রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

কমলগঞ্জে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পাশে ময়লার ভাগাড়

ভোগান্তিতে পথচারীরা

কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ২২ ডিসেম্বর, ২০২২, ১২:০১ এএম

সাইনবোর্ডে লেখা আছে সরকারি হাসপাতাল প্রতিষ্ঠানে ময়লা আবর্জনা ফেলা নিষেধ কিন্তু বিষয়টা তার ঠিক উল্টো। পরিচ্ছন্নকর্মীরা ভ্যানে করে বাসাবাড়ির ও বাজারের ময়লা আবর্জনা নিয়ে আসছে এবং রাস্তার ওপর এলোমেলোভাবে ফেলে যাচ্ছে। কয়েকজন টোকাই পচা ময়লার স্তূপ এদিক-ওদিক সরিয়ে ভাঙাচোরা প্লাস্টিক, পলিথিন, বোতল ইত্যাদি কুড়িয়ে কাঁধে চাপানো বস্তায় রাখছে। এভাবে ময়লা আবর্জনা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ছে মূল রাস্তা ও ফুটপাতের বিভিন্ন স্থানে। ফলে নষ্ট হচ্ছে রাস্তার স্বাভাবিক পরিবেশ। পথচারীদের দেখা যায়, নাকে রুমাল দিয়ে চলাচল করছে। কেউ কেউ হাত দিয়ে নাকমুখ চেপে ধরে চলাচল করছে। পচা ময়লা আবর্জনার দূর্গন্ধ বাতাসের সঙ্গে মিশে আশপাশের পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। ফলে প্রতিদিনই এলাকাবাসী, পথচারী, শিক্ষার্থী, চাকরিজীবী, ব্যবসায়ীসহ হাজার হাজার মানুষ অবর্ণনীয় ভোগান্তিতে পড়ছে।
মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার মুন্সীবাজার একটি ঐতিহ্যবাহী বাজার। ৩ ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষের একমাত্র ভরসাস্থল এই বাজারটি। সঠিক তদারকির অভাবে হারিয়ে যেতে বসেছে বাজারের সৌন্দর্য। মুন্সিবাজার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের সামনের গুরুত্বপূর্ণ সড়কের পাশে দীর্ঘদিন ধরে ময়লা আবর্জনার স্তুপ।
সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলার মুন্সিবাজার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, ডাকঘরসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে প্লাস্টিকের বোতল, কার্টুন, কর্কশিট, কাগজ, পলিথিন, বস্তাবন্ধী বাশী খাবার ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। ময়লা আবর্জনার স্তুপ পেরিয়ে এখানকার প্রাচীনতম বিদ্যাপীঠ কালী প্রসাদ উচ্চ বিদ্যালয়, মুন্সিবাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং আহমদ নগর দাখিল মাদরাসা ও বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের চলাচল করতে হয়।
বাজারের চারদিকে ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় কাঁচা বাজার, মাছ বাজারসহ বাজারের ভিতরে বিভিন্ন জায়গায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। বছরের পর বছর আশ্বাস আর আশ্বাস কেউই উদ্যোগ নিচ্ছেন না ময়লা অপসারণ ও জলাবদ্ধতা নিরসনে।
বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি জুনেল আহমেদ জানান, নির্দিষ্ট কোন জায়গা না থাকায় বাজারের ময়লা এখানে ফেলা হচ্ছে, আমরা মাঝে মধ্যে গিয়ে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে পরিস্কার করার চেষ্টা করেছি।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী নাহিদ আহমেদ তরফদার বলেন, এখানে ময়লা ফালানোটা মোটেও ঠিক নয়। আমি বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতিকে বিষয়টি অবগত করবো যেন নির্দারিত স্থানে যেন ফালানোর ব্যবস্থা গ্রহন করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহবুবুল আলম ভূঁইয়া বলেন, যেহেতু লেখা আছে ময়লা ফালানো যাবেনা, তারপরও যদি ময়লা ফালানো হয় তাহলে বিষয়টি সরজমিনে গিয়ে খুবই গুরুত্ব সহকারে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত উদ্দিন জানান, এখানে লেখাই আছে ময়লা ফালানো যাবে না, এখন আপনার মাধ্যমে জানতে পারলাম ময়লা ফালানো হচ্ছে। তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন