বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে ৬ মাসের অন্তর্বর্তীকালিন জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর ফলে তাদের কারামুক্তিতে আর কোনো বাঁধা নেই বলে জানিয়েছেন তাদের আইনজীবীরা।
আজ (মঙ্গলবার) দুপুরে বিচারপতি মো: সেলিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।
এর আগে গতকাল সোমবার দুই শীর্ষ নেতার পক্ষে হাইকোর্টে জামিন চাওয়া হয়। আজ সকালে শুনানির পর আদালত দুপুরে উপরোক্ত আদেশ দেন।
গত ২১ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের জামিন নামঞ্জুর করেন ঢাকার মহানগর দায়রা জজ মো: আসাদুজ্জামান।
এর আগে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের জামিন আবেদন ৩ বার নাকচ করেন ঢাকার চীফ মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম)।
গত ৭ ডিসেম্বর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এতে একজন নিহত ও অর্ধশত আহত হন। সংঘর্ষের পর পুলিশ বিএনপির কার্যালয়ে অভিযান চালায়। ঘটনার পরদিন পল্টন, মতিঝিল, রমনা ও শাহজাহানপুর থানায় পৃথক চারটি মামলা করে পুলিশ। এতে ২ হাজার ৯৭৫ নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়। তাদের মধ্যে নাম উল্লেখ করা হয়েছে ৭২৫ জনের। তবে নাম উল্লেখ করা বিএনপির নেতাদের মধ্যে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাস ছিলেন না।
‘ওপরের নির্দেশে’ ওই দুই নেতার বাসায় ৮ ডিসেম্বর গভীর রাতে পৃথক অভিযান চালায় গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। দুজনকে প্রথমে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয় রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে। বাসা থেকে নিয়ে যাওয়ার প্রায় ১১ ঘণ্টা পর মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানানো হয়। পরে তাদের পল্টন থানার মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
হাইকোর্টে বিএনপি নেতাদের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট মো: জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন