দক্ষিণ এশিয়ার দেশ নেপালে রোববার সকালে ইয়েতি এয়ারলাইন্সের একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। ৬৮ জন যাত্রী ও ৪ জন কেবিন ক্রু নিয়ে বিমানটি দেশটির রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে পর্যটন অঞ্চল পোখারায় যাচ্ছিল।
নেপালের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, বিমানের মোট ৭২ আরোহীর মধ্যে ১৫ জন ছিলেন বিদেশি। তবে তাদের মধ্যে কোনো বাংলাদেশি নেই।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পোখারা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের প্রধান বিক্রম গৌতম। তিনি জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত দুর্ঘটনায় নিহত হওয়া অস্ট্রেলিয়ান, দক্ষিণ কোরিয়ান, রাশিয়ান, আর্জেন্টাইন এবং আইরিশ নাগরিকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। কোনো বাংলাদেশি ওই বিমানে ছিলেন না।
এদিকে ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বিমান বিধ্বস্তের পর এখন পর্যন্ত ৪৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, দুর্ঘটনাকবলিত বিমানটিতে পাঁচজন ভারতীয় ছিলেন। এছাড়া ছিলেন চারজন রাশিয়ান, দুইজন কোরিয়ান এবং একজন করে অস্ট্রেলিয়া, আর্জেন্টিনা, আয়ারল্যান্ড এবং ফ্রান্সের নাগরিক।
জানা গেছে, রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে পোখারায় বিমানে যেতে ২৫ মিনিট সময় লাগে। বিধ্বস্ত হওয়া বিমানটি উড্ডয়নের ২০ মিনিট পর পোখারার নতুন ও পুরাতন বিমান বন্দরের মাঝামাঝি একটি পাহাড়ি এলাকায় আছড়ে পড়ে। এরপর বিমানটিতে আগুন ধরে যায়।
ইয়েতি এয়ারলাইন্সের মুখপাত্র সুদর্শন বার্তৌলা বার্তাসংস্থা এপিকে দুর্ঘটনার পর জানান, বিমানের কোনো আরোহী বেঁচে আছেন কিনা তারা জানেন না।
এদিকে পোখারার স্থানীয় এক বাসিন্দার মোবাইলে বিমানটি আছড়ে পড়ার দৃশ্য ধরা পড়ে। মোবাইলে ধারণকৃত ভিডিওতে দেখা যায়, বিমানটি হেলে-দুলে এগিয়ে আসছে। একটা সময় এটি উল্টে যায়। পরক্ষণেই বড় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন