দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের নো-ফ্লাই জোনে ঢুকে পড়েছে উত্তর কোরিয়ার একটি ড্রোন। দক্ষিণ কোরিয়ার এক সামরিক কর্মকর্তা ঘটনার সপ্তাখানেক পর একথা স্বীকার করেছেন। খবর আল জাজিরার।
দক্ষিণ কোরিয়ার আকাশে উত্তর কোরিয়ার ৫টি ড্রোনের অনুপ্রবেশ সিউলের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার দুর্বলতা ফুটে উঠেছে। এই ঘটনার তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা।
রুশ বার্তা সংস্থা স্পুটনিক জানায়, উত্তর কোরিয়ার ড্রোনটি সপ্তাখানেক আগে দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলের আকাশে পরিভ্রমণের পর নিরাপদে গন্তব্যে ফিরে গেছে। স্পুটনিকের কাছে দক্ষিণ কোরিয়ার এক সামরিক কর্মকর্তা স্বীকার করেছেন, উত্তর কোরিয়ার ড্রোন দক্ষিণ কোরিয়ার নো-ফ্লাই জোন থেকে ৩.৭ কিলোমিটার ভেতরে একেবারে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের কাছে চলে গেছে।
উত্তর কোরিয়ার ড্রোনগুলো দক্ষিণ কোরিয়ার আকাশসীমায় প্রবেশের পর দেশটির আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সাহায্যে গোলা ছোঁড়া হয়। সামরিক বাহিনীর হেলিকপ্টার থেকে ১০০ গুলি ছুঁড়েও ড্রোনটি নামানো সম্ভব হয়নি। এ সময় দক্ষিণ কোরিয়ার আকাশে যুদ্ধবিমান উড়তে শুরু করে।
এতোকিছুর পরও উত্তর কোরিয়ার ড্রোন ভূপাতিত কিংবা ড্রোনগুলো টার্গেট করতে সক্ষম হয় নি সিউল। উল্টো নিজেদেরই একটি যুদ্ধবিমান অজ্ঞাত কারণে বিধ্বস্ত হয়েছে। উত্তর কোরিয়ার ড্রোনগুলি পাঁচ ঘন্টা পর্যন্ত সিউলের আকাশে ঘুরে বেড়ায়।
এদিকে গত বুধবার দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার ড্রোন যদি আবার তার দেশের আকাশসীমা লঙ্গন করে তাহলে, তিনি ২০১৮ সালে দুই কোরিয়ার মধ্যকার সামরিক চুক্তি স্থগিত করার হুমকি দিয়েছেন।
তবে উত্তর কোরিয়া বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র যতদিন জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে যৌথ মহড়া চালাবে এবং এ অঞ্চলে অবস্থান করবে ততদিন ক্ষেপণাস্ত্র, সামরিক মহড়া এবং পারমাণবিক পরীক্ষা চালিয়ে যাবে পিয়ংইয়ং।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন