শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চায় বিচারকদের সংগঠন

আদালতে আইনজীবীদের অশালীন আচরণ প্রোফাইল পিকচারে প্রতিবাদ

বিশেষ সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ৯ জানুয়ারি, ২০২৩, ১২:০০ এএম

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ফারুকের সঙ্গে আইনজীবী নেতাদের অশালীন আচরণের ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এখনও বইছে সমালোচনার ঝড়। বিচারকাজে নগ্ন হস্তক্ষেপের প্রতিবাদে ফেসবুকে কালো রঙের প্রোফাইল পিকচার ব্যবহার করছেন দেশের সব বিচারক ও বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাগণ। নিজেদের ছবি পাল্টে ‘ব্ল্যাকআউট’ করেছেন ফেসবুক ব্যবহারকারী বিচারকগণ।
গতকাল শনিবার বিচার বিভাগীয় একাধিক কর্মকর্তা নাম প্রকাশে আপত্তি জানিয়ে বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে বিচারকের সঙ্গে ন্যাক্কারজনক ঘটনার প্রতিবাদে বিচারকগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে প্রোফাইলে কালো পিকার ব্যবহার শুরু করেছেন। এটি কোনো সংগঠনের সিদ্ধান্তে নয়। বিচারকগণ স্বপ্রণোদিত হয়েই এটি করছেন।
বিচারকদের সংগঠন ‘বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শীর্ষ কর্মকর্তা ইনকিলাবকে বলেন, বিচারকরা স্বতঃস্ফস্ফূর্তভাবে প্রতিবাদ স্বরূপ ‘কালো প্রোফাইল পিকচার’ ব্যবহার করছেন।
এ ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট তানভীর আহমেদ ভূঞা, সম্পাদক (প্রশাসন) অ্যাডভোকেট মো. আক্কাস আলী ও অ্যাডভোকেট জুবায়ের ইসলামকে তলব করেছেন হাইকোর্ট।
আগামী ১৭ জানুয়ারি আদালতে হাজির হয়ে তাদের ঘটনার ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার দায়ে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে না-এই মর্মে রুল জারি করা হয়েছে। গত ৫ জানুয়ারি বিচারপতি জে বি এম হাসান এবং বিচারপতি রাজিক আল জলিলের ডিভিশন বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন।
রুল জারির পরদিন ৬ ডিসেম্বর শুক্রবার বিচার কাজে হস্তক্ষেপ ও বিচারককে অশ্রাব্য ভাষায় গালাগালে সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে ‘বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন’। সংগঠনের সভাপতি জেলা ও দায়রা জজ এ এইচ এম হাবিবুর রহমান ভুঁইয়া ও মহাসচিব জেলা ও দায়রা জজ মো. মজিবুর রহমান এক যৌথ বিবৃতিতে এ দাবি জানান। বিবৃতিতে বলা হয়, গত ২ জানুয়ারি কতিপয় আইনজীবী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর এজলাস কক্ষে বিচারকের সঙ্গে যে শিষ্টাচার বহির্ভূত ও অশালীন আচরণ করেছে তা অনভিপ্রেত, ন্যক্কারজনক ও অত্যন্ত দুঃখজনক। এতে বিচার বিভাগের মর্যাদা ও সম্মান মারাত্মকভাবে ক্ষণ্ন্ন হয়েছে। বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন ওই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে। পাশাপাশি সেই ঘটনার সুুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের উপযুক্ত দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করছে যাতে কেউ ভবিষ্যতে এ ধরনের নিন্দনীয় ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ কাজ করার দুঃসাহস না দেখায়।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন