মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৫ চৈত্র ১৪৩০, ০৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

কানাডায় বিদেশিদের ২ বছর বাড়ি কেনা নিষিদ্ধ

আবাসন সঙ্কট এড়াতে নয়া উদ্যোগ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৪ জানুয়ারি, ২০২৩, ১২:০০ এএম

আগামী ২ বছর কানাডায় বিদেশিরা বাড়ি কিনতে পারবে না বলে নির্দেশিকা জারি করেছে জাস্টিন ট্রুডো সরকার। গত রোববার এ সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। একটি সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, কানাডায় অবস্থানরত বিদেশি শিক্ষার্থী ও দেশটির স্থায়ী বাসিন্দাদের ক্ষেত্রে এ নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না বলে সরকারি তরফে জানানো হয়েছে।

এছাড়া, এক বছরের মধ্যে যারা বাড়ি বিক্রি করবেন, তাঁদের জন্য কর বৃদ্ধির কথাও ঘোষণা করা হয়েছে। তবে এক্ষেত্রে নিয়মের কিছু ব্যতিক্রমও থাকছে। প্রসঙ্গত, কানাডায় লাগামহীন বাড়ির দাম নিয়ন্ত্রণে জাস্টিন ট্রুডো সরকারের পক্ষ থেকে গত ৮ এপ্রিল বাড়ি কেনার ক্ষেত্রে বিদেশিদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। নতুন বছরের প্রথম দিন থেকে সেই নির্দেশিকা কার্যকর করা হল। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের হিসেবে কানাডায় বাড়ির দাম বেড়েছে প্রায় ২০ শতাংশ। তারসঙ্গে তাল মিলিয়ে লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে বাড়িভাড়াও। ক্রমবর্ধমান এ দাম, অনেক কানাডা নাগরিকের নাগালের বাইরে চলে যায়। গত নির্বাচনী প্রচারে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের আশ্বাসও দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো। নির্বাচনে জয়লাভের পর উদারপন্থীরা নন-কানাডিয়ান আইন দ্বারা আবাসিক সম্পত্তি ক্রয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। জানা গেছে, ভ্যাঙ্কুবার এবং টরেন্টোর মতো জায়গায় অনাবাসী এবং খালি বাড়ির ওপর কর চালু করেছে কানাডা সরকার। কানাডা রিয়েল এস্টেট অ্যাসোসিয়েশনের মতে, ২০২২ সালের শুরুতে গড়ে বাড়ির দাম বেড়েছে ৫ লাখ ৯০ হাজার থেকে ৮ লাখ কানাডিয়ান ডলার। তবে, গত ডিসেম্বর মাসে এই বৃদ্ধি কিছুটা হ্রাস পেয়েছে বলে জানায় তারা। বতর্মানে এ বৃদ্ধির হার কমে ৪ লাখ ৬৫ হাজার থেকে ৬ লাখ ৩০ হাজার কানাডিয়ান ডলার হয়েছে বলে অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, কানাডায় বিদেশিদের বাড়ির মালিকানা পাঁচ শতাংশেরও কম। তাই সরকারের নিষেধাজ্ঞা তেমন কোনো প্রভাব ফেলতে পারবে না। বাড়ির চাহিদা মেটাতে নিষেধাজ্ঞা জারি না করে বরং আরো আবাসন নির্মাণের প্রয়োজনীয়তার প্রসঙ্গ তুলে ধরেন তারা। দেশের জাতীয় আবাসন সংস্থা কানাডা মর্টগেজ অ্যান্ড হাউজিং কর্পোরেশনের তরফে প্রকাশিত গত জুনের একটি প্রতিবেদনে বলেছে, ২০৩০ সালের মধ্যে দেশে প্রায় ১ কোটি ৯০ লাখের মতো হাউজিং ইউনিট প্রয়োজন হবে। এর অর্থ হল প্রায় ৬০ লাখ নতুন বাড়ি তৈরি করতে হবে ট্রুডো প্রশাসনকে। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন