যশোরের প্রথম সংবাদপত্র দৈনিক স্ফুলিঙ্গ পত্রিকার প্রধান সম্পাদক প্রেসক্লাব যশোরের সদস্য মিয়া আব্দুস সাত্তার আর নেই। তিনি শুক্রবার সকাল সাতটার দিকে শহরের শেখহাটি বাবলাতলা এলাকার তার ছোট ছেলের বাসায় ইন্তেকাল করেছেন।
ইন্না ,,,রাজেউন। তিনি দুই পুত্র ও চার কন্যা সন্তান রেখে গেছে। তার মৃত্যুর সংবাদে সংবাদপত্র জগতের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলে তার খোঁজখবর নেন ও শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। দুপুর আড়াইটার দিকে প্রেসক্লাব যশোরে চত্বরে তার মরাদেহ নিয়ে আসলে প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন তার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানান, এছাড়াও যশোর সংবাদপত্র পরিষদ, যশোর সাংবাদিক ইউনিয়ন, সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোর, যশোর জেলা সাংবাদিক ইউনিযন, ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন, ও যশোর থেকে বিমান প্রকাশিত বিভিন্ন পত্রিকার পক্ষ থেকে তাকে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
মিয়া আব্দুস সাত্তার ১৯৩৮ সালের ৪ এপ্রিল ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা উপজেলাধীন সোনাতুন্দি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা মরহুম এসএম আদিল উদ্দিন এবং মাতা মরহুমা মাজিদুন নেছা। কর্মচঞ্চল এই মানুষটি শখের বশে জড়িয়ে পড়েন সাংবাদিকতায়। ১৯৫৮ সালে ফরিদপুর থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক জাগরণ পত্রিকায় সহকারী সম্পাদক হিসেবে যোগদেন। পেশাগত জীবনে তিনি ছিলেন দৈনিক সংবাদ এর ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি, ইউপিপি এর ফরিদপুর সংবাদদাতা। যশোরের নওয়াপাড়া থেকে প্রকাশিত মাসিক মুকুল এর সম্পাদনা সহকারী হিসেবে মিয়া আব্দুস সাত্তারের যশোর আগমন। পরে আত্মীয়তার সূত্র ধরে যশোরের নতুন উপশহরে স্থায়ী নিবাস গড়ে তোলেন।
মিয়া আব্দুস সাত্তার এর সম্পাদনায় যশোর থেকে ১৯৭১ সালের ৯ ডিসেম্বরে প্রকাশিত হয় প্রথম দৈনিক স্ফুলিঙ্গ। তাঁর নেতৃত্বে দৈনিক স্ফুলিঙ্গ যশোরসহ এতদাঞ্চলের সাংবাদিকতায় এক ভিন্নমাত্রা যোগ করে। যশোরের সংবাদপত্রের আজকের জয়যাত্রায় দৈনিক স্ফুলিঙ্গ এর অবদান স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।
শুক্রবার জুম্মাবাদ তার নামাজের জানাজা উপশহর মার্কাস মসজিদে প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়। পরে তাকে ঘোপ কবরস্থানে মিয়া আব্দুস সাত্তারের স্ত্রী ও পুত্রের পাশে তাকে দাফন করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন