মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

ভারতের ৪০ শতাংশ সম্পত্তিই আদানি-আম্বানিদের, প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৬ জানুয়ারি, ২০২৩, ৭:০৪ পিএম

মাত্র কয়েকজন ধনকুবেরের হাতেই গচ্ছিত রয়েছে ভারতের বিপুল সম্পত্তি। একই মুদ্রার অপর পিঠে রয়েছে দেশের দরিদ্র জনতা। ভারতের সম্পদের মাত্র তিন শতাংশ রয়েছে আর্থিকভাবে সবচেয়ে নীচের সারিতে থাকা জনগণের হাতে। সোমবারে প্রকাশিত একটি সমীক্ষার রিপোর্টে প্রকাশিত হয়েছে এই তথ্য।

অক্সফ্যাম নামে এক মানবাধিকার সংস্থার তরফে একটি সমীক্ষার ভিত্তিতে দেখা যাচ্ছে, ভারতের ৪০ শতাংশ সম্পত্তি রয়েছে মাত্র ১ শতাংশ ধনী ব্যক্তিদের হাতে। দেশের আর্থিক বৈষম্য কোন পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছে, তার প্রকৃষ্ট নিদর্শন এই সমীক্ষার রিপোর্ট। নতুন সমীক্ষায় আরও বলা হয়েছে, ভারতের ধনীতম ব্যক্তি গৌতম আদানির আয়ের উপর এককালীন কর বসালেই প্রচুর মানুষের কর্মসংস্থান হতে পারে।

ডাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বার্ষিক সম্মেলনে ভারতের আর্থিক বৈষম্যের রিপোর্ট পেশ করেছে অক্সফ্যাম। সেখানেই বলা হয়, “ভারতের ৪০ শতাংশ সম্পত্তি কুক্ষিগত রয়েছে দেশের ১ শতাংশ ধনকুবেরের হাতে। আর আর্থিকভাবে সবচেয়ে পিছিয়ে থাকা দরিদ্র মানুষের হাতে রয়েছে দেশের মাত্র তিন শতাংশ সম্পদ।” মানবাধিকার সংস্থাটির পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, ভারতের সবচেয়ে ধনী ১০ ব্যক্তির আয়ের উপর যদি এককালীন ৫ শতাংশ কর বসানো যায়, তাহলে ভারতের সমস্ত স্কুলছুট শিক্ষার্থীদের ফিরিয়ে আনার খরচ উঠে আসবে।

সমীক্ষার রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, “২০১৭ থেকে ২০২১-এই পাঁচ বছরে গৌতম আদানির যা আয় হয়েছে, তার উপরে এককালীন কর বসালেই ১.৭৯ লাখ কোটি রুপি উঠে আসবে। এই টাকা কাজে লাগিয়ে পাঁচ লক্ষ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ করা যেতে পারে।” সারভাইভাল অফ রিচেস্ট নামে এই রিপোর্ট অনুযায়ী, শুধুমাত্র দেশের ১০ জন ধনীতম ব্যক্তিদের এককালীন করের টাকায় কেন্দ্রের দুই মন্ত্রণালয়ের বাজেট অনুযায়ী বরাদ্দের টাকা উঠে আসবে। স্বাস্থ্য ও পরিবার উন্নয়ন মন্ত্রণালয় ও আয়ুশ মন্ত্রণালয়ের মিলিত বাজেটের থেকেও অনেক বেশি অর্থ উঠে আসবে এই এককালীন করের টাকায়।

মহামারীর শুরু থেকেই লাফিয়ে বেড়েছে ভারতীয় ধনকুবেরদের সম্পত্তির পরিমাণ। অক্সফ্যামের রিপোর্ট বলছে, ১২১ শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে ভারতীয় ধনকুবেরদের। যার পরিমাণ প্রতিদিনে প্রায় চারশো কোটি রুপি। আর্থিক বৈষম্যের পাশাপাশি লিঙ্গবৈষম্যের কথাও উঠে এসেছে এই রিপোর্টে। জানা গিয়েছে, পুরুষদের ১ রুপি আয়ের অনুপাতে মহিলাদের আয়ের পরিমাণ মাত্র ৬৩ পয়সা। তপশিলি জাতিভুক্তদের আয়েও বৈষম্য লক্ষ করা যায়। সাধারণের তুলনায় ৪৫ শতাংশ কম আয় করেন তপশিলি জাতিভুক্ত জনগণ। সূত্র: টাইমস নাউ।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন