তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেপ এরদোগান বলেছেন, জাতীয় প্রযুক্তি পদক্ষেপের নির্দেশনায় পরিচালিত গবেষণার মাধ্যমে তুর্কি বিশ্বের শীর্ষ ১০টি অর্থনীতির একটি হওয়ার লক্ষ্যে ধাপে ধাপে এগিয়ে আসছে। ‘রাজনৈতিক স্বাধীনতা প্রযুক্তিগত স্বাধীনতার মধ্য দিয়ে যায়। আমরা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হিসেবে দেখি এবং তুরস্কেরর লক্ষ্য অর্জনের জন্য সবচেয়ে কার্যকর সুযোগ, বুধবার একটি বিজ্ঞান অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন।
এরদোগান বলেন, মূল্য সংযোজন উৎপাদন, শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি এবং টেকসই সমৃদ্ধির পথ বিজ্ঞান বাস্তুতন্ত্রের প্রাণশক্তির মধ্য দিয়ে যায়। সরকার গত এক বছরে ১৭৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩,১৩৪টি গবেষণা ও উন্নয়ন প্রকল্পের সমর্থনে ১৫০ বোটি তুর্কি লিরারও অনুদান দিয়েছে, প্রেসিডেন্ট বলেন, এই প্রকল্পগুলিতে ১০ হাজার গবেষক এবং ১২ হাজার জন পÐিত অংশ নিয়েছেন। চীনের সাফল্যের সবচেয়ে বড় কারণ হল তরুণদের অবদান যারা বিদেশে পড়াশোনা করতে যায় এবং সেখানে অর্জিত অভিজ্ঞতা নিয়ে তাদের দেশে ফিরে আসে, প্রেসিডেন্ট উল্লেখ করেছেন। সরকারের লক্ষ্য হল সারা বিশ্বের বিজ্ঞানীদের কাছে তুরস্ককে আকর্ষণের কেন্দ্রে পরিণত করা। যারা বৈজ্ঞানিক অধ্যয়ন করেন, প্রযুক্তি এবং পণ্য বিকাশ করেন তাদের প্রতি সরকার যে মূল্য দেয় তা স্পষ্ট এবং তুরস্ক প্রতিটি ক্ষেত্রে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে এই বিনিয়োগের ফল কাটিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট জোর দিয়ে বলেছিলেন।
এরদোগান বলেন, সমাজ তার ভবিষ্যৎ কোথায় নিয়ে যাবে তা নির্ধারণ করার জন্য তার শিকড় জানা অপরিহার্য। ‘এক সময়, সারা বিশ্বের বিজ্ঞানীরা আমাদের হৃদয়ভ‚মি থেকে বেরিয়ে আসছিলেন; আলী কুসু, হেজারফেন আহমেত চেলেবি, ইবনি সিনা, হায়্যাম... কিন্তু তারপরে, আমরা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গবেষণায় স্থবিরতার সময় অনুভব করেছি। এখন আমরা এই অন্তর্র্বতী সময়কাল শেষ করছি, এবং আমরা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে লালনপালন করছি,’ তিনি বলেছিলেন। ‘এই তুরস্ক আবার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অন্যতম প্রধান কেন্দ্র হয়ে উঠবে। আমরা টেকনোফেস্ট প্রজন্মকে বিশ্বাস করি। আমাদের বিজ্ঞানীরা এবং তরুণরা আমাদের এ আশা দেয়,’ এরদোগান যোগ করেন। সূত্র : হুরিয়েত ডেইলি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন