গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা মার্কার প্রার্থী মো. মাহমুদ হাসান রিপন ৮২ হাজার ৮১৩ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটবর্তী প্রতিদ্বন্দ্বি জাতীয় পার্টি মনোনীত লাঙ্গল মার্কার প্রার্থী অ্যাডভোকেট এইচ এম গোলাম শহীদ রঞ্জু পেয়েছেন ৪৫ হাজার ৭৬১ ভোট।
সকাল সাড়ে ৮টায় শুরু হয়ে ১৪৫টি কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে একটানা সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলে। এবারও কেন্দ্রগুলো নিবিড় পর্যবেক্ষণে ১ হাজার ২৪২টি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়। নির্বাচন কমিশনের দাবি সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনে একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ায় চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। অন্য প্রার্থীরা হলেন- বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম (কুলা) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ মাহবুবার রহমান (ট্রাক)।
সাঘাটা-ফুলছড়ি উপজেলায় ১৭টি ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৭৪৩। এর মধ্যে নারী ভোটার ১ লাখ ৭০ হাজার ১৬০ ও পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৬৯ হাজার ৫৮৩। দুই উপজেলা মিলে ভোটকেন্দ্র ১৪৫ এবং বুথের সংখ্যা ৯৫২। ভোট সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ করতে ২১ জন নির্বাহী ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের পাশাপাশি র্যাবের ৮টি টিম, ৫ প্ল্যাটুন বিজিবি, বোম্ব ডিস্পোজাল ইউনিট, স্ট্রাইকিং ফোর্স, আনসারসহ বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন ছিল।
গত ২৩ জুলাই জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বি মিয়া নিউইয়ার্কের মাউন্টসিনাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেলে আসনটি শূন্য হয়। পরে নির্বাচন কমিশনার আসনটি শূন্য ঘোষণা করেন। পরে ১২ অক্টোবর বুধবার শূন্য আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে ভোটের অনিয়ম হওয়ায় নির্বাচন বন্ধ ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশন।
এবার গাইবান্ধায় শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে : সিইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, এবারের ভোটের শুরুতেও পরিবেশ সুন্দর ছিল, সমাপ্তিটাও চমৎকার হয়েছে। সব মিলিয়ে শান্তিপূর্ণ, সুশৃঙ্খলভাবে সুন্দর ভোট হয়েছে। সেদিক থেকে নির্বাচনটা সফল হয়েছে। আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ভোট শেষে গতকাল তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ কথা বলেন।
সিইসি বলেন, ইভিএমে ধীরগতি ছিল না, কোনো অভিযোগও উত্থাপিত হয়নি। ভোট বিকেল সাড়ে ৪টায় শেষে হয়েছে, সব কিছু গুছাচ্ছে দেখেছি। ভোটার উপস্থিতি গড়ে ৩৫ শতাংশের কম বেশি হতে পারে। চূড়ান্তভাবে পরে জানা যাবে। তিনি বলেন, ইভিএমে ভোট হওয়ার পাশাপাশি সিসি ক্যামেরা থাকায় স্বচ্ছ নির্বাচনে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিসি ক্যামেরা থাকবে কি না সে সিদ্ধান্ত এখনো নেয়নি কমিশন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন