আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেছেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ যখনই রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসেন তখনই হিন্দু সম্প্রদায় নিরাপত্তা বোধ করেন। উন্নয়ন সবই হয়। স্বাধীনতা আন্দোলনে আমাদের সাথে হিন্দু বৈদ্ধ খৃষ্টান সকলেই যুদ্ধে অংশ গ্রহন করেছিলেন। কাজেই এই দেশ গড়তে তাদেও অনন্য ভূমিকা রয়েছে। কাজেই রাষ্ট্রটা আমাদের সকলের।
তিনি আরো বলেন, আওয়ামীলীগের আমলেই মসজিদ, মন্দিন সংস্কার হয়েছে। আপনাদের অভিভাবক শেখ হাসিনা, আর সেই শেখ হাসিনাই এখন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায়। তাই আপনাদের ভয় পাবার কিছু নাই। আমাদের শুধু সজাগ থাকতে হবে স্বাধীনতা বিরোধীদের বিষয়ে।
১৫ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বিকালে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ইসলামবাদ ইউনিয়নের তিতারকান্দিতে ২৭তম শ্রী শ্রী জগন্নাথ ধামে হরিনাম মহাযজ্ঞ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বরেন, দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা ও অপশক্তি দমনে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শুধু মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, গণতন্ত্র ও উন্নয়ন-অগ্রগতিরই প্রতীক নন, একইসঙ্গে তিনি অসাম্প্রদায়িক চেতনারও মূর্ত প্রতীক।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ গঠন করতে। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট তাকে হত্যার পর একটি গোষ্ঠী দেশের অসাম্প্রদায়িক চেতনা নষ্ট করেছিল। ‘তারা দেশের ভেতর সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ঢেলে দিয়েছিল। কিন্তু ১৯৯৬ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে পুনরায় দেশে অসাম্প্রদায়িক চেতনা ফিরিয়ে আনেন।
মন্দিরের পরিচালনাকারী হরিপদো গোস্বামী সভাপতিত্বে এবং উপজেলা হিন্দু বৈদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারন সাধারন সম্পাদক সাংবাদিক শ্যামল চন্দ্র দাশের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, মতলব দক্ষিন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বিএইচএম কবির আহমেদ, মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী অফিসারআশরাফুল হাসান, মতলব দক্ষিন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেনু দাশ, ইসলামবাদ ইউপি চেয়ারম্যান শাখাওয়াত হোসেন মুকুল, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সদস্য সচিব এড. আক্তারুজ্জামান, অধ্যক্ষ বাবু পুলিন সরকার প্রমূখ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, এএসপি কচুয়া সার্কেল আবুল কালাম আজাদ, মতলব উত্তর থানার ওসি মহিউদ্দিন, মতলব দক্ষিন থানার ওসি সাইদুল ইসলামসহ হিন্দু ধর্মালম্বীসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন