ভাংগারী ব্যবসায় লগ্নীর টাকা ফেরত না পেয়ে পালাক্রমে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয় পারভীন আক্তারকে। এ হত্যাকান্ডের মূল হুতাসহ চার জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছে- হত্যা কান্ডের মূল হোতা ফরিদপুর জেলার মনিরুজ্জামান (৩৫), সিরাজগঞ্জ জেলার আল আমিন (৩০) এবং তাদের সহযোগী একই জেলার মোঃ সোলায়মান হোসেন ওরফে বাবু ও মোঃ সাব্বির ইসলাম (১৮)।
শুক্রবার দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তাদের গ্রেপ্তার ও হত্যাকান্ডের কারন সর্ম্পকে জানিয়েছেন র্যাব-৪ এর সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ মাজহারুল ইসলাম।
এরআগে বৃহস্পতিবার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে র্যাব।
মঙ্গলবার (২০ডিসেম্বর) রাতে আশুলিয়ার গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের পেছনে ফুলেরটেক এলাকায় আশিক হোসেন নামে এক ব্যক্তির মালিকানাধীন পরিত্যক্ত বাড়ির পাশের জঙ্গল থেকে পাভীন আক্তারের (৩০) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে বৃহস্পতিবার (২২ডিসেম্বর) দুপুরে মৃতের ছেলে মোঃ ইসমাইল হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামী করে আশুলিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
র্যাব-৪ এর প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, মামলা দায়েরের পর র্যাব হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন ও হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারে ছায়াতদন্ত শুরু করে। পরে পুলিশ মূলহুতাসহ চার জনকে গ্রেপ্তার করে।
র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা জানিয়েছে, পারভীন আক্তার ভাংগারীর ব্যবসা করতো। সেই ব্যবসায় মনিরুজ্জামান ১১ হাজার টাকা ও আল আমিনের ৬০ হাজার লগ্নী করা ছিলো। ব্যবসায়ক্ষতি হওয়াতে তাদের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটে। পরে তারা পারভীনকে টাকার জন্য চাপ প্রয়োগ করলে তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়।
একপর্যায়ে শনিবার (১৭ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে পারভীনকে কৌশলে ফুলেরটেক এলাকার পরিত্যক্ত নির্মানাধীন বাড়ির ভেতরের নিয়ে যায়। সেখানে চারজনে মিলে পারভিনকে পালাক্রমে ধর্ষণের ফলে জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তারা ঘটনা আড়াল করার জন্য পারভিনের পায়জামা গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরুদ্ধে মৃত্যু নিশ্চিত করে মৃতদেহ জঙ্গলে ফেলে দেয়।
গ্রেপ্তারকৃতদের আশুলিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন