ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলন ঘিরে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ জয়, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, কিংবা রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি কী সরাসরি রাজনীতিতে আসছেন? আওয়ামী লীগের সম্মেলনের আগে এ নিয়ে দলের মধ্যে জোর আলোচনা চলছে। এমনকি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে এ নিয়ে বিস্তর আলোচানা-বিতর্ক চলছে। অনেকেই বলছেন, এবার তাদের দলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। আর এটিই হতে পারে এবারের সম্মেলনের সবচেয়ে বড় চমক।
শেখ রেহানার এক মেয়ে যুক্তরাজ্যের সংসদ সদস্য। আর এটা সত্যি যে সরাসরি না-হলেও তারা (শেখ রেহানা, জয়, পুতুল, ববি) আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয়। সজীব ওয়াজেদ জয় রংপুরের একটি কমিটিতে থাকলেও এখন পর্যন্ত অন্যান্যরা কোনো পদ-পদবিতে নেই। তবে রাষ্ট্র পরিচালনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করেন বোন শেখ রেহানা। আবার প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিষয়ক অবৈতনিক উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করছেন সজীব ওয়াজেদ জয়। আওয়ামী লীগের গবেষণা সেল সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) পরিচালনা করেন রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি। আর অটিজম সচেতনতা নিয়ে কাজ করেন সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। তিনি (পুতুল) শুধু দেশে নয় আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ব্যপাক পরিচিত। মনস্তত্ত্ববিদ সায়মা ওয়াজেদ পুতুল যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান অটিজম স্পিকস-এর পরামর্শক হিসেবে কাজ করেন। তিনি ২০১৩-এর জুন থেকে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞ পরামর্শক প্যানেলে অন্তর্ভুক্ত হন। সারা বিশ্বেই তিনি অটিস্টিক শিশুদের অধিকারসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি বাংলাদেশে অটিজম-বিষয়ক বিভিন্ন নীতি-নির্ধারণে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছাদূত হিসেবেও কাজ করছেন। তিনি অটিজম নিয়ে ব্যাপক আকারে কাজ করতে প্রতিষ্ঠা করেছেন ‘সূচনা ফাউন্ডেশন’
আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রত্যক্ষভাবে না হলেও পরোক্ষভাবে সাংগঠনিক কাজ করে থাকেন শেখ রেহানা। শেখ হাসিনা যখন কারাবন্দি ছিলেন, তখন দল সামলে ছিলেন শেখ রেহানা। প্রধানমন্ত্রী নিজেও রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বাংলাদেশে আশ্রয় দেয়া নিয়ে প্রায় বলে থাকেন ‘আমার ছোট বোন শেখ রেহানা আমাকে বলেছিলেন তুমি দেশের ১৭ কোটি মানুষকে খাওয়াতে পারলে কয়েক লাখ রোহিঙ্গাকে খাওয়াতে পারবে। সে জন্যই রোহিঙ্গাদের যায়গা দিয়েছি। সজীব ওয়াজেদ জয়ও সংগঠনের খোঁজ-খবর রাখেন, প্রয়োজনে সহযোগিতা করেন।
এবার কেন্দ্রীয় কমিটিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিবারে সদস্যরা থাকতে পারেন বলে জোর আলোচনা চলছে।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার গণভবনে জয়কে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়ে ২২তম জাতীয় সম্মেলনে অংশ নিতে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এরপর রাজনীতিতে জয়ের সরাসরি অংশগ্রহণ নিয়ে গুঞ্জন আরো জোরালো রূপ নিয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন