সম্প্রতি বাংলাদেশ সফর করে গেছেন দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। স্বাভাবিকভাবেই র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এর উপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে তিনি কি বলেন তা নিয়ে সকলেরই কৌতুহল ছিল।
রোববার ডোনাল্ড লু'র সঙ্গে বৈঠকের পর সোমবার ঢাকায় সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সে কৌতুহল অনেকটাই মিটিয়েছিলেন। তার নিজ মন্ত্রণালয়ের অধীনস্ত বাহিনীটির উপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা অচিরেই উঠে যাবে বলে আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, “তারা (মার্কিন প্রতিনিধি দল) বলেছেন, তোমরা যেভাবে যাচ্ছ, একটা সঠিক পথে যাচ্ছ। তোমরা যেভাবে চলছ, এটা যেন চলমান থাকে, তোমাদের ল’ইয়ার ভালো ভূমিকা রাখছে। আমরা মনে করি, হয়ত খুব শিগগির নিষেধাজ্ঞা উঠে যেতে পারে। আমরা আশা করছি, এটা খুব অচিরেই শেষ হবে।”
কিন্তু, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের পর সচেতন মহলে ফের নতুন করে কৌতুহল শুরু হয়। কারণ, এর আগে ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতসহ বাইডেন প্রশাসনের একাধিক শীর্ষ ব্যক্তি বাহিনীটির পর্যাপ্ত সংস্কার না করলে শিগগিরই নিষেধাজ্ঞা না উঠার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।
তাই খুব স্বাভাবিকভাবেই র্যাব নিয়ে ডোনাল্ড লু ঠিক কি বলেছিলেন তা জানার আগ্রহ সবার। ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের মুখপাত্র জেফ রাইডেনুর জানিয়েছেন, ঢাকায় তার বৈঠকগুলোতে ডোনাল্ড লু র্যাবের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের কোনো সময়সীমা নির্দেশ করেননি।
মঙ্গলবার মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্র জেফ রাইডেনুর এই প্রতিবেদককে জানান, গত বছর র্যাব কর্তৃক বিচারবহির্ভূত হত্যাকা- এবং জোরপূর্বক গুমের অভিযোগের সংখ্যা নাটকীয়ভাবে হ্রাস পাওয়ায় এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু বাংলাদেশ সরকারের প্রশংসা করেন। আমরা এই অব্যাহত সংস্কারের জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানাই এবং বাংলাদেশ সরকারকে কথিত বিচারবহির্ভূত হত্যাকা-ের স্বাধীন তদন্ত করতে উৎসাহিত করি।
উল্লেখ্য, গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে র্যাবসহ এই বাহিনীর সাবেক ও বর্তমান মিলিয়ে সাত কর্মকর্তার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন