বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ব্যবসা বাণিজ্য

২০২২ সালে সোনালী ব্যাংকের রেকর্ড মুনাফা

৪১ হাজার কোটি টাকার এলসি খুলেছে- ব্যবস্থাপনা পরিচালক

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১ জানুয়ারি, ২০২৩, ৮:৪২ পিএম

বিদায়ী ২০২২ বছর শেষে রেকর্ড ২ হাজার ৫০৩ কোটি টাকা পরিচালন মুনাফা করেছে সোনালী ব্যাংক লিমিটেড। ২০২১ সাল শেষে ব্যাংকটির পরিচালন মুনাফা ছিল ২ হাজার ১০০ কোটি টাকা। রোববার (০১ জানুয়ারি) বছরের প্রথম দিনে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের কনফারেন্স কক্ষে ব্যাংকের বিগত বছরের অর্জন সম্পর্কে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় ব্যাংকের সিইও এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আফজাল করিম এ সব তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ব্যাংকটির আমানত ও ঋণের আনুপাতিক হার এ বছর ৬০ শতাংশ, যা ২০২১ বছরের চেয়ে ৯ শতাংশ বেশি। বর্তমানে মোট ঋণের পরিমাণ ৮৪ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। বিশ্বের অর্থনৈতিক মন্দার ভেতরেও সোনালী ব্যাংক বিভিন্ন সূচকে অগ্রগতি সাধন করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের ব্যাংকিং খাত এগিয়ে যাচ্ছে। অচিরেই শ্রেণিকৃত ঋণ আরও কমে আসবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। এক প্রশ্নের জবাবে সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আফজাল করিম বলেন, মুনাফা বাড়ায় অচিরেই আমাদের মূলধন ঘাটতি কমে আসবে। এজন্য আমরা পারফর্মিং লোন আরও বাড়ানোর চেষ্টা করছি। ব্যাংকের আমানতের বিষয়ে বলেন, বর্তমানে ব্যাংকের মোট আমানত ১ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা। যা ২০২১ সালের চেয়ে ৬ হাজার কোটি টাকা বেশি। বর্তমানে দেশের সবচেয়ে বেশি আমানত এখন সোনালী ব্যাংকে। এই বিপুল আমানতকে ব্যবহার করতে পারলে আগামী দিনে সব সূচকে ব্যাংকটি ভালো করবে বলে মনে করেন মো. আফজাল করিম।

তিনি বলেন, নেট ইন্টারেস্ট মার্জিন পজিটিভ হয়েছে। আমাদের সব লোন পারফর্ম করেছে। ইন্টারেস্ট ইনকাম বেশি হয়েছে। নেট ইন্টারেস্ট মোট ৩ হাজার ৭৬৯ কোটি টাকা। এটি আগের বছরের চেয়ে ১ হাজার ১২২ কোটি টাকা বেশি। মো. আফজাল করিম বলেন, বিগত বছরে সোনালী ব্যাংক সিএমএসএমই ঋণে গুরুত্ব দিয়েছে। এ সময়ে বড় অংকের ঋণ তেমন দেয়া হয়নি। মূলত সিএমএসএমই ও এনজিও লিংকেজের মতো লোন থেকে ১৫ হাজার কোটি ঋণ বেড়েছে।

মো. আফজাল করিম বলেন, খাদ্য, সার ও পেট্রোলিয়াম নিয়ে ২০২২ সালে সোনালী ব্যাংক ৪১ হাজার কোটি টাকার ঋণপত্র বা এলসি খুলেছে। এলসি থেকে ব্যাংকের কোনো ক্ষতি হয়নি। মূলত সরকারি এলসিগুলো নামমাত্র কমিশন মূল্যে খোলা হয়েছে। এতে এলসি থেকে খুব কম আয় হয়েছে। যা ১০০ টাকায় কখনো ৪০ বা ৮০ পয়সার মতো। এছাড়া রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পের সরঞ্জাম আনার কোনো এলসি পেন্ডিং নেই বলেও জানান তিনি। সোনালী ব্যাংকের দেশের অভ্যন্তরে মোট ১ হাজার ২২৯টি শাখা রয়েছে। এছাড়া দেশের বাইরে ভারতের কলকাতা ও শিলিগুড়িতে ব্যাংকটির ২টি শাখা রয়েছে।

মতবিনিময় সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর নিরঞ্জন চন্দ্র দেবনাথ, সঞ্চিয়া বিনতে আলী, কাজী মো. ওয়াহিদুল ইসলাম, পারসুমা আলম এবং প্রধান কার্যালয়ের জেনারেল ম্যানেজাররা।

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন