ইউক্রেনের সেনাবাহিনী দাবি করছে তারা পূর্বাঞ্চলীয় ডোনেৎস্ক শহরে এক রকেট আক্রমণ চালিয়ে কয়েক শত রুশ সৈন্যকে হত্যা করেছে। এ সংখ্যা নিশ্চিতভাবে যাচাই করা যায়নি। ডোনেৎস্কের রুশ-সমর্থক কর্তৃপক্ষ হতাহতের কথা স্বীকার করেছে, তবে খবরে প্রকাশিত সংখ্যাগুলো নিশ্চিত করেনি।
রুশ অধিকৃত মাকিইভকা শহরে একটি স্কুল ভবনে – যা রুশ সৈন্যরা একটি ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করছিল – ইউক্রেনীয় রকেটটি আঘাত হানে। একজন রুশ কর্মকর্তা বলেছেন, ইউক্রেনকে যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া দূরপাল্লার হিমার্স রকেট দিয়ে আক্রমণটি চালানো হয় এবং এটি ছিল এক বড় আঘাত। ডোনেৎস্কের একজন রুশ সমর্থক কর্মকর্তা দানিল বেজসোনভ বলেছেন, নতুন বছর শুরুর দিনে মধ্যরাতের দু’মিনিট পরই ক্ষেপণাস্ত্রটি আঘাত হানে। টেলিগ্রাম মেসেজিং অ্যাপে পোস্ট করা এক বার্তায় তিনি বলেন, আক্রমণে হতাহতের সংখ্যা এখনো গণনা করা হচ্ছে।
কিছু রুশ ভাষ্যকার এবং ব্লগার আক্রমণের কথা স্বীকার করেছেন, তবে তারা আভাস দেন যে নিহতের সংখ্যা যত দাবি করা হচ্ছে তার চেয়ে কম। রুশ অনুষ্ঠান উপস্থাপক ভ্লাদিমির সলোভিয়ভ টেলিগ্রামে এক বার্তায় বলেন, প্রাণহানি হয়েছে - তবে তা খুব বেশি নয়।
এদিকে, মাকিভকায় এই আক্রমণের কয়েকঘন্টার মধ্যেই রুশ হামলার শিকার হয় কিয়েভ। গত রাতে কিয়েভে জরুরি অবকাঠামো লক্ষ্য অনেকগুলো ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় রুশ বাহিনী। অবশ্য ইউক্রেনীয় বাহিনী দাবি করছে, তারা ইরানে-তৈরি ৩৯টি শাহেদ ড্রোনের সবগুলোকেই গুলি করে ভূপাতিত করেছে। তবে কিয়েভের মেয়র ভিতালি ক্লিৎস্কো বলেছেন, রুশ ড্রোন আক্রমণে বিভিন্ন জ্বালানি স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং এর ফলে বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটেছে।
ইউক্রেনের কর্তৃপক্ষ একটি রুশ ড্রোনের ধ্বংসাবশেষের ছবি সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করে যাতে রুশ ভাষায় ‘শুভ নববর্ষ’ লেখা দেখা যায়। গত কিছুদিনে রাশিয়া ইউক্রেনের রাজধানীর ওপর ক্ষেপণাস্ত্র এবং ইরানে-তৈরি ড্রোন দিয়ে অনেকগুলো আক্রমণ চালিয়েছে। সূত্র: বিবিসি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন