উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামের চিলমারীতে হুহু করে বাড়তে শুরু করেছে শীত। গত কয়েক দিন থেকে শৈত্য প্রবাহ ও ঘন কুয়াশায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো ফুটপাতে শীতের কাপড় ক্রয়ের জন্য ভিড় জমাচ্ছে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কুয়াশার চাদরে এলাকা ঢাকা থাকছে। দুপুরের সুর্যের দেখা মিললেও তাও আবার রোদের তাপমাত্রা খুবই কম। বিশেষ করে পাউবো বাঁধে ও চরাঞ্চলের লোকজন অর্থাভাবে শীতের কাপড় কিনতে না পেরে অতি কষ্টে দিনাতি পাত করছে।
রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার বলছে, গত বৃহস্পতিবার জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকড করা হয়েছে। খেটে খাওয়া মানুষ ঠান্ডা বেশী হওয়ার কারনে কাজে যেতে পারছেন না। এদিকে, বৃদ্ধ ও শিশুরা ঠান্ডা জনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হচ্ছেন।
চিলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানিয়েছে, গত সাত দিনে শীতজনিত ডাইরিয়া ও নিউমোনিয়া রোগে শিশু ৩৪ জন তাছাড়া মহিলা ১০ জন পুরুষ ৫ জন সহ মোট ৪৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ আমিনুল ইসলাম বলেন, শীতের কারণে বর্তমানে রোগীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। এছাড়াও ঠান্ডা বৃদ্ধি পেলে রোগীর সংখ্যাও বৃদ্ধি পেতে পারে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
অষ্টমীরচর ইউনিয়নের আমজাদ হোসেন (৭০) জানান, শীত বেশি হওয়ায় অর্থাভাবে গরম কাপড় কিনতে না পারায় পরিবার পরিজন নিয়ে অতি কষ্টে দিনাতিপাত করছি। থানাহাট ইউনিয়নে থানাহাট বাজারের পুরান কাপড় বিক্রেতা শ্রী কৃষ্ণ বলছেন, শীতের কারনে গরম কাপড় বেচা-কেনা বৃদ্ধি পেয়েছে। একই ইউনিয়নের গাবের তল এলাকার ট্রাক্টর শ্রমিক রবেল মিয়া জানান, কাজ তো করতে হবে তাই পুরাতন কাপড় কিনে কোন রকমে শীত নিবারনের চেষ্টা করছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাহবুবুর রহমান বলেন, চিলমারী উপজেলায় এ পর্যন্ত ৩ হাজার ৫ শত কম্বল বরাদ্দ পাওয়া গেছে তা মানুষের মাঝে ক্রমান্বয়ে বিতরন করা হবে। তিনি আরো জানান হাসপাতালে ভর্তিরত শিশু সহ অন্যান্য রোগীদের চিকিৎসা সেবার যাতে কোন রকম বিঘ্ন না ঘটে সে বিষয়ে চিকিৎসক দের দৃষ্টি রাখতে বলা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন