করে আসছিল। পরে আসামিদের আদালতে নেওয়া হলে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। ঘটনার সাথে জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন