বাজেট স্বল্পতার কারণে বিএনপির এমপিদের পদত্যাগ করায় শূন্য হওয়া পাঁচ আসনে উপ-নির্বাচনে সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ইসি ভবনে গতকাল নিজ কার্যালয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
নির্বাচনে সিসি ক্যামেরা ব্যবহার কোনো সল্যুশন না জানিয়ে মো. আলমগীর বলেন, সিসি ক্যামেরা কোনো সল্যুশন নয়। এটা আইসিইউতে থাকার মতো। বিএনপির এমপিরা পদত্যাগ করবেন এবং এই পাঁচটি আসন শূন্য হবে এটা অপ্রত্যাশিত ছিল। তাছাড়া এ বিষয়ে বাজেটও ধরা হয়নি।
তিনি বলেন, অনেক নির্বাচনে সিসি ক্যামেরা ছিল না। তবুও কোনো অঘটন ঘটেনি। এবার নির্বাচনে প্রতিযোগিতা হবে। এতে ব্যালেন্সও হবে। ফলে এই উপ-নির্বাচনে সিসি ক্যামেরা লাগবে না।
বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) থোক বরাদ্দ দিয়ে সিসি ক্যামেরা কেনা যায় কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি আলমগীর বলেন, এটা দিয়ে কেনা সম্ভব নয়। এডিপির টাকা প্রকল্পে খরচ করা যায়। সিসি ক্যামেরা রেভিনিউয়ের টাকায় কিনতে হয়। তারপরও ভোট হতে বাকি আছে। যদি প্রয়োজন হয়, তবে কমিশনে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতেও পারে। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি শূন্য পাঁচ আসনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
আদালতের রায় দেখে ‘তৃণমূল বিএনপি’কে নিবন্ধনের সিদ্ধান্ত
নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, আদালতে রায় দেখে ‘তৃণমূল বিএনপি’কে নিবন্ধন দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তিনি বলেন, আদালতের রায় অফিসিয়ালি পেলে কমিশন বসে সিদ্ধান্ত নেবে। সব সিদ্ধান্ত কোর্টের আদেশ দেখে নিতে হবে।
গত ১৮ ডিসেম্বর ‘তৃণমূল বিএনপি’কে নিবন্ধন দিতে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার বলেন, রায় মানতে পারি অথবা আপিল করতেও পারি। আদালতের আদেশ না দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না। আইন যেভাবে আছে সেভাবে কাজ করবে। আইনের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত।
‘তৃণমূল বিএনপি’র নেতৃতে রয়েছেন ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা। ২০১৮ সালের জুনে এই দলকে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন দেয়নি নির্বাচন কমিশন। এরপর এই সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন নাজমুল হুদা। একই বছরের ৪ নভেম্বর ‘তৃণমূল বিএনপি’কে নিবন্ধন দেওয়ার নির্দেশনা দিয়ে রায় দেন হাইকোর্ট।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন