শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

দিনাজপুর শহরের প্রাণকেন্দ্রে বাড়ির কেয়ারটেকারের স্ত্রীর জবাই ও স্বামীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

দিনাজপুর অফিস | প্রকাশের সময় : ৬ জানুয়ারি, ২০২৩, ২:০৯ পিএম

দিনাজপুর শহরের প্রাণকেন্দ্র লিলির মোড় এলাকায় এডভোকেটের বাড়ির কেয়ারটেকারের ঝুলন্ত ও তার স্ত্রীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বাড়ির মালিক এডভোকেট নিলুফার রহিম ঢাকায় বসবাস করেন। নিহত মজিবুর রহমান (৬০) ও তার স্ত্রী জেবুন্নেছা (৪০) দীর্ঘদিন ধরে তাদের বাসায় থেকে কেয়ারটেকারের দায়িত্ব পালন করে আসছিল।

দিনাজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে এ্যাডভোকেট নিলুফার রহিম কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে মোবাইলে কেয়ারটেকার মজিবুর রহমান ফাঁসিতে আত্মহত্যা করেছে বলে জানান। পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে যান এবং শয়ন কক্ষে মুজিবুর রহমানের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান। পাশেই রান্নাঘরে স্ত্রী জেবুন্নেছার গলাকাটা মরদহ পড়ে থাকতে দেখেন। পুলিশ ক্রাইম সিন হিসেবে এলাকাটি কে সংরক্ষণ করেন। শুক্রবার সকালে সিআইডি ক্রাইম শিন সহ উদ্বোধন কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থলে আসেন। মরদেহ দুটির সুরতহাল তৈরি করে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মরগে প্রেরণ করা হয়।
নিহত মজিবুর রহমান দম্পতির একমাত্র ছেলে সিরাজুল ইসলাম (৩০) পেশায় অটোচালক তিনি থাকেন তাদের গ্রামের বাড়িতে। তাদের গ্রামের বাড়ি দিনাজপুরের বিরল উপজেলার বটতলাএলাকায়। গতকাল রাতে বাড়ির মালিক তাকেও জানান আত্মহত্যার কথা। পুলিশ প্রাথমিকভাবে এটিকে একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ডাও বলে তারা মনে করছেন। তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন হবে বলে পুলিশ আশা প্রকাশ করেছে। পুলিশ জানিয়েছে গতকাল রাতে বাড়ির বাহিরে কোন বাতি জ্বলতে না দেখে সামনের মার্কেটের নাইটগার্ড বিষয়টি মালিক কে অবহিত করেন। নাইট গার্ড কে দেওয়াল টোপকে ভেতরে ঢুকে বিষয়টি দেখার জন্য বলেন মালিক। সেই মোতাবে ক সে ভিতরে ঢুকে খোলা দরজা দিয়ে মজিবরের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পেয়ে ভয়ে বের হয়ে আসে এবং বিষয়টি ঢাকায় অবস্থানরত বাড়ির মালিককে জানান। সেই মোতাবেক বাড়ির মালিক পুলিশ ও নিকট আত্মীয়দের অবহিত করেন। এলাকাবাসী ও নিকট আত্মীয়দের সাথে আলাপ করে জানা মুজিবুর রহমান দম্পতি দীর্ঘদিন ধরে এই বাসায় কেয়ারটেকারের কাজ করছিল। স্বামী স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য ছিল না। আবার বাড়িতে সেরকম কোন মূল্যবান জিনিসপত্র ছিল না। ফলে চুড়ি বা ডাকাতি ঘটনাকে উড়িয়ে দিচ্ছেন স্থানীয়রা। অপরদিকে শহরের ব্যস্ততম এলাকায় ফাঁকা জায়গার মধ্যে বাড়িটি মাদক সেবীদের কাছে খুব পছন্দের জায়গা ছিল। শহরের ব্যস্ততম বাহাদুরবাজার ও মুন্সিপাড়া বড় বড় শপিংমলের মাঝে অবস্থিত বাড়িতে এ ধরনের ঘটনায় সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন