বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

ছাত্রলীগকে শেখ হাসিনার ১০ নির্দেশনা

স্টাফ রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : ২৭ ডিসেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ছাত্রলীগের অভিভাবক শেখ হাসিনা সংগঠনটির নেতাকর্মীদের ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার সাংগঠনিক নির্দেশনা দিয়েছেন। ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সক্রিয় ভূমিকা রাখাসহ ১০ দফা নির্দেশনা দেন তিনি। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় সংগঠনটির সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। গত ২০ ডিসেম্বর সাদ্দাম ও ইনানের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নতুন কমিটির নাম ঘোষণা করা হয়।

নির্দেশনাগুলো হল:
১. সংগঠনের ব্যানার, পোস্টার ও অন্যান্য ক্ষেত্রে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্য ছাড়া অন্য কোনো ছবি ব্যবহারের ক্ষেত্রে সাংগঠনিক নির্দেশনা মেনে চলতে হবে।
২. জেলা, মহানগর, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সম্মেলন ছাড়া সেগুলোর অধীনের কোনো ইউনিটের কমিটি গঠন করা যাবে না। যেসব ইউনিটের কমিটি পূর্ণাঙ্গ হয়নি, দ্রুততম সময়ের মধ্যে সেগুলো কেন্দ্র/সংশ্লিষ্ট ইউনিটে পূর্ণাঙ্গ কমিটি জমা দিতে হবে। গঠনতন্ত্রে উল্লেখিত সংখ্যার অধিক সদস্য নিয়ে কোনো ইউনিটের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা যাবে না।
৩. গঠনতন্ত্রে উল্লেখিত সময়ে প্রতিটি ইউনিটকে অবশ্যই নিয়মিত নির্বাহী সভা আয়োজন করতে হবে।
৪. সংশ্লিষ্ট ইউনিটের নেতাদের অবশ্যই নিজ নিজ ইউনিটে সার্বক্ষণিক উপস্থিত থাকতে হবে এবং সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে উত্তরোত্তর গতিশীলতা আনতে নানামুখী উদ্যোগ নিতে হবে।
৫. সব স্তরের নেতাকর্মীকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড ও নিয়মিত সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড প্রচার করতে হবে; দেশবিরোধী সব অপচেষ্টা, গুজব-প্রোপাগান্ডার ‘সমুচিত’ জবাব দিতে হবে।
৬. বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, স্কুল, মাদ্রাসাসহ প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একাডেমিক পরিবেশ বজায় রেখে সাংগঠনিক কর্মসূচি পরিচালনা করতে হবে। শিক্ষার্থীদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিটি বিষয়ের প্রতি দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।
৭. 'স্মার্ট বাংলাদেশ' বিনির্মাণের জন্য প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে 'স্মার্ট ক্যাম্পাসে’ রূপ দিতে ও শিক্ষার্থীদের যুগোপযোগী উপায়ে দক্ষতা বাড়াতে সহায়ক কর্মসূচি নিতে হবে এবং তা বাস্তবায়ন করতে হবে।
৮. স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি, মৌলবাদ-জঙ্গিবাদ সংশ্লিষ্টরা যেন নামে-বেনামে শিক্ষার্থী ও তরুণ প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করতে না পারে- সে লক্ষ্যে উপযুক্ত সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ক্রীড়া ও সাহিত্য কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে হবে।
৯. শিক্ষার্থী ও তরুণ প্রজন্মকে তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ করতে নানামুখী উৎসব, প্রতিযোগিতা, সেমিনার, কর্মশালা, প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্যোগ নিতে হবে।
১০. জলবায়ু পরিবর্তজনিত সংকট মোকাবিলায় বৃক্ষরোপণ, বায়ু-পানি-মাটি-পরিবেশ-শব্দ দূষণ রোধে ভূমিকা রাখা; অনাবাদি জমিতে চাষাবাদ, জ্বালানি সাশ্রয়ে বিদ্যুৎ-পানি-গ্যাস-তেলের ব্যবহারে যত্নশীল হওয়া; বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় সাংগঠনিক ও ব্যক্তিগত পর্যায়ে মিতব্যয়ী হওয়াসহ ইত্যাদি বিষয়ে প্রতিটি ইউনিট শিক্ষার্থী ও তরুণ প্রজন্মকে উৎসাহিত করতে হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন