শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বিনোদন প্রতিদিন

‘পদাতিক’-এ চঞ্চল চৌধুরীর সঙ্গী মনামী ঘোষ

বিনোদন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩ জানুয়ারি, ২০২৩, ৬:০৪ পিএম | আপডেট : ৬:১৫ পিএম, ৩ জানুয়ারি, ২০২৩

কলকাতায় মৃণাল সেনের বায়োপিক তৈরি করছেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়। সিনেমার নাম ‘পদাতিক’। এই সিনেমায় মৃণাল সেনের চরিত্রে অভিনয় করবেন দেশের জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। তার বিপরীতে মৃণালের স্ত্রী গীতা সেনের চরিত্রে অভিনয় করতে যাচ্ছেন কলকাতার অভিনেত্রী মনামী ঘোষ। শিগগিরই সিনেমার দৃশ্যধারণ শুরু হবে। খবরটি নিশ্চিত করেছে কলকাতার একাধিক সংবাদমাধ্যম।

এ প্রসঙ্গে মনামী বলেন, ‘সৃজিতদার সঙ্গে প্রথম কাজ। তিনি ফোন করে অফিসে ডেকে নেন। সবটা শুনে নেচে ওঠাই বাকি ছিল। ভয়ও করছে প্রচণ্ড। এটা অনেক বড় চ্যালেঞ্জ।’

জানা গেছে, এরই মধ্যে লুক সেট হয়ে গেছে মনামীর। তার ছোট চেহারাই তাকে চরিত্রটিতে অভিনয়ের সুযোগ করে দিয়েছে। গীতা সেনের অল্প থেকে বেশি বয়স পর্যন্ত দেখা যাবে সিনেমায়। পুরোটাই ধারণ করবেন এই অভিনেত্রী। প্রস্থেটিকও ব্যবহার করা হতে পারে।

মনামী আরো বলেছেন, ‘মা ও পরিবারের কাছের মানুষদের বিষয়টি জানানোর পর আনন্দে-দুশ্চিন্তায় তটস্থ সবাই। আমি আমার মতো করে গীতা সেন হয়ে ওঠার চেষ্টা চালাচ্ছি। সৃজিতদা একটি ভিডিও ক্লিপিংস দিয়েছেন। সেখানে খুব অল্প সময়ের জন্য গীতা সেনকে দেখা গেছে।’

টলিউডের অন্যতম স্টাইল আইকন মনামী ঘোষ। মাত্র ১৭ বছর বয়সে টেলিভিশনে কাজ করা শুরু করেন। এরপর টলিউডে বড় পর্দা এবং ওটিটিতে দাপিয়ে অভিনয় করছেন। ২৫টির উপর জনপ্রিয় ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন। দু-দশকেরও বেশি সময় ধরে ইন্ডাস্ট্রিতে রয়েছেন তিনি। ‘সোনার হরিণ’, ‘এক আকাশের নিচে’, ‘একদিন প্রতিদিন’, ‘বিন্নি ধানের খই’ থেকে ‘পুণ্যি পুকুর’, ‘আমলকী’, ‘ইরাবতীর চুপকথা’র মতো ধারাবাহিকে কাজ করে আলোচিত হয়েছেন মনামী।

সিরিয়ালের বাইরে ‘মাটি’, ‘এক মুঠো ছবি’, ‘বেলাশেষে’, ‘ওগো বধূ সুন্দরী’, ‘ভূতের ভবিষ্যৎ’, ‘বেলাশুরু’, ‘বক্স নম্বর ১৩১৩’, ‘কালো চিতা’র মতো আলোচিত সিনেমায় কাজ করেছেন তিনি। অভিনয়ের পাশাপাশি গানও করেন মনামী; গত বছর ‘ভিটামিন এম’ শিরোনামে একটি গান প্রকাশ করেন তিনি। রিয়েলিটি শো ‘ড্যান্স ড্যান্স জুনিয়র’-এর বিচারকের দায়িত্বেও দেখা গেছে তাকে।

প্রসঙ্গত, ১৯২৩ সালের ১৪ মে বাংলাদেশের ফরিদপুরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন মৃণাল সেন। পড়াশোনার জন্য কলকাতায় গিয়ে সেখানেই স্থায়ী হন। ১৯৫৫ সালে মুক্তি পায় তাঁর নির্মিত প্রথম সিনেমা ‘রাত-ভোর’। পরবর্তীতে ‘নীল আকাশের নিচে’, ‘বাইশে শ্রাবণ’, ‘ভুবন সোম’, ‘ইন্টারভিউ’, ‘কলকাতা ৭১’, ‘পদাতিক’, ‘মৃগয়া’র মতো কালজয়ী সব সিনেমা নির্মাণ করে খ্যাতি অর্জন করেন। বাংলা ভাষার চলচ্চিত্রে সর্বকালের সেরা নির্মাতাদের একজন তিনি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন