অবশেষে ফ্রান্সের উদ্দেশে পাড়ি দিল চার্লস শোভরাজ। দু’দিন আগেই ওই কুখ্যাত সিরিয়াল কিলারকে মুক্তি দেয় নেপালের সুপ্রিম কোর্ট। তারপর আদালতের নির্দেশ মেনেই শুক্রবার তাকে ফ্রান্সগামী বিমানে তুলে দেয়া হয়।
১৯৭৫ সালে কাঠমান্ডুতে উত্তর আমেরিকার দুই পর্যটককে খুনের মামলায় শোভরাজকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন জেলের সাজা দিয়েছিল নেপালের আদালত। ২০০৩-এ ফ্রান্স থেকে নেপালে ফিরতেই গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। তারপর থেকে প্রায় ১৯ বছর ধরে জেলে ছিল সে। ৭৮ বছরের ওই ফরাসি নাগরিককে ২১ ডিসেম্বর জেল থেকে মুক্ত করার নির্দেশ দেয় বিচারপতি স্বপ্না প্রধান মল্ল এবং তিলক প্রসাদ শ্রেষ্ঠর বেঞ্চ। শুক্রবার আদালতের সেই নির্দেশ মেনে ‘বিকিনি কিলার’কে ইমিগ্রেশন বিভাগের হাতে তুলে দেয় কাঠমান্ডু সেন্ট্রাল জেলের কর্তৃপক্ষ। তারপরই সেদিনই তাকে কাতার এয়ারওয়েজের বিমানে তুলে দেয়া হয়। দোহা হয়ে বিমানটির গন্তব্য প্যারিস।
জেল সূত্রে খবর, গত বৃহস্পতিবারই শোভরাজকে ছেড়ে দিতে চাইছিল তারা। কিন্তু অভিবাসন দপ্তর প্রস্তুতির জন্য কিছু সময় চাওয়ায় সেদিন তাকে জেলেই থাকতে হয়। এদিকে, নেপালের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব তথা মুখপাত্র ফণীন্দ্রমণি পোখরেল জানিয়েছেন, আগামী ১০ বছর আর নেপালে প্রবেশ করতে পারবে না ওই কুখ্যাত অপরাধী। জানা গিয়েছে, ২০১৭ সালে হৃদপিণ্ডের অস্ত্রোপচার হয়। সেই কারণে চিকিৎসার জন্য আরও কিছু দিন থাকার আবেদন জানিয়েছিল শোভরাজ। কিন্তু তা খারিজ করে দেয় আদালত।
উল্লেখ্য, সাত ও আটের দশকের গোড়ায় থাইল্যান্ড-সহ বিভিন্ন দেশে মহিলা পর্যটকদের মাদক খাইয়ে খুনের অভিযোগ রয়েছে শোভরাজের বিরুদ্ধে। তার অধিকাংশ শিকারের পরনেই নাকি থাকত বিকিনি। খুনের ধরন দেখে শোভরাজকে বলা হত ‘দ্য স্পিলিটিং কিলার’। হত্যাকাণ্ডের পরে সরীসৃপের মতো মসৃণ পথে পালানোর কায়দা তাকে নাম দিয়েছিল ‘দ্য সারপেন্ট’। থাইল্যান্ডে রীতিমতো ত্রাস হয়ে উঠে শোভরাজ। সূত্র: টাইমস নাউ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন