সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও ধনকুবের থাকসিন সিনাওয়াত্রার কনিষ্ঠ কন্যা থাইল্যান্ডের পরবর্তী নেতা হওয়ার জন্য জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছেন। সম্প্রতি একটি জনমত জরিপ থেকে এ তথ্য জানা যায় যেখানে তিনি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী এবং নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রায়ুথ চান-ওচা-এর থেকে দ্বিগুণেরও বেশি স্কোর নিয়ে এগিয়ে রয়েছেন।
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ডেভেলপমেন্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এনআইডিএ) এর একটি সমীক্ষায় ৩৪ শতাংশ উত্তরদাতাদের সেরা পছন্দ ছিলেন পেটংটার্ন সিনাওয়াত্রা (৩৬), যার বাবা থাকসিন এবং ফুফু ইংলাক উভয়েই প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যূত হয়েছিলেন। এনআইডিএ ১৭ থেকে ২২ ডিসেম্বরের মধ্যে ২ হাজার ভোট দাতার উপরে এ জরিপ চালিয়েছে। পেটংটার্নের সমর্থন সেপ্টেম্বরের একটি জরিপ থেকে (২১ দশমিক ৬ শতাংশ) দ্রুত বেড়েছে, যখন জরিপ করা বেশিরভাগই সিদ্ধান্তহীন ছিল।
থাইল্যান্ডের নির্বাচন কমিশনের মতে আগামী বছরের মে মাসের মধ্যে একটি নির্বাচন করতে হবে, তবে এখনও কোনো তারিখ নির্ধারণ করা হয়নি। ‘উং ইং’ ডাকনামে সর্বাধিক পরিচিত পেটংটার্ন হলেন ফেউ থাই পার্টির একজন নির্বাহী, যারা এখনও তাকে তাদের দলের প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হিসাবে নাম দেয়নি। সিনাওয়াত্রা নামটি ২০০১ সাল থেকে থাইল্যান্ডে একটি বিশাল নির্বাচনী আকর্ষন হিসাবে প্রমাণিত হয়েছে। জনবহুল নীতির সমর্থক থাকসিন, ইংলাক এবং তাদের সহযোগীরা ২০০১ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে গ্রামীণ দরিদ্র ও শহুরে শ্রমজীবী শ্রেণির কাছ থেকে লাখ লাখ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছিলেন।
উত্তরদাতারা যারা পেটংটার্নকে সমর্থন করেছিলেন, এনআইডিএ-র জরিপে তারা বলেছিলেন যে, এটি তার ‘দলের নীতি এবং সিনাওয়াত্রা পরিবারের পূর্ববর্তী অর্জনের কারণে।’ এনআইডিএ অনুযায়ী, প্রায়ুত-এর রেটিংও ১০ দশমিক ১ শতাংশ থেকে ১৪ দশমিক ০১ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। তিনি ২০১৪ সাল থেকে ক্ষমতায় রয়েছেন, যখন সেনাপ্রধান হিসেবে তিনি ইংলাক পরিচালিত সরকারের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেন।
থাকসিন এবং ইংলাক সামরিক শাসনের সময় আদালত কর্তৃক প্রদত্ত জেল সাজা এড়াতে স্ব-আরোপিত নির্বাসনে ছিলেন। জরিপে বিরোধী দল মুভ ফরোয়ার্ড পার্টির নেতা পিটা লিমজারোয়েনরাত ১৩.২৫ শতাংশ ভোট পেয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন, যেখানে ৮.২৫ শতাংশ উত্তরদাতা সিদ্ধান্তহীন ছিলেন। সূত্র: রয়টার্স।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন