মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

আরও অভিবাসী নিচ্ছে গ্রিস

শরণার্থীদের জন্য কোটা পদ্ধতি চালু হচ্ছে অস্ট্রিয়ায়

প্রকাশের সময় : ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : আরও অভিবাসী গ্রহণ করতে তুরস্কের নিকটবর্তী দ্বীপে চারটি নতুন অভ্যর্থনা কেন্দ্র খুলেছে গ্রিস। ইউরোপীয় ইউনিয়নের চাপে এ উদ্যোগ নিচ্ছে গ্রিস। গত মঙ্গলবার গ্রিসের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পানস কুমেনস নতুন এ চারটি কেন্দ্রের দুটি পরিদর্শন করেন। এসব কেন্দ্রকে হটস্পট হিসেবে উল্লেখ করা হচ্ছে। কুমেনস লেরস ও কিওস দ্বীপের কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। অপর দুটি কেন্দ্র লেসবস ও স্যামস দ্বীপে অবস্থিত। গ্রিস জানিয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে তুরস্ক থেকে অভিবাসীদের আগমনের স্রোত কিছুটা কমেছে। জাহাজের কনটেইনারকে রূপান্তর ও অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে কয়েক হাজার অভিবাসীকে আশ্রয় দেবে গ্রিস। গ্রিসের অন্যত্র বা অন্য কোনো দেশে যাওয়ার আগে এখানেই অভিবাসীদের নিবন্ধন ও ফিঙ্গার প্রিন্ট রাখা হবে। গত বছর প্রায় সাড়ে আট লাখ অভিবাসী গ্রিস দিয়ে ইউরোপে প্রবেশ করেন। এদের বেশির ভাগই ছিলেন যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়া, ইরাক ও আফগানিস্তান ছেড়ে আসা শরণার্থী। অভিবাসীদের আশ্রয় দেওয়ার ক্ষেত্রে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বর্ডার স্টাফ সহযোগিতা করছে।
এদিকে, অস্ট্রিয়ায় দৈনিক রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থীদের একটি কোটা এবং দেশটির ওপর দিয়ে অতিক্রম করা অভিবাসীদের সংখ্যার ওপর একটি সীমারেখা আরোপ করা হচ্ছে। এ অনুযায়ী আজ শুক্রবার থেকে দৈনিক মোটে ৮০ জন আশ্রয় প্রত্যাশীর আবেদন গ্রহণ করা হবে। আর দেশটির ওপর দিয়ে একদিনে ৩ হাজার ২শ’র বেশি অভিবাসী উত্তর ইউরোপের দিকে যেতে পারবে না। অনেক শরণার্থী ও অভিবাসীর কাছেই অস্ট্রিয়া হচ্ছে জার্মানির প্রবেশ দরজা। কিন্তু গত বছর ছোট্ট এই দেশটিকেও নব্বই হাজার শরণার্থীকে আশ্রয় দিতে হয়েছে, যা দেশটির মোট জনসংখ্যার শতকরা এক ভাগ।
অন্যদিকে, পার্শ্ববর্তী সেøাভেনিয়া অন্যান্য বলকান দেশও অভিবাসীবিরোধী কঠিন ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে বলে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। কিছু ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশ এরই মধ্যে সীমান্তে সাময়িক কড়াকড়ি আরোপ করেছে বলেও জানা যাচ্ছে। আবহাওয়ার একটু উন্নতি দেখা দেয়ায় আসছে মাসগুলোতে অভিবাসীর স্রোত তীব্রতর হবে বলে ধারণা রয়েছে। শেঙ্গেন চুক্তি বলে পরিচিত ২৬টি ইউরোপীয় দেশের মধ্যে পাসপোর্ট ও ভিসামুক্ত যে ব্যবস্থা রয়েছে তার ভবিষ্যৎ নিয়েও এই সম্মেলনে বিতর্ক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ওদিকে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতি অভিবাসীদের বোঝা ভাগ করে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে গ্রিস। গত সপ্তাহে ইইউ সীমান্ত নিয়ন্ত্রণের জন্য গ্রিসকে তিন মাস সময় বেঁধে দেয়। ইইউ’র আশঙ্কা, এখন নিয়ন্ত্রণ না করলে অভিবাসীদের স্রোত বেড়ে যাবে।  ইউরোপীয় ইউনিয়নের এ সিদ্ধান্তে ইইউভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে পাসপোর্ট ছাড়া ভ্রমণ ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। একের পর এক সুবিধা দেওয়া দেশগুলো নিজেদের সীমান্তে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করছে। রয়টার্স।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন